
নির্বাচন উপলক্ষ্যে জাতি দু'দিনের অলিখিত ছুটি পেয়েছে।
আমিও পেয়েছি। সারাদিন শুয়ে বসে ছিলাম। মুভি দেখেছি। খেয়েছি। মেয়ের সাথে গল্প করেছি। দেখা মুভি গুলোই আবার দেখেছি। আমার প্রিয় কিছু মুভি আছে সেগুলোই ঘুরে ফিরে বারবার দেখি। দেখা মুভি পুনরায় দেখতে আমার বিরক্ত লাগে না। 'শশাঙ্ক রিডেম্পশন', 'লাইফ ইজ বিউটিফুল' এবং 'ফরেস্ট গাম্প'। এই তিনটা মুভি দেখলাম। দারুন মুভি। বারবার দেখার মতোই মুভি। দুপুরে ছোট ভাইয়ের বউ খিচুরী আর গরুর মাংস রান্না করে ছিলো। খেতে ভালো হয়েছিলো। ইচ্ছে মতো খেলাম। তারপর বিছানায় গেলাম। হাতে বই। বইয়ের নাম- 'গর্ভধারিনী'। লেখক সমরেশ মজুমদার। বইটা পনের বছর আগে একবার পড়েছিলাম। আবার নতুন করে পড়তে ইচ্ছা করলো। দুই পাতা পড়তেই, গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙ্গালো। দারুন এক স্বপ্ন দেখলাম।
ঢাকায় ভোরের দিকে বেশ শীত পড়ে।
সেদিন ভোরবেলা বাসা থেকে বের হলাম। তখন সকাল ৭টা। স্ত্রী কন্যা গভীর ঘুমে। তাদের আর ডাকি নাই। আমার ছোট কন্যা ফারাজা যেন নবাবজাদী। সে ঘুম থেকে উঠে ১১ টার পর। অবশ্য ফারাজা অনেক রাতে ঘুমায়। তাছাড়া তার স্কুল কলেজ নেই। কাজেই সে দেরীতে উঠলেও কোনো সমস্যা নেই। যাইহোক, সকালে বাসা থেকে বের হলাম। প্রচন্ড শীত। চারিদিকে কুয়াশা। আমি একটা রিকশায় উঠে বসলাম। ধানমন্ডি ঝিগাতলা আমার কাজ আছে। কুয়াশা ভেদ করে রিকশা এগিয়ে যাচ্ছে। বেশ লাগলো। একদা এমনই এক কুয়াশার ভেতর দিয়ে আমি আর নীলা হারিয়ে গিয়েছিলাম। রাতে আমরা আরামবাগ থেকে একটা বাসে উঠে পড়ি। সেই বাস রাজশাহী যায়। ভোরবেলা বাস থেকে নেমে আমি আর নীলা একটা দোকান থেকে চা খেলাম। তারপর রিকশায় উঠে বসি। সেদিন প্রচন্ড কুয়াশা ছিলো। কুয়াশা ভেদ করে রিকশা এগিয়ে যাচ্ছিলো!
ইদানিং ব্লগে আসলে আমার মন খারাপ হয়।
ব্লগের প্রান চাদ্গাজী/সোনাগাজীকে দীর্ঘদিন ধরে কমেন্ট ব্যানে রাখা হয়েছে। এটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আশাকরি সামু টিম বা মডারেটর সাহেবের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। মাঝে মাঝে মন চায় সোনাগাজী ব্যান মুক্তি না হলে আমি সামুতে এক লাইনও লিখব না, একটা মন্তব্যও করবো না। কিন্তু এটা সোনাগাজীর ভালো লাগবে না। তাই লিখছি, মন্তব্য করছি। এদিকে একটা নিক 'চাটুকারিতা করুন। মেরুদণ্ডহীনতায় থাকুন।' কি করে এই কুৎসিত নিকটা সামুতে একসেস পেলো। এই নিক থেকেই বুঝা যায় ক্যাচাল করতেই সে সামুতে নিক খুলেছে। এডমিন সাহেব কেন তাকে মন্তব্য করার ক্ষমতা দিলো? তাহলে কি ধরে নিবো- এডমিন চায় কেউ কেউ সামুতে ক্যাচাল করুক? কোথাও শান্তি নাই। ট্রেনে শান্তি নাই, নির্বাচনের মাঠে শান্তি নাই। ব্লগেও শান্তি নাই। আমরা যাবো কোথায়?
আজ আমি বাজারে যাবো সন্ধ্যায়।
ফ্রিজ পুরো খালি। আজ আমি ইচ্ছা মতো বাজার করবো। মন ভরে বাজার করবো। মাছ মাংস সবজি এবং কাচা বাজার সবই কিনতে হবে। কন্যার জন্য ফল কিনতে হবে। সুরভিকে বলে দিয়েছি বাজারের লিস্ট তৈরি করো। যেন আগামী একমাস আর বাজারে যেতে না হয়। বাজার করতে আমার ভালো লাগে। বড় দেখে একটা রুই মাছ কিনবো। বাজার থেকেই কাটিয়ে আনবো। চায়নিজ কাট। ইলিশ মাছ কেনার ইচ্ছা আছে। ফারাজা ইলিশ মাছের ডিম খেতে চেয়েছে। আমার নিজেরও ইলিশ মাছের ডিম খুব পছন্দ। তবে আমি ইলিশ মাছের ডিম আমি খাবো না। মেয়ে খাক। তাহলেই আমি খুশি। গরুর মাংস তো কিনতে হবেই। ঘর ভরতি নানান রকম খাবার না থাকলে আমার ভালো লাগে না। কন্যার জন্য একটা টিভি কিনতে হবে। টিভি কিনবো আগামী মাসে।
ব্যারিস্টার সুমন নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
তাকে নিয়ে দেশের মানুষ আশাবাদী। শাকিব, ফেরদৌস এদের নিয়ে দেশের মানুষ আশাবাদী হতে পারছে না। এদিকে আশা করা যায় আগামী পাচ বছরে বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে। হাসিনা যতদিন বেচে আছে ততদিন জামাত শিবির মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। এখন দেশের মানুষ আওয়ামীলীগের কাছে চায়- জিনিসপত্রের দাম কমুক। লেখাপড়ার মান উন্নত হোক। বেকারত্ব কমুক। কিছু দূর্নীতিবাজ ধরা পড়ুক। শুদ্ধি অভিযান পুনরায় চালু হোক। যাদের সম্পদের পরিমান কয়েক গুন বেড়েছে তাদের জবাবদিহিতার আওয়াত আনা হোক। সরকারী হাসপাতাল থেকে দালাল দূর হোক। ফুটপাত দখলমুক্ত হোক। ছাত্রলীগ রাজনীতি বাদ দিয়ে পড়াশোনায় মন দিক। নব্যধনীদের লাগাম টেনে ধরা হোক। তাহলেই দেশের মানুষ খুশি। দেরী হোক যায়নি সময়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



