আমাদের দেশটা অনেক ছোট। জনসংখ্যা অনেক।
দেশের বেশির ভাগ লোক দরিদ্র। এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে না। হবার কোনো লক্ষনও নেই। আমাদের দেশে অপশন দুটা, হয় আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপি। যদি তুলনা করি কোন দলটা বেশি ভালো(?) তাহলে বিনা দ্বিধায় বলা যায় আওয়ামী লীগ। কারণ বিএনপির চেয়ে আওয়ামীলীগ দেশের জন্য কাজ বেশি করে। বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো, তারা কি করেছে? কিছুই করে নাই। প্রতি বছর শুধু দূর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। চালচুলোহীন ফালু মালু কালুরা সীমাহীন টাকার মালিক হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে একই ঘটনা। অহা মগা জগা সীমাহীন টাকার মালিক হয়েছে। স্বাধীনতার পর এরকম ভাবেই চলছে। আগামীতে যেই ক্ষমতায় আসুক, একই ঘটনা ঘটবে।
দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর।
ক্ষমতায় ছিলো, শেখ মুজিব, জিয়া, এরশাদ, হাসিনা আর খালেদা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জামাত শিবির অন্তত বাড়াবাড়ি করতে পারে না। গত পনের বছর জামাত শিবির গর্তে লুকিয়ে ছিলো। এখন হাসিনা নেই বলে, তারা চ্যাটাং চ্যাটাং করছে। মেয়েদের ফুটবল খেলতে দিচ্ছে না। কোথাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে দিচ্ছে না। হাসিনা থাকলে তারা এত সাহস পেতো না। হাসিনা নেই, এই সুযোগে জেল থেকে সমস্ত আসামীরা ছাড়া পেয়ে গেছে। যারা বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিল তারা বুক ফুলিয়ে দেশে ফিরেছে। মির্জা আব্বাসের ছোট ভাইও দেশে ফিরেছে। এদিকে বিএনপির আমলে যারা দূর্নীতি করেছিল তাদের কেউ কেউ এখন দুবাইতে ব্যবসা করছে। ৩২ তলার উপর রাজকীয় অফিস।
আওয়ামী লীগের লোকজন অনেক দূর্নীতি করেছে।
আসলে হাসিনা বেশ কিছু অযোগ্য আর অদক্ষদের মন্ত্রী এমপি বানিয়েছেন। এটা তার অনেক বড় ভুল ছিল। আরেকটা বড় ভুল হলো ছাত্রলীগকে অফ না করা। আজকে আওয়ামীলীগের এই পরিস্থিতির জন্য অনেকাংশে দায়ী ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগ হচ্ছে মন্দের ভালো। বিএনপির চেয়ে ভালো। দূর্নীতি করলেও দেশের উন্নয়ন করে। বিএনপি কোনোদিন পারতো না পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করতে। মাওয়া যাওয়ার রাস্তাটা কত না সুন্দর হয়েছে। ওই রাস্তায় গেলেই মন ভালো হয়ে যায়। এই দেশের জন্য হাসিনার অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। মেট্রোরেল হলো এক শান্তির নাম। এজন্য আমি সব সময় বলি, অন্যদল ক্ষমতায় এলে শুধু দূর্নীতি হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দূর্নীতি হলেও উন্নয়ন হয়। আমরা দেশের মানুষ সুস্থ ও সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে চাই।
দেশে নির্বাচনটা হয়ে গেলেই,
আওয়ামী লীগের যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা সবাই জামিনে ছাড়া পাবে। অতীতে বিএনপির দূর্নীতিবাজরাও নির্বাচনের পর ছাড়া পেয়েছিল। জামাত শিবিরের চেয়ে আওয়ামী লীগ ভালো, বিএনপি ভালো। এই দুই দল ছাড়া আমরা কাকে ভোট দিবো? ধরে নিলাম, আমাদের ৩০% লোক আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করে, ৩০% বিএনপি সাপোর্ট করে। বাকি ৬০% নিরপেক্ষ লোক। এই ৬০% ই দেশের আসল জনগণ। এরা বুঝে ভোট দেয়। এরা চায় দেশের উন্নয়ন। এরা চায় বেকার মুক্ত সমাজ। মাদকমুক্ত দেশ। জ্যাম মুক্ত বাংলাদেশ। আসলে আমাদের কপাল পোড়া। ১৯৭৫ সালেই আমাদের কপাল পুড়েছে। যেদিন শেখ মুজিব কে হত্যা করা হলো সেদিনই জাতির কপাল পুড়েছে। শেখ মুজিবের মতো খাটি নেতা তো আর নাই। আমাদের দেশের মানুষ গুলো ভালো না। এজন্যই দেশেয়াজ এই অবস্থা।
আমি চাই না আমাদের দেশটা আফগানিস্তান হোক।
তার চেয়ে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। যেহেতু আর ভালো কোনো দল নেই। আমরা জানি, এই দু'দলই চোর, মিথ্যাবাদী এবং দূর্নীতিবাজ। এরা দূর্নীতিবাজ হলেও দেশকে অন্তত আফগান বানাবে না। কোনো কারনে জামাত ক্ষমতায় এলে জাতির খবর আছে। ৭১ এর পরাজয়ের শোধ নিবে জামাত। তাদের দোসর হচ্ছে পাকিস্তান। তবে আমি খুব করে চাই, দেশে নতুন একটা দল আসুক। একদম নিরপেক্ষ দল। যে দল দূর্নীতি করবে না। করবে শুধু উন্নয়ন। দেশে ভিক্ষুক থাকবে না, ফুটপাতে মানুষ ঘুমাবে না, বেকার থাকবে না, জ্বালাও পোড়াও করবে না। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না। রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক চোখে পড়বে না। জামাত শিবির ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দিলো। ছাত্র জনতা নাম দিয়ে। বর্তমান দেশের অবস্থা দেখে শুনে আজকাল অনেকেই বলছে, আওয়ামিলীগই ভালো ছিলো। শেখের বেটির নামে গুজব ছড়িয়ে লাভ নাই। সব সত্য জনগণ জানে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৩৭