
১। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা গুলো পড়ুন।
আর প্রকৃতি উপভোগ করুণ। উনি যা লিখেন তার তুলনা হয় না। 'তালনবমী' পড়ে আমার মতো নিষ্ঠুর মানুষের চোখেও পানি এসে পড়েছে। আরণ্যক উপন্যাসটা তো অবশ্যই পড়বেন। মাথা নষ্ট উপন্যাস। সেই সাথে শীর্ষেন্দুর 'পার্থিব' উপন্যাসটা পড়বেন। পার্থিবে একটা চরিত্র আছে, হেমাঙ্গ নাম। সে কলকাতা শহর ছেড়ে হঠাত গ্রামে চলে যায়। একটা বাড়ি কিনে। নদীর কাছে তার বাড়ি। শীর্ষেন্দুর আরেকটা উপন্যাসটা 'চক্র' নামে। সেটাও পড়বেন।
হুমায়ূন আহমেদের 'ফেরা' উপন্যাসটা পড়নবেন।
তারপর 'গৌরীপুর জংশন' পড়বেন। আর 'মীরার গ্রামের বাড়ি' এটাও পড়বেন। বুদ্ধদেব গুহ'র 'সবিনয় নিবেদন উপন্যাসটা অবশ্যই পড়বে। পুরো উপন্যাস চিঠি দিয়ে শুরু, চিঠি দিয়ে শেষ। গ্রাম, বন জঙ্গল সব পাবেন। সমরেশের 'গর্ভধারিনী' উপন্যাসতা পড়বেন। এছাড়া লাল সালু, হাজার বছর ধরে। আসলে গ্রাম বাংলা নিয়ে ভালো ভালো বইয়ের অভাব নেই। কবি জসিম উদ্দীনের সমস্ত লেখা গুলো পড়বেন। আর মুগ্ধ হবেন। রবীন্দ্রনাথের 'গল্পগুচ্ছ' পড়বেন।
২। বাসে এক তরুন ছেলে উঠে কান্না ভেজা গলায় বলে, আমার মা খুব অসুস্থ।
আমাকে সাহায্য করুণ। কেউ কেউ বলে ঘরে খাবার নেই। বাসায় আমার ছোট বাচ্চা না খেয়ে আছে। আমাকে সাহায্য করুণ। শেষে দেখা যায়, সেই ছেলে টাকা নিয়ে নেশা করছে। যারা নেশা করে তাঁরা টাকার জন্য সব কিছু করতে রাজি আছে। যার হাত নেই, সে মানুষকে বলে আমার হাত নেই, আমাকে সাহায্য করুণ। যার পা নেই, সে বলে আমার পা নেই আমাকে সাহায্য করুণ। যে অসুস্থ সে বলে আমি অসুস্থ, চিকিৎসা করাবো সাহায্য করুণ। চারিদিকে সবাই হাত পেতে থাকে।
৩। বাংলাদেশে নির্বোধ লোকদের অভাব নেই।
কাঁচা রাস্তা, মাত্রই ঢালাই করা হয়েছে। রাস্তা দড়ি বা কিছু দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। রাস্তাটা দেখলেই বুঝা যায়, মাত্র ঢালাই করা হয়েছে। সেই কাঁচা রাস্তায় কোনো না কোনো নির্বোধ পা দিয়ে দিবে। রাস্তা নষ্ট করে দিবে। কাঁচা রাস্তা দিয়ে যদি একটা কুকুর হেটে যায়, সেটা ক্ষমা করা যায়। কিন্তু মানুষ হেটে গেলে তাকে মানুষ না বলে 'ছাগল' বলা যেতে পারে। চিন্তার বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে দিন দিন ছাগলের পরিমান বেড়েই যাচ্ছে। এই ছাগল গুলো যেখানেই যায়, সেখানকার পরিবেশ নষ্ট করে দেয়।
৪। এখন আমার কোনো বন্ধু নেই। আড্ডা দিতে পারি না। দল বেঁধে বেড়াতে যাওয়া হয় না। চায়ের দোকানে রাজনীতি, সাহিত্য, নারী, ধর্ম, ইতিহাস ইত্যাদি কোনো বিষয় নিয়েই আড্ডা দেওয়া হয় না। আমি সব সময় বন্ধু অন্তপ্রান ছিলাম। দিনের পর দিন টিএসসি'তে আড্ডা দিয়েছি। নিউ মার্কেটে আড্ডা দিয়েছি। রেল লাইনের পাশে চুন্নু মামার একটা চায়ের দোকানা ছিলো, সেই চায়ের দোকানে সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছি। কি তুমুল আড্ডা, সেই দিন গুলো কই? প্রতিদিন আড্ডা না দিলে পেটের ভাত হজম হতো না।
দুঃখের বিষয় হচ্ছে- এখন আমার কোনো বন্ধু নেই। কেউ আমার কোনো কোনো খোজ নেয় না। এমনকি কেউ একটা ফোন পর্যন্ত করে না। আমি ফোন দিলেও কেউ ধরে না। অফিসে গেলেও কেউ দেখা করে না। সারাদিন একাএকা থাকি। দম বন্ধ হয়ে আসে। মনে হয় প্রান ভরে অন্তত ঘণ্টা খানিক আড্ডা দিতে পারলে খুব ভালো লাগতো। মানব জীবনে বন্ধু দরকার আছে। বন্ধুহীন জীবন বড় কষ্টের, বড় যন্ত্রনার। যা আমি ভোগ করছি। দিনের দিন আমি বন্ধু ছাড়া। ভালো লাগে এই জীবন?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



