somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

যদি আজ বিকেলের ডাকে তার কোনো চিঠি পাই

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি প্রচুর মুভি দেখি। আমার হাতে অনেক সময়।
প্রতিদিন কমপক্ষে চারটা মুভি দেখি। মুভি দেখে-দেখে অভ্যাস হয়ে গেছে খারাপ। কোনোদিন মুভি না দেখা হলে মনে হয়, দিনটাই মাটি গেলো আজ। ফালতু মুভি দেখে আমি সময় অপচয় করি না। আমি পৃথিবীর সেরা মুভি গুলো দেখি। কিছু কিছু মুভি আমার এত ভালো লেগে যায় যে, তিন চারবার করে দেখি। যেমন: The Shawshank Redemption. চমৎকার মুভি। চমৎকার অভিনয়। জেলখানার জীবন। জেল থেকে পালিয়ে যাওয়া। স্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতা। স্বপ্ন এবং সাহস থাকলে অসম্ভব কে সম্ভব করা যায়। মুভিটিত কিছু কিছু দৃশ্য আজও চোখে ভাসে। একটা কারাগারে আমৃত্যু থাকা ভীষণ কষ্টের।

আমার আরেকটা প্রিয় মুভি হচ্ছে, Forrest Gump.
এই মুভি আমি অনেকবার দেখেছি। আরো অনেকবার দেখিব। সহজ সরল ছেলে ফরেস্ট। তার পায়ে সমস্যা আছে। ফরেস্ট একদম জটিলতা কুটিলতা মুক্ত। বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সে শুধু সামনে এগিয়ে গেছে। তার এক মেয়ে বন্ধু আছে। সে বলে দৌড় দাও। দৌড় দাও। ফরেস্ট এমন দৌড় দেয়, সবাইকে ছাড়িয়ে যায়। ভাল মানুষেরা বিপদে পড়লেও বিপদ আপনাআপনি কেটে যায়। তার প্রমাণ ফরেস্ট। ফরেস্ট শুধু তার দায়িত্ব পালন করে গেছে। সফলতা নিয়ে কিচ্ছু ভাবেনি। ভিয়েতনামে যুদ্ধে সে অনেক সৈনিক কে বাচিয়েছে। ব্যবসায় সফল হয়েছে। খেলাধুলা করেছে, সেখানে জয়ী হয়েছে। তীব্র ইচ্ছা থাকলে এবং পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই।

গ্রেট চার্লি চ্যাপলিনের মুভি City Light. সাদা কালো মুভি।
অনেক পুরোনো মুভি। সিটি লাইট চার্লি চ্যাপলিনের লেখা। চার্লি অনেক গুলো মুভি করেছেন, কিন্তু সিটি লাইট আমার ভীষণ প্রিয় একটা মুভি। মুভিতে অন্ধ একটা মেয়ে থাকে। সে ভীষণ দরিদ্র। রাস্তায় ফুল বিক্রি করে। দূর থেকে মুগ্ধ হয়ে চার্লি তাকে দেখে। চার্লি কাজকামহীন মানুষ। তার টাকা নেই। একদিন এক লোকের সাথে তার দেখা হয়। লোকটা অনেক ধনী। সে আত্মহত্যা করবে। চার্লি তাকে বলে তুমি কেন মরবে? তাহলে তুমি আগামীকাল সকালটা দেখতে পাবে না। ফুলের সৌরভ পাবে না। পাখির গান শুনতে পাবে না। চার্লি অন্ধ মেয়েটির চোখের অপারেশন করায়। এই মুভির শেষ দৃশ্যে আমার মতো কঠিন হৃদয়ের মানুষের চোখেও পানি চলে আসছে। বুকের মধ্যে হাহাকার করে ওঠে।

একদিন এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে দেখি বন্ধু বাসায় নাই।
তার ফিরতে দেরী হবে। আমি একটা মুভি দেখতে শুরু করলাম। মুভির নাম- The God Must Be Crazy. দারুণ হাসির মুভি। তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে এই সিনেমা। কালাহারি মরুভূমিতে কয়েকটি পরিবার বাস করে। তারা বেশ মিলেমিশে ছিলো। যদিও আধুনিক সভ্যতা থেকে তারা অনেক দূরে। একদিন আকাশ দিয়ে একটা প্লেন যাচ্ছিলো। প্লেনের পাইলট একটা কোক খেয়ে, কোকের খালি কাচের বোতল নিচে ফেলে দেয়। এই কোকের খালি বোতল থেকে নানান ঘটনা ঘটতে থাকে। এই মুভি দেখে আমি হাসতে হাসতে আমি মাটিতে গড়াগড়ি খেয়েছি। এই মুভিটা আমি মাঝে মাঝে দেখি। মুগ্ধ হই, হাসি। হাসতেই থাকি। এই মুভি আমাকে আরো অনেকবার দেখতে হবে।

কিছু কিছু মুভি আছে, আমি প্রতি বছর একবার করে দেখি।
সেরকম একটা মুভি আছে, Life is beautiful. মুভির প্রথম অর্ধেক বেশ হেসেখেলে পার হয়ে যায়। বাকি অর্ধেক মন খারাপ করে বসে থাকতে হয়। হৃদয়ে রক্তক্ষরন হয়। ভীষণ কষ্ট হয়। চোখ ভিজে যায়। মুভিতে সুন্দর একটা পরিবার থাকে। দুই বন্ধু গাড়ি দিয়ে কোথাও যাচ্ছিলো। হঠাৎ তাদের গাড়ি ব্রেকফেল করে। এইভাবে সিনেমা শুরু হয়। অতি অতি চমৎকার মুভি। ভালোবাসার মুভি, যুদ্ধের মুভি, নিষ্ঠুরতার মুভি, বর্বতার মুভি। পুত্রের প্রতি বাবার ভালোবাসার মুভি। এই মুভির নায়িকার নাম ডোরা। নায়ক গুইডোর। মুভিটা দেখার পর মনে হয়, দু:খ কষ্ট আর বঞ্চনায় ভরা পৃথিবীটাকে এত সুন্দর করে বানানোর কি প্রয়োজন ছিলো ঈশ্বরের!

আমার আরো কিছু প্রিয় মুভি আছে। সেগুলো নিয়ে পরে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন নারী শিক্ষিকা কীভাবে কন্যা শিশুর সবচেয়ে অসহায় মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করতে পারেন?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৩


বাংলাদেশে মাঝে মাঝে এমন সব মানুষ রূপী শয়তানের সন্ধান মেলে যাদের দেখে আসল শয়তানেরও নিজের উপর হতাশ হওয়ার কথা। এমন সব প্রজাতির মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করেন যাদের মস্তিষ্ক খুলে দেখার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×