somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

শেখ হাসিনার পতন কিভাবে হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

০৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মেজর জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া-
এরাই তো স্বাধীনতার পর দেশ চালিয়েছেন। কিন্তু এদের চেয়ে অনেক চিন্তাভাবনায় ও মেধায় উন্নত শেখ হসিনা। শেখ মুজিবকে দেশের জন্য ভালো কিছু করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে ফিরলেন ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারী। তিনি দেশকে দাঁড় করাতে নজর দিলেন। দেশ নিজ পায়ে দাঁড়াতে না দাড়াতে তাকে হত্যা করা হলো। আর শেখ মুজিবকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল মানুষের কপাল পুড়লো। সেই পোড়া কপাল জেনারেল জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া সারাতে পারেন নাই। তবে তাদের কল্যানে অনেক কোটিপতি তৈরি হয়েছে। একজন মসীহ হয়ে শেখ হাসিনা এসে জাতিকে পথ দেখালেন। জাতির জন্য কাজ করা শুরু করলেন। যা অতীতে কেউ করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও এই দেশ কিছু দিন চালিয়েছে। তখন দেশের গজব অবস্থা হয়েছিলো।

শেখ হাসিনা কোনোদিন স্বেচ্ছায় অবসর নিবেন না।
শেখ হাসিনা ক্ষমতা ভালোবাসেন। তাছাড়া উনি হয়তো মনে করেন, উনি ছাড়া বাংলাদেশে আর কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের উন্নয়ন হবে না। সরকারী চাকরি করলে অবসর নিতে হয়। কিন্তু রাজনীতিবিদদের অবসর নাই। তারা কাজ পাগল মানুষ। তারা দেশকে খুব ভালোবাসেন। তাই আজ পর্যন্ত কোনো রাজনীতিবিদ স্বেচ্ছায় অবসর নেননি বাংলাদেশের ইতিহাসে। যদি কোনো দূর্ঘটনা না ঘটে, তাহলে শেখ হাসিনা আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকবেন। থাকাই উচিৎ। তাছাড়া ক্ষমতার মজা অন্যরকম। মাদকের চেয়েও ভয়াবহ নেশা ক্ষমতা। যদি দেশে গত বারো বছর অন্য কেউ ক্ষমতায় থাকতো- তাহলে পদ্মাসেতু হতো না। মেট্রোরেল হতো না। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হতো না। রাজাকারদের বিচার হতো না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো হাসিনাকে জেলেও নিয়েছিলো। ফলাফল শূন্য। সূর্যকে দাবায়ে রাখা যায় না।

একসময় জোট করে, আন্দোলন করে-
সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যেতো। এখন হাসিনা সেই সিস্টেম অফ করে দিয়েছেন। বিএনপির কোমর ভেঙ্গে গেছে। তাঁরা আর কিছুতেই কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারছে না। ছাত্রদল ক্যাম্পাসে দাড়াতেই পারছে না। ছাত্রলীগ শক্ত অবস্থানে আছে। দেশের মানুষ রাগে দুঃখে যা-ই বলুক, তাঁরা জানে হাসিনা ছাড়া দেশের উন্নতি সম্ভব না। আওয়ামীলীগ ছাড়া গতি নেই। বিএনপি জামাত ক্ষমতায় এলে দেশের বারোটা বেজে যাবে। আর নতুন নতুন কালু ফালুদের জন্ম হবে। দেশে চলবে হরিলুট। দেশের জেলায় জেলায় বোমা হামলা হবে। গ্রেনেড হামলা হবে। মানুষ অতীত দেখে দেখে অনেক শিখেছে। জাতি আর বোকা নেই। গুপ্ত হত্যা ছাড়া হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না। নো নেভার। বঙ্গবন্ধু সকলকে বিশ্বাস করতেন। তাই তাকে হত্যা করা সহজ ছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনাকে হত্যা করা সহজ হবে না। শেখ হাসিনা ইন্দিরা গান্ধীর চেয়েও বেশি বুদ্ধিমতি।

কোনো কারনে যদি দেশে অন্য কেউ ক্ষমতায় এসেই যায়-
তবু শেখ হাসিনার কেউ অনিষ্ট করতে পারবে না। হয়তো সাময়িকভাবে তাকে জেলে নেওয়া হতে পারে। কিন্তু বিশ্ব থেকে হুমকি ধামকি আসবে। তখন সসম্মানে শেখ হাসিনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আরে সূর্যকে কি কেউ বন্ধী করে রাখতে পারে? তারপরও দুনিয়াতে অসম্ভব কিছুই না। আমেরিকাসহ পুরো পশ্চিমা বিশ্ব যদি চাপ সৃষ্টি করে তাহলে হয়তো সম্ভব। তবে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সম্ভব হবে না। হেফাজতিদের দিয়েও সম্ভব নয়। ভারতবাসী শেখ হসিনাকে বিশেষ পছন্দ করে। মোদীজি শেখ হাসিনাকে সব সময় সাপোর্ট করবেন। কাজেই যারা শেখ হাসিনার পতন চান, তাঁরা এই স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেন। এটা কোনো দিন হবে না। নো নেভার। যেহেতু হাসিনাই ক্ষমতায় থাকবে, তাকে সাপোর্ট করুণ। সহযোগিতা করুণ। তাতেই আমাদের মঙ্গল।

দেশে কিছু সমস্যা জটিল আকার ধারন করেছে।
১। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ। ২। লেখাপড়ার মান কমে গেছে। ৩। দূর্নীতি বেড়েছে। ৪। নব্য ধনীদের সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। ৫। ছাত্রলীগ অনেক বেশি কুকর্ম করেছে। ৬। দেশে দরিদ্র লোকের সংখ্যা বেড়েছে। ৭। বেকারদের সংখ্যা বেড়েছে। হাসিনার উচিৎ ছিলো তার শুদ্ধি অভিযান অব্যহত রাখা। কোনো এক অজানা কারনে সেটা বন্ধ হয়ে গেলো। হাসিনার এখন উচিৎ তাঁর দলে থাকা দুর্নীতিবাজদের দল থেকে বের করে দেওয়া। আর যারা দূর্নীতি করেছে তাদের গ্রেফতার করা। দেশের সাধারন মানুষদের কথা ভাবা। কৃষকদের কথা ভাবা। আওয়ামীলীগ বলে, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। অথচ আজও মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। আজও মানুষ চিকিৎসা পায় না। আজও কিশোর কিশোরীরা রাস্তায় জুতোর আঠা দিয়ে নেশা করে। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যায় না। মাদ্রাসার ফালতু শিক্ষা জাতির ক্ষতি করছে। উক্ত বিষয় গুলোতে শেখ হাসিনার নজর দেওয়া উচিৎ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×