রমজান মাসে ঢাকার মানুষ গুলো কেমন পাগল পাগল হয়ে যায়।
ক্রেতা বিক্রেতা দুজনের মধ্যে অস্থিরতা। চারিদিকে সব জমজমাট অবস্থা। বড় বড় শপিংমল জমজমাট। ফুটপাত আরো বেশি জমজমাট। বাসে ভিট, মেট্রোতে বিড়, ফুটপাত দিয়ে তো হাটাই যায় না। অনলাইন ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ব্যাপক অস্থিরতা। একজন ভিক্ষুক পর্যন্ত দারুন ব্যস্ত। ব্যস্ত ফুটপাতের মধ্যে একজন ভিক্ষুক অনেকখানি জায়গা দখল করে ভিক্ষা করছে। অন্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে তার ইনকাম ভালো। রমজান মাসে মানুষ দান-খয়রাত বেশি করে। মন্দ কাজও বেশি করে।
রমজান মাস হলো রহমতের মাস। এই মাসে সব বেশি বেশি।
এই মাসে সবাই হাত পেতে থাকে। করোনার পর থেকেই দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে। এবং অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। ঢাকায় ভিক্ষুকের সংখ্যা খুব বেশি বেড়ে গেছে। কৃপন মানুষও রমজান মাসে দানখয়রাত বেশি করে। কোরআন হাদীসে আছে, রমজান মাসে সত্তর গুন বেশি সওয়াব। ধার্মিকেরা সওয়াবের জন্য পাগল। সওয়াব, নেকী দিয়ে মানুষের কি উপকার হয়? ফজিলত বা আমল দিয়েই বা মানুষের কি হয়? সোয়াব, আমল, নেকী আর ফজিলত কি পরকালের ব্যপার স্যাপার? মানুষ কি দান খয়রাত করে স্বার্থের জন্য? স্বার্থ ছাড়া কি মানুষ কিছুই করে না? একজন স্বচ্ছ, পবিত্র এবং সৎ মানুষ বাংলাদেশে নেই।
বাংলাদেশে প্রতিটা মানুষ, প্রতিটা মানুষকে ঠকাচ্ছে।
কাউকে ঠকাতে পারলেই মানুষ ভাবে 'জিতে গেছি'। মিথ্যাকেই মানুষ বারবার বলে, সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আমাদের দেশের লোকজন মূলত ইতর শ্রেণীর। এইসব ইতর যদি লন্ডন, আমেরিকা বা অস্টেলিয়া যায়, সেখানে গিয়েও ইতরামি করে। ইতরামি না করলে পেটের ভাত হজম হয় না। দেশভাগের পর থেকেই আমরা একটা দুখী জাতিতে পরিনত হয়েছি। আমরা ভাতে, কাপড়ে, প্রেম ভালোবাসায় সব কিছুতেই দুখী। নানাবিদ দুখ কষ্ট থেকেই পুরো জাতি ইতরামি করছে। এরপর যারা দেশ পরিচালনা করছেন, তারা প্রায় মগজহীন। সরকারি আমলারা তো জমিদার। দক্ষ ও যোগ্য মন্ত্রী এমপি খুজে পাই না। চারিদিকে শুধু ইতর। আর ইতর। এই দেশে আনন্দ নিয়ে সুস্থ ভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব নয়। পুরো দেশ দুষিত। পুরো জাতি দুষিত হয়ে গেছে। অসুখী দেশ আমাদের। আমরা ফিনল্যান্ড হতে পারবো না। কবে শেখ মুজিবের সোনার বাংলাদেশে হব?
আওয়ামিলীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়।
তারা মেট্রোরেল করলো, পদ্মা সেতু করলো, অনেক রাস্তা ঘাট করলো। দেশ ডিজিটাল করলো। দেশকে নিয়ে গেলো উন্নয়নের মহাসড়কে। কিন্তু উন্নয়নের মহাসড়কে দরিদ্র আর অসহায় মানুষের ভিড়। রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। চারিদিকে বেকার দিয়ে ভরা। পদ্মা সেতু বা মেট্রোরেলের চেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিলো দেশে চাকরি সৃষ্টি করা। বেকারত্ব কমানো। লেখাপড়ার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি অনার্স পাশ করা ছেলেমেয়ে একপাতা দরখাস্ত লিখতে পারে না ইংরেজিতে। ডিগ্রী পাশ করা ছেলে মহান বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন বা আইনস্টাইনের নাম জানে না। দেশের ছাত্রলীগ তো জল্লাদ। তাদের অফ করা দরকার ছিলো ৭২ সালে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান অব্যহত থাকলে নব্য ধনীদের সংখ্যা এত বৃদ্ধি পেতো না।
কোরআনে হাফেজ দিয়ে জাতির উপকার হবে না।
বরং এরা জন্য জাতির বোঝা। কোরআন হাদীস মূখস্ত করা সহজ। আজকের আধুনিক বিশ্ব কোরআন হাদিস দিয়ে চলছে না। বিদেশ থেকে লোক এনে আমাদের পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ইত্যাদি তৈরি করতে হয়েছে। এই প্রজন্ম যদি টেকনোলজি জানে, বিজ্ঞান জানে, অর্থনীতি বুঝে এবং উন্নত দেশ গুলো কিভাবে চলছে এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকলে, এবং সঠিক শিক্ষা অর্জন করতে পারলে, এই প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এই প্রজন্ম ব্যস্ত ফেসবুক, টিকটক আর ইউটিউব নিয়ে। প্রতিটা এলাকায় কিশোর গ্যাং। ভয়াবহ তাদের কর্মকাণ্ড। আমাদের দেশে মসজিদ এবং ধার্মিকের সংখ্যা বেড়েছে অর্থাৎ মন্দ লোকের সংখ্যা বেড়েছে। চোর, দূর্নীতিবাজের সংখ্যা বেড়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮