
বউকে কন্টোলে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, আপনাকে 'মানুষ' হতে হবে।
সহজ সরল একজন ভালো মানুষ। মানবিক এবং হৃদয়বান। যে মিথ্যা কথা বলিবে না। যার মধ্যে কোনো ভান-ভনিতা, জটিলতা কুটিলতা থাকবে না। আপনি ভালো হলে আপনার স্ত্রী এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। কন্টোল করার চিন্তা ভাবনা আপনার মাথায় আসবে না। স্ত্রীকে কন্টোলের চিন্তা বাদ দিয়ে আপনি আপনার ভুল গুলো শুধরে নেন। নিজে ভালো তো জগৎ ভালো। স্ত্রী তো আপনার পোষা তোতা পাখি নয়। বিড়াল নয়। সে একজন রক্ত মাংসের মানুষ। তারও রাগ আছে, জিদ আছে, তেজ আছে, অভিমান আছে। আছে হাহাকার। আছে অন্তনা পাওয়া।
আপনি কি কন্টোলে আছেন? সহি শুদ্ধভাবে?
আপনি কন্টোলে থাকুন, আপনার স্ত্রীও তাহলে কন্টোলে থাকবে। অযথা দুষ্ট লোকের মতো স্বামীগিরি ফলাবেন না। স্ত্রী তো আপনার কাজের বুয়া নয়। সে তার মত থাকবে, স্বাধীনতা থাকবে, ইচ্ছা অনিচ্ছা থাকবে। আপনি তাকে সম্মান করুন, তাহলে আপনিও সম্মান পাবেন। স্ত্রী তার বাবা মা ভাইবোনকে ছেড়ে আপনার কাছে চলে এসেছে। কাজেই তাকে মাথায় করে রাখতে হবে। তার সমস্ত দায়দায়িত্ব আপনার। তার সমস্ত চাহিদা পূরণ করতে হবে। তার স্বপ্ন গুলো পূরণ করতে হবে। ছেলেদের উচিৎ বিয়ের আগে একশ বার চিন্তা করা। সে সংসার করার মতো দক্ষতা, যোগ্যতা অর্জন করেছে কিনা। বিয়ে মানে তো শুধু সেক্স নয়।
ছেলেদের আসল সমস্যা হলো, নিজেকে তৈরি করার আগেই বিয়ে করে ফেলে।
সংসারে দেখা দেয় অভাব। এরপর তালাক। নিজের অপারগতা স্বিকার না করে বলে বেড়ায় বউ ভালো না। বউ লোভী। বউয়ের এই সমস্যা, সেই সমস্যা। বউ বেয়াদব, বউ কথা শুনে না। স্ত্রীরা কি চায়? ভালোবাসা চায়। ভরসা চায়। নিশ্চয়তা চায়। তার সাথে হাসিমুখে কথা বলুন। তাকে সময় দেন। বেড়াতে নিয়ে যান, শপিং করুন, দুজনে মিলে অন্তত মাসে দুদিন রেস্টুরেন্টে ডিনার করুন। স্ত্রীর পছন্দ অপছন্দ কে সম্মান করুন। সে আপনার স্ত্রী কিন্তু সে কারো আদরের কন্যা। তার বাবা মা তাকে অনেক আদর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছেন। আপনি তাকে অবহেলা করতে পারেন না। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, রমনীর মন সহস্র সখা সাধনার ধন।
ধরে নিলাম, আপনার স্ত্রী কিছু দোষ ত্রুটি আছে।
সে মুখে মুখে তর্ক করে, আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। আপনি আপনার সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে, সমস্ত মেধা দিয়ে, সমস্ত ভালোত্ব দিয়ে তার দোষ ক্রুটি দূর করে দিবেন। একদিন আপনার কন্যা সন্তান দুনিয়ায় আসবে। সেদিন আপনি বুঝবেন কন্যারা কত মায়াবতী হয়। স্ত্রীকে ভালোবাসলে, সম্মান করলে, মায়া দেখালে আপনি মানুষ হিসেবে আরো উঁচুতে উঠে যাবেন। সত্যিকার অর্থে একজন স্ত্রী জানেন তার স্বামী কতটুকু ভালো। কতটুকু মন্দ। ছেলে বিয়ে করার আগ পর্যন্ত মা জানেন তার ছেলে কেমন। আর বিয়ের পর জানে তার স্ত্রী। স্ত্রীকে এতটাই ভালোবাসুন যে স্ত্রী যেন বলে অন্য কোনো জীবন পেলে, সেই জীবনেও স্বামী হিসেবে আপনাকে চাইবে। আপনার স্ত্রী আপনাকে ভালো বললেই, আপনি ভালো।
মূলত পুরুষ জাতটাই খারাপ।
পুরুষ হলো গরুর মতো, ছেড়ে দিলেই অন্যের জমিতে গিয়ে ঘাস খাবে। এজন্য স্ত্রীদের উচিৎ স্বামীকে কন্টোলে রাখা। একটু ঢিল পেলেই অন্যের জমিতে মুখ দেবে। চারিপাশে এত এত বিচ্ছেদ, তালাক হচ্ছে, এর ৯৫% দায়ী স্বামীরা। আমাদের মতো দরিদ্র দেশে মেয়েরা মূলত দু:খী। প্রেমে দুখী, ভালোবাসায় দুখী, স্বামী দিয়ে দুখী, শ্বশুর শ্বাশুড়ি দিয়ে দুখী। অর্থ দিয়ে দুখী, কেউ কেউ সন্তান নিয়েও দুখী। সংসারে শান্তির মুল মন্ত্র হচ্ছে 'ছাড়' দেওয়া। সংসারে যত ছাড় দেবেন, সংসার তত আনন্দময় হবে। এই ছাড় দেওয়ার মানসিকতা স্বামী স্ত্রী দুজনেরই থাকতে হবে। ছোট একটা জীবন আমাদের। আমরা চাইলেই জীবনটা সুন্দর করে সাজাতে পারি। আনন্দময় করতে পারি প্রতিটা মুহূর্ত।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



