somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাত

২২ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রমজান মাসে ঢাকার মানুষ গুলো কেমন পাগল পাগল হয়ে যায়।
ক্রেতা বিক্রেতা দুজনের মধ্যে অস্থিরতা। চারিদিকে সব জমজমাট অবস্থা। বড় বড় শপিংমল জমজমাট। ফুটপাত আরো বেশি জমজমাট। বাসে ভিট, মেট্রোতে বিড়, ফুটপাত দিয়ে তো হাটাই যায় না। অনলাইন ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ব্যাপক অস্থিরতা। একজন ভিক্ষুক পর্যন্ত দারুন ব্যস্ত। ব্যস্ত ফুটপাতের মধ্যে একজন ভিক্ষুক অনেকখানি জায়গা দখল করে ভিক্ষা করছে। অন্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে তার ইনকাম ভালো। রমজান মাসে মানুষ দান-খয়রাত বেশি করে। মন্দ কাজও বেশি করে।

রমজান মাস হলো রহমতের মাস। এই মাসে সব বেশি বেশি।
এই মাসে সবাই হাত পেতে থাকে। করোনার পর থেকেই দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে। এবং অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। ঢাকায় ভিক্ষুকের সংখ্যা খুব বেশি বেড়ে গেছে। কৃপন মানুষও রমজান মাসে দানখয়রাত বেশি করে। কোরআন হাদীসে আছে, রমজান মাসে সত্তর গুন বেশি সওয়াব। ধার্মিকেরা সওয়াবের জন্য পাগল। সওয়াব, নেকী দিয়ে মানুষের কি উপকার হয়? ফজিলত বা আমল দিয়েই বা মানুষের কি হয়? সোয়াব, আমল, নেকী আর ফজিলত কি পরকালের ব্যপার স্যাপার? মানুষ কি দান খয়রাত করে স্বার্থের জন্য? স্বার্থ ছাড়া কি মানুষ কিছুই করে না? একজন স্বচ্ছ, পবিত্র এবং সৎ মানুষ বাংলাদেশে নেই।

বাংলাদেশে প্রতিটা মানুষ, প্রতিটা মানুষকে ঠকাচ্ছে।
কাউকে ঠকাতে পারলেই মানুষ ভাবে 'জিতে গেছি'। মিথ্যাকেই মানুষ বারবার বলে, সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আমাদের দেশের লোকজন মূলত ইতর শ্রেণীর। এইসব ইতর যদি লন্ডন, আমেরিকা বা অস্টেলিয়া যায়, সেখানে গিয়েও ইতরামি করে। ইতরামি না করলে পেটের ভাত হজম হয় না। দেশভাগের পর থেকেই আমরা একটা দুখী জাতিতে পরিনত হয়েছি। আমরা ভাতে, কাপড়ে, প্রেম ভালোবাসায় সব কিছুতেই দুখী। নানাবিদ দুখ কষ্ট থেকেই পুরো জাতি ইতরামি করছে। এরপর যারা দেশ পরিচালনা করছেন, তারা প্রায় মগজহীন। সরকারি আমলারা তো জমিদার। দক্ষ ও যোগ্য মন্ত্রী এমপি খুজে পাই না। চারিদিকে শুধু ইতর। আর ইতর। এই দেশে আনন্দ নিয়ে সুস্থ ভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব নয়। পুরো দেশ দুষিত। পুরো জাতি দুষিত হয়ে গেছে। অসুখী দেশ আমাদের। আমরা ফিনল্যান্ড হতে পারবো না। কবে শেখ মুজিবের সোনার বাংলাদেশে হব?

আওয়ামিলীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়।
তারা মেট্রোরেল করলো, পদ্মা সেতু করলো, অনেক রাস্তা ঘাট করলো। দেশ ডিজিটাল করলো। দেশকে নিয়ে গেলো উন্নয়নের মহাসড়কে। কিন্তু উন্নয়নের মহাসড়কে দরিদ্র আর অসহায় মানুষের ভিড়। রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। চারিদিকে বেকার দিয়ে ভরা। পদ্মা সেতু বা মেট্রোরেলের চেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিলো দেশে চাকরি সৃষ্টি করা। বেকারত্ব কমানো। লেখাপড়ার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি অনার্স পাশ করা ছেলেমেয়ে একপাতা দরখাস্ত লিখতে পারে না ইংরেজিতে। ডিগ্রী পাশ করা ছেলে মহান বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন বা আইনস্টাইনের নাম জানে না। দেশের ছাত্রলীগ তো জল্লাদ। তাদের অফ করা দরকার ছিলো ৭২ সালে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান অব্যহত থাকলে নব্য ধনীদের সংখ্যা এত বৃদ্ধি পেতো না।

কোরআনে হাফেজ দিয়ে জাতির উপকার হবে না।
বরং এরা জন্য জাতির বোঝা। কোরআন হাদীস মূখস্ত করা সহজ। আজকের আধুনিক বিশ্ব কোরআন হাদিস দিয়ে চলছে না। বিদেশ থেকে লোক এনে আমাদের পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ইত্যাদি তৈরি করতে হয়েছে। এই প্রজন্ম যদি টেকনোলজি জানে, বিজ্ঞান জানে, অর্থনীতি বুঝে এবং উন্নত দেশ গুলো কিভাবে চলছে এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকলে, এবং সঠিক শিক্ষা অর্জন করতে পারলে, এই প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এই প্রজন্ম ব্যস্ত ফেসবুক, টিকটক আর ইউটিউব নিয়ে। প্রতিটা এলাকায় কিশোর গ্যাং। ভয়াবহ তাদের কর্মকাণ্ড। আমাদের দেশে মসজিদ এবং ধার্মিকের সংখ্যা বেড়েছে অর্থাৎ মন্দ লোকের সংখ্যা বেড়েছে। চোর, দূর্নীতিবাজের সংখ্যা বেড়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×