মেজর জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া-
এরাই তো স্বাধীনতার পর দেশ চালিয়েছেন। কিন্তু এদের চেয়ে অনেক চিন্তাভাবনায় ও মেধায় উন্নত শেখ হসিনা। শেখ মুজিবকে দেশের জন্য ভালো কিছু করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে ফিরলেন ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারী। তিনি দেশকে দাঁড় করাতে নজর দিলেন। দেশ নিজ পায়ে দাঁড়াতে না দাড়াতে তাকে হত্যা করা হলো। আর শেখ মুজিবকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল মানুষের কপাল পুড়লো। সেই পোড়া কপাল জেনারেল জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া সারাতে পারেন নাই। তবে তাদের কল্যানে অনেক কোটিপতি তৈরি হয়েছে। একজন মসীহ হয়ে শেখ হাসিনা এসে জাতিকে পথ দেখালেন। জাতির জন্য কাজ করা শুরু করলেন। যা অতীতে কেউ করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও এই দেশ কিছু দিন চালিয়েছে। তখন দেশের গজব অবস্থা হয়েছিলো।
শেখ হাসিনা কোনোদিন স্বেচ্ছায় অবসর নিবেন না।
শেখ হাসিনা ক্ষমতা ভালোবাসেন। তাছাড়া উনি হয়তো মনে করেন, উনি ছাড়া বাংলাদেশে আর কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের উন্নয়ন হবে না। সরকারী চাকরি করলে অবসর নিতে হয়। কিন্তু রাজনীতিবিদদের অবসর নাই। তারা কাজ পাগল মানুষ। তারা দেশকে খুব ভালোবাসেন। তাই আজ পর্যন্ত কোনো রাজনীতিবিদ স্বেচ্ছায় অবসর নেননি বাংলাদেশের ইতিহাসে। যদি কোনো দূর্ঘটনা না ঘটে, তাহলে শেখ হাসিনা আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকবেন। থাকাই উচিৎ। তাছাড়া ক্ষমতার মজা অন্যরকম। মাদকের চেয়েও ভয়াবহ নেশা ক্ষমতা। যদি দেশে গত বারো বছর অন্য কেউ ক্ষমতায় থাকতো- তাহলে পদ্মাসেতু হতো না। মেট্রোরেল হতো না। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হতো না। রাজাকারদের বিচার হতো না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো হাসিনাকে জেলেও নিয়েছিলো। ফলাফল শূন্য। সূর্যকে দাবায়ে রাখা যায় না।
একসময় জোট করে, আন্দোলন করে-
সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যেতো। এখন হাসিনা সেই সিস্টেম অফ করে দিয়েছেন। বিএনপির কোমর ভেঙ্গে গেছে। তাঁরা আর কিছুতেই কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারছে না। ছাত্রদল ক্যাম্পাসে দাড়াতেই পারছে না। ছাত্রলীগ শক্ত অবস্থানে আছে। দেশের মানুষ রাগে দুঃখে যা-ই বলুক, তাঁরা জানে হাসিনা ছাড়া দেশের উন্নতি সম্ভব না। আওয়ামীলীগ ছাড়া গতি নেই। বিএনপি জামাত ক্ষমতায় এলে দেশের বারোটা বেজে যাবে। আর নতুন নতুন কালু ফালুদের জন্ম হবে। দেশে চলবে হরিলুট। দেশের জেলায় জেলায় বোমা হামলা হবে। গ্রেনেড হামলা হবে। মানুষ অতীত দেখে দেখে অনেক শিখেছে। জাতি আর বোকা নেই। গুপ্ত হত্যা ছাড়া হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না। নো নেভার। বঙ্গবন্ধু সকলকে বিশ্বাস করতেন। তাই তাকে হত্যা করা সহজ ছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনাকে হত্যা করা সহজ হবে না। শেখ হাসিনা ইন্দিরা গান্ধীর চেয়েও বেশি বুদ্ধিমতি।
কোনো কারনে যদি দেশে অন্য কেউ ক্ষমতায় এসেই যায়-
তবু শেখ হাসিনার কেউ অনিষ্ট করতে পারবে না। হয়তো সাময়িকভাবে তাকে জেলে নেওয়া হতে পারে। কিন্তু বিশ্ব থেকে হুমকি ধামকি আসবে। তখন সসম্মানে শেখ হাসিনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আরে সূর্যকে কি কেউ বন্ধী করে রাখতে পারে? তারপরও দুনিয়াতে অসম্ভব কিছুই না। আমেরিকাসহ পুরো পশ্চিমা বিশ্ব যদি চাপ সৃষ্টি করে তাহলে হয়তো সম্ভব। তবে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সম্ভব হবে না। হেফাজতিদের দিয়েও সম্ভব নয়। ভারতবাসী শেখ হসিনাকে বিশেষ পছন্দ করে। মোদীজি শেখ হাসিনাকে সব সময় সাপোর্ট করবেন। কাজেই যারা শেখ হাসিনার পতন চান, তাঁরা এই স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেন। এটা কোনো দিন হবে না। নো নেভার। যেহেতু হাসিনাই ক্ষমতায় থাকবে, তাকে সাপোর্ট করুণ। সহযোগিতা করুণ। তাতেই আমাদের মঙ্গল।
দেশে কিছু সমস্যা জটিল আকার ধারন করেছে।
১। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ। ২। লেখাপড়ার মান কমে গেছে। ৩। দূর্নীতি বেড়েছে। ৪। নব্য ধনীদের সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। ৫। ছাত্রলীগ অনেক বেশি কুকর্ম করেছে। ৬। দেশে দরিদ্র লোকের সংখ্যা বেড়েছে। ৭। বেকারদের সংখ্যা বেড়েছে। হাসিনার উচিৎ ছিলো তার শুদ্ধি অভিযান অব্যহত রাখা। কোনো এক অজানা কারনে সেটা বন্ধ হয়ে গেলো। হাসিনার এখন উচিৎ তাঁর দলে থাকা দুর্নীতিবাজদের দল থেকে বের করে দেওয়া। আর যারা দূর্নীতি করেছে তাদের গ্রেফতার করা। দেশের সাধারন মানুষদের কথা ভাবা। কৃষকদের কথা ভাবা। আওয়ামীলীগ বলে, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। অথচ আজও মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। আজও মানুষ চিকিৎসা পায় না। আজও কিশোর কিশোরীরা রাস্তায় জুতোর আঠা দিয়ে নেশা করে। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যায় না। মাদ্রাসার ফালতু শিক্ষা জাতির ক্ষতি করছে। উক্ত বিষয় গুলোতে শেখ হাসিনার নজর দেওয়া উচিৎ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩