
বাংলাদেশের মানুষ গুলো মূলত ইতর শ্রেনীর।
কিন্তু একসময় এই দেশের মানুষ গুলো ইতর ছিলো না। সত্য কথা বলতে ২০০০ সালের পর থেকেই মানুষ ইতর হতে শুরু করে। এখন মানুষ ইতরের শেষ সীমানায় পৌছে গেছে। এজন্য দায়ী আমাদের দেশের রাজনীতি। বটগাছের নিচে দাড়ালে যেমন আপনার গায়ে বটগাছের ছায়া পড়বে। ঠিক তেমনি রাজনীতির কালো ছায়া দেশের সব মানুষের উপর পড়ে। দেশের মানুষ তিনবেলা খেয়েপড়ে সুন্দর ভাবে বেচে থাকতে চায়। চাকরি চায়। চায় জিনিসপত্রের দাম সহনীয় থাকুক। চায় রাস্তায় জ্যাম না থাকুক। চায় আনন্দময় একটা দেশ হোক। চায় মানবিক একটা দেশ হোক। চায় লেখাপড়ার মান বাড়ুক। চায় দেশের টাকা যেন বিদেশে পাচার না হোক।
সরকার বলছে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
আসলেই কি দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে? উন্নয়নের মহাসড়কে কত পরিবার রাস্তায় ঘুমায়? উন্নয়ন মূলত হয়েছে আওয়ামীলীগের লোকজনদের। ছাত্রলীগের। রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনদের। উন্নতি হয়েছে সরকারি আমলাদের। কারো কারো সম্পদ বেড়েছে ত্রিশ গুন। শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান বন্ধ হয়ে গেলো! এদিকে দেশে বেকারের অভাব নেই। রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। সরকারি হাসপাতালে দালাল। বাসে উঠে ভিক্ষুক ভিক্ষা চায়। ফুটপাত দিয়ে হাটা যায় না। দুই মেয়র আজ পর্যন্ত ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পারেননি। সকাল সন্ধ্যা রাস্তায় জ্যাম। চোর ছিনতাইকারীর সংখ্যা বহু গুন বেড়েছে। ঘুষ ও দূর্নীতি তো রক্তের সাথে মিশে গেছে এই জাতির। নব্য ধনীদের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। জিনিসপত্রের দাম ধৈর্য্যের বাইরে চলে গেছে। লেখাপড়ার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। সব মিলিয়ে দেশের গজব অবস্থা। কি হবে মেট্রোরেল আর পদ্মাসেতু দিয়ে? যদি দেশের মানুষ রাস্তায় বের হলেই হাত পাতে।
আমাদের দেশ একটা নিকৃষ্ট দেশে পরিনত হয়েছে।
সুযোগ থাকলে এই পোড়া দেশে কেউ থাকতো না। সবাই ইউরোপ আমেরিকা চলে যেতো। এইবার আওয়ামিলীগ আর বিএনপি আকচা আকচি করুক। সেই সাথে যোগ দিক জামাত আর জাতীয় পার্টি। হরতাল দিক, অবরোধ দিক, দিক গাড়ি বাসে আর ট্রেনে আগুন। দেশটা শেখ হাসিনার বাপের আর খালেদা জিয়ার স্বামীর। আমরা জনগণ ধইঞ্চা। সহজ সরল সত্য কথা হলো- এই দেশে জন্ম নেওয়াটাই পাপ। দরিদ্র দেশ পৃথিবীতে অনেক আছে। কিন্তু তারাও আমাদের চেয়ে ভালো আছে। আমাদের দেশে সৎ মানুষ নেই। অথচ চারপাশে মসজিদ আর মসজিদ। সব গুলো মসজিদ থেকে একসাথে আযান দেওয়া হয়। অর্থাৎ শব্দ দুষন হয়। আমাদের দেশে খাটি মানুষ নেই। আমাদের দরকার মাওলানা ভাসানী আর তাজ উদ্দীনের মতো লোক।
দেশের বর্তমান প্রজন্ম হলো প্রতিবন্ধী প্রজন্ম।
এরা অতি নিম্মমানের ছাগল। এই ছাগল গুলোর যেন জন্মই হয়েছে প্রেম ভালোবাসা, টিকটক, ফেসবুক আর ইউটিউব এর মধ্যে জীবন যাপন করার জন্য। এদের বাপ মাও কিছু বলে না। এরা জন্ম দিয়েই খালাস। সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি দেখে দেখে এরা নিজেরাই তৈরি করেছে কিশোর গ্যাং। বাচ্চা বাচ্চা পোলাপান চাইনিজ কুড়াল নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। নৌকা ভাড়া করে, একটা বেশ্যা ভাড়া করে নৌকার মধ্যে অশ্লীল নাচ গান করে। নিজেরাই ভিডিও করে ইউটিউবে ছেড়ে দেয়। লাখ লাখ ভিউ হয়। বাড়ির ছাদে বসে খায় গাজা। বারে বসে মদ খায়। মেয়ে নিয়ে রিসোর্টে ফুর্তি করে। বিয়ের আগেই মেয়েরা প্রেগন্যান্ট হয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের মহাসড়কে পতিতারা লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকে সারারাত। শেখ হাসিনা কি জানেন?
এখন বাসে বয়স্ক মা খালারা দাড়িয়ে থাকলে তাদের বসার জন্য সিট কেউ ছেড়ে দেয় না।
সিটের উপর পা তুলে মোবাইল চালায়। এখন দেশের মানুষের মধ্যে দয়া মায়া মমতা কিচ্ছু নেই। নিজ পরিবার ছাড়া কেউ অন্যকে নিয়ে ভাবতে চায় না। দেশে ভালো আছে সরকারি আমলা, রাজনীতিবিদ এবং রাজনীতিবিদদের ছাত্রছায়ায় থাকা মানুষপজন। সাধারন মানুষেরা ভয়াবহ কষ্টে দিন যাপন করছে। দেশে সাধারণ মানুষের সংখ্যাই বেশি। এক শ্রেনী মদ খেয়ে টাকা উড়াচ্ছে, আরেক শ্রেনী বাচ্চার জ্বর দুধ কিনতে পারছে না। ভিক্ষুকেরা মানুষের কাছে হাত পাতে কিন্তু দরিদ্র ও অসহায় মানুষেরা কারো কাছে হাত পাততে পারে না। দেশের মানুষ ভালো নেই। আল্লাহর কসম দেশের মানুষ ভালো নেই।
বর্তামানে দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। সঠিক শিক্ষা।
শেখ মুজিব যে কেন ১৯৭২ সালে দেশে সবার জন্য শিক্ষা ফ্রি করলেন না, সেটা আমার বুঝে আসে না। তার কন্যাও শিক্ষা সম্পূর্ণ ফ্রি করলেন না। শিক্ষা ছাড়া জাতি উন্নতি করবে কি করে? অনার্স পাশ করা ছেলেমেয়ে গুলো এক লাইন সঠিক করে লিখতে পারে না। শিক্ষার আগে দরকার সঠিক পারিবারিক শিক্ষা। এই প্রজন্ম পরিবার থেকে যথাযথ পারিবারিক শিক্ষা পায় না। রাস্তায় কিশোর কিশোরীরা দিনে দুপুরে সকলের সামনে জুতোর আঠা দিয়ে নেশা করছে। দেখার কেউ নেই। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলো দেশের লেখাপড়ার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। সেমিস্টার ফি দিলেই পাশ। দেশে বিজ্ঞানী নেই, জ্ঞানী লোক নেই। ভালো লোক নেই। সৎ মানুষ নেই। আছে শুধু কোরআনে হাফেজ। এত হাফেজ দিয়া আমরা কি করিব? পদ্মাসেতু, টার্মিনাল, টার্নেল ইত্যাদি তৈরির জন্য আমাদের বিদেশ থেকে লোক আনাতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



