
ঝগড়ার জন্য খুব গুরুতর কারণের দরকার হয় না।
ঝগড়াটাই যখন আসল তখন কারণ একটা বের করে নিলেই হয়। সম্পর্ক গুলো এভাবেই শেষ হয়ে যায়। আসলে মানুষ যখন গোঁ ধরে তখন কিছুই বুঝতে চায় না। ভীতু আর দুর্বল লোকদের একটা অসুবিধে হলো, তারা কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সহ্য করে যেতে হয়। পরিবার গুলো এভাবেই তছনছ হয়ে যায়। দূরত্ব বেড়ে যায়।
চারিদিকে খুব ভাগাভাগির ধুম পড়েছে।
সবাই ভাগ চায়, ভাগ হতে চায়। স্বামী স্ত্রী চায়, মা বাবার কাছ থেকে সন্তান ভাগ হতে চায়, ভাইয়ে বোনে ভাগ হতে চায়, এমনকি দেশের নানা দলও ভাগ হতে চায়। একদল ভাগ হয়ে তিন দল হয়ে যায়, নারী সমাজও ভাগ হতে চাইছে। নারী স্বাধীনতা নিয়ে কি বিরাট হইচই। এজন্যই মানুষ নিজ পরিবারের বাইরে চিন্তা করতে পারে না। অথচ পৃথিবীটা সকলের।
আজকাল মানুষ সব কিছুতেই স্বার্থপর।
ধর্মে, কাজে, চিন্তা ভাবনা, প্রেম ভালোবাসা, দান, সহযোগিতা, সাহিত্যে, শিক্ষা, আন্তরিকতা- সব কিছুতেই মানুষ স্বার্থপর। মানুষের কোনো গন্তব্য নেই। সে কি করছে, কোথায় চলছে সে জানে না। মানুষ তার শেষ পরিনতির কথা ভাবে না। একাএকা ভালো থাকা যে ভালো না, আসল ভালো থাকা হচ্ছে সকলকে নিয়ে ভালো থাকা। এটা মানুষ বুঝতে চায় না। আছে নাকি এই সমাজে কোনো একান্নবর্তী পরিবার? এজন্য দায়ী নারীরা।
ডেবিট ক্রেডিট না মিললে তো সমস্যা।
ব্যালান্স শিট মিলবে না। ক্ষুধিত পাষাণ নাটকে একটা ডায়লগ আছে, তফাত যাও! তফাত যাও! সব ঝুট হ্যায়! জালাল উদ্দিন রুমী বলেছিলেন, 'অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ।'
নিজের কথায় আসি, বিচ্ছিন্ন ভাবে অনেক কিছুই আমি শিখেছি।
ডারউইন তত্ত্ব থেকে মার্কসবাদ, বিশ্বসাহিত্যও কিছুটা জানি, আরো জানি, ফিজিক্স কেমিস্ট্রি আর ধর্ম। যদিও সব ভাসা ভাসা জ্ঞান। কথা গুলো বলেছিলাম মস্ত বড় এক বিজনেস ম্যানকে। উনি বললেন, স্যরি আপনার চাকরি হবে না। কারণ তোমার কোয়ালিফিকেশন এবং এম্বিশন দুর্বল। মনটা বিষন্নতায় ভরে গেলো। আমি কোনোরকম ভনিতা না করেই বললাম, চাকরির বাজারটাই স্যাচুরেটেড। আমি চলে আসছি, তখন বিজনেসম্যান বললেন, তুমি প্রাচীনপন্থী। তবে হার মেনো না। তোমার হবে। তোমার কিছু হবেই।
মৃত্যুর কাছে মানুষ বড় অসহায়।
মৃত্যুর কথা মনে হলেই বুকটা কেমন ফাকা ফাকা লাগে। এখন আমার মরতে ইচ্ছা করে না। বারবার কন্যার কথা মনে হয়। আমি মরে গেলে সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়বে দুজন মানুষ। বাচার লোভ হয় খুব। লোভ ডেকে আনে সর্বনাশ। সেই বহু অতীত থেকেই কোরআন, বাইবেল, রামায়ণ, মহাভারত এ বলা হয়েছে লোভ করো না। তবু মানুষের লোভ গেলো না। লোভ মানুষকে দুষ্ট বুদ্ধি জোগায়। পৃথিবী সৃষ্টির পর মানুষ অনেক প্রশ্নের উত্তর পায়নি, তাই অলীক ঈশ্বর কল্পনা করে নিয়েছে।
অনেকদিন আগে ঢাকার কাছে একটা গ্রামে গিয়েছিলাম।
হাটতে হাটতে অনেক দূর চলে গিয়েছিলাম। মনে হলো এখানে আগে কেউ আসেনি। আমি আবিষ্কার করেছি।জায়গাটার একটা নামও দিয়ে দিলাম, গাঙ পাড়। জংলা জায়গা, ঘাসপাতা দিয়ে পুরো এলাকা ছয়লাপ। শ্রীহীন জায়গা। ঐশ্বর্য নিশ্চয়ই কিছু আছে, ধরতে পারছি না। অনুসন্ধান না করলে কিচ্ছু মেলে না। পাখি ডাকছে, উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস আসছে, আমার মন ভালো নেই। একটা নদী দেখা যাচ্ছে। নদী আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু কেন মন ভালো নেই বুঝতে পারছি না।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



