
আমি হতে চাই বিশ্ব নাগরিক।
পুরো বিশ্বটাকেই নিজের দেশ বলে ভাবতে চাই। আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে মানুষ কঠোর হয়েছে। এক দেশের দু:খ কষ্ট আরেক দেশের মানুষের মন স্পর্শ করে না। এক দেশের অভাব আরেক দেশ দেখেও দেখে না। সাধারণত জন্মস্থানকেই মানুষ নিজের দেশ বলে ভাবে। আমার মায়ের জন্ম ভারতের আসামে। নানা নানী ব্যবসার কাজে বিক্রমপুর থেকে আসাম যায়। তখন মায়ের জন্ম হয়। মা বলে ভারতের জন্য আমার মায়া হয়। ইন্ডিয়া ক্রিকেট খেলায় হারলে আমার কষ্ট হয়। স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে মা নিজেকে বিশ্ব নাগরিক ভাবতে পারছে না। সে বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে আটকে আছে। নিউজিল্যান্ড খেলায় হারলে মায়ের মন খারাপ হয় না।
এক দেশে অভাব, আরেক দেশে বিলাসিতা।
কেন এমনটা হবে? বিশ্ববাসী যদি পুরো বিশ্বটাকেই নিজের দেশ বলে ভাবতে পারতো তাহলে দেশে দেশে এত অভাব অনটন থাকতো না। মন চাইলেই আমি চলে যাবো, আমস্টারডাম। চলে যাবো লাসভেগাস। অথচ ইচ্ছে করলেই যাওয়া যাবে না। লাগবে ভিসা। কেন এমনটা হবে।! এক দেশের বিপদে আরেক দেশ ঝাপিয়ে পড়বে। অথচ ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ করছে, অন্যদিকে ইজরায়েল ফিলিস্তিন। কেন আধুনিক বিশ্বে যুদ্ধ হবে? এখন আমরা আধুনিক যুগে বাস করি। গুহায় বাস করি না। গনিমতের মালের দিন শেষ। কাফেলা দেখলেই আক্রমণ করো। লুটপাট করো। নারীদের ছিনিয়ে নাও। সেসব কালো সময় আমরা পেরিয়ে এসেছি। অতীতের ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
একদেশে এত বেশি গম হয়েছে যে রাখার জায়গা নেই।
তখন তারা গম জাহাজে করে নিয়ে সমুদ্রের গভীরে ফেলে দিচ্ছে। অন্য দিকে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। তাদের খাবার নেই। খেতে না পেয়ে মানুষ মরছে। গম গুলো সমুদ্রে না ফেলে ইথিওপিয়ানদের দিলে সমস্যা কি ছিলো? আমেরিকানরা অস্ত্রের ঘাটি বানাচ্ছে। কেন তারা অস্ত্র বানাবে? কেন আরেক দেশ পারমাণবিক বোমা বানাবে? যা করতে হবে তা হচ্ছে, বিশ্বে যে বা যারা অশান্তি তৈরি করবে তাদের মরুভূমিতে নিয়ে গিয়ে পুতে ফেলতে হবে। দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভালো। বিশ্বে যারাই সমস্যা সৃষ্টি করবে তাদের মাইনাস করে দিতে হবে। নইলে বিশ্ব শান্তি কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে? এজন্য আমি একটা দেশের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকতে চাই না।
শুধু মাত্র একটা দেশের নাগরিক হলে মন সংকীর্ণতায় ভরে যায়।
এজন্য আমাদের বিশ্ব নাগরিক হতে হবে। বিশ্বের সব জাতি সব জাতির সাথে মিশবে। তাতে জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। একজন মানুষ নিজেকে বিশ্ব নাগরিক মনে করলে, তখন সে শুধু তার জন্মস্থান নিয়ে ভাববে না। অন্যদেশ নিয়েও ভাববে। একজন বিজ্ঞানীর কথা ভাবুন। অনেক গবেষণা করে তিনি আবিস্কার করেন। তার আবিস্কার কিন্তু শুধু মাত্র তার দেশ ব্যবহার করে না। ব্যবহার করে সারা বিশ্বের মানুষ। হিন্দু ও মুসলমানরা জাত পাত নিয়ে বেশি ভেদাভেদ করে। জাতপাত নিয়ে বহুবার দাংগা হয়েছে। ফলাফল মানুষ মরেছে। ধর্ম সৃষ্টির পর শুধু মানুষের ক্ষতিই করে গেলো। পৃথিবীতে ধর্ম না থাকলে পৃথিবীটা অনেক শান্তিময় হতো। হানাহানি, খুনোখুনি, লুটপাত হতো না। নারীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বস্তাবন্ধী হতো না।
একজন মানুষ যদি নিজেকে বিশ্ব নাগরিক ভাবতে পারে তাহলে পুরো বিশ্বের উপকার।
পাসপোর্ট ভিসা ইমিগ্রেশন এসব আমি চাই না। সব দেশের মানুষ বিনা দ্বিধায়, বিনা সমস্যায় সব দেশে যাবে, আসবে। কোথাও কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না। তবেই পৃথিবীটা সহজ ও সুন্দর হবে। সব দেশের সাথে সব দেশের একটা বন্ধন হবে। তাতে পুরো বিশ্বের ভালো হবে। হ্যা জানি বিশ্বে কিম, পুটিন, এরদোয়ান সহ বহু মাফিয়া আছে, আছে দুষ্ট লোক এরা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান করবে। এদেয় বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। দুষ্ট লোকদের কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবে তাদের ক্ষুধার্ত বাঘের খাচায় ফেলে দিতে হবে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের কানটা ধরে মরুভূমিতে ছেড়ে দিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



