somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজ আমি ইসলামের গুনগান করবো

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার নামে বদনাম আছে, আমি নাকি ইসলাম ধর্ম নিয়ে ভুলভাল লিখি।
এতে অনেকে মহা ক্ষেপে গেছে। এতই ক্ষেপেছে যে তারা আমাকে গালমন্দ করেছে। অথচ আমি মুসলমান। আমার সকাল শুরু হয় আল্লাহকে স্মরণ করে। এরপর আমি ইউটিউবে সূরা শুনি। একজন হুজুর চমৎকার কন্ঠে সূরা পাঠ করেন। তারপর বাংলায় অনুবাদ। আমার ভালো লাগে। রাতে বিছানায় ঘুমানোর আগে আমি আল্লাহকে স্মরণ করে ঘুমাই। সারাদিনে অসংখ্য বার আমি আল্লাহকে স্মরণ করি। যাইহোক, আমার ধর্ম আমার কাছে। কে কি ভাবলো না ভাবলো সেটা নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। আমার জীবন সুন্দর। জটিলতা কুটিলতা মুক্ত। তবে আজ আমি ইসলামের গুনগান করবো। তাতে যদি দোষ কিছুটা কাটা যায়।

ইসলাম একটা ভালো ধর্ম।
পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে তার মধ্যে ইসলাম'ই সেরা ধর্ম। ইসলাম মানুষকে সহজ সরল সুন্দর পথ দেখিয়েছে। অমানুষ থেকে মানুষকে 'মানুষ' করেছে। আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আমাদের বেচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন আল্লাহপাক সবই দিয়েছেন। পৃথিবীতে আমরা কিভাবে থাকবো সেটাও আল্লহ কোরআনে বলে দিয়েছেন। কোরআন এবং হাদিস ছাড়া আমরা অসহায়। এই দুই গ্রন্থ আমাদের আকড়ে ধরতে হবে। আমাদের জন্য আল্লাহপাকের শ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে নবীজি। দুনিয়ায় আমরা কিভাবে বসবাস করবো, তা নবীজি আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর সহজ হিসাব দুনিয়াতে কোরআন হাদিস অনুসরণ না করলে পরকালে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।

ইহকাল কিছুই না। পরকাল হলো অনন্ত।
পরকালে আমরা যেন ভালো থাকি, তার জন্য কি করতে হবে সেটা আল্লাহ কোরআনে বলে দিয়েছেন। এমনকি নবীজিও বলেছেন। কোরআন আর নবীজির জীবনী ফলো করলে আমরা পরকালে শান্তিতে কাটাতে পারবো। ইসলাম আছে বলেই জীবন এত সুন্দর। যখন ইসলাম ধর্ম ছিলো না, তখন গজব অবস্থা ছিলো। মেয়েদের বাজারে কেনাবেচা হতো, নারীদের কোনো সম্মান ছিলো না। নারী ছিলো দাসী রুপে। বিশ্ব নবী এসে অন্ধকার যুগকে দূর করে দিলেন। স্কুল কলেজে শিক্ষা ইহকালের জন্য। আর মাদ্রাসার শিক্ষা ইহকাল পরকাল দুই জাহানের জন্য। এজন্য অনেক খুজে আমি আমার কন্যাকে এমন এক স্কুলে ভরতি করিয়েছি, যেখানে সবার আগে 'আল্লাহ'র নাম শিখিয়েছে। ক্লাস শুরু করার আগে রাব্বি জিতনে ইলমা শেখানো হয়। অলরেডি আমার কন্যা ঘুমানোর দোয়া শিখে ফেলেছে। এমনকি রমজানকে রমাদান বলতে শিখে গেছে। এই স্কুলে সমস্যা হলো অনেক টাকা বেতন। পাচ হাজার নিলেও চলতো। দশ হাজার টাকারও বেশি। বেতন ছাড়াও অন্যান্য খরচ তো আছেই।

ইসলামে খারাপ কিছু নেই। আর কয়েকদিন পর রোজা।
রোজা অনেক আনন্দের ব্যাপার। পরিবারের সবাই ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে একসাথে সেহেরি খেতে বসা। ফযরের নামাজ পড়ে ঘুমাতে যাওয়া। আবার সন্ধ্যায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতারি খেতে বসা। রোজা রাখলে আল্লাহ খুশি হোন। মসজিদে গিয়ে তারাবীর নামাজ পড়া। নামাজের চেয়ে সুন্দর দুনিয়াতে আর কিছু নেই। মসজিদে আযান হলেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা নামাজ আদায় করতে মসজিদে ছুটেন। দুই একদিনের মধ্যেই আমি রোজার বাজারটা সেরে ফেলব। ইফতারির সময় টেবিল ভর্তি নানান রকম খাবার না থাকলে আমার ভালো লাগে না। সুরভি ডিমের চপটা দারুণ বানায়। আমি কসম খেয়ে বলতে পারি এই শহরে সুরভির মতো করে ডিম চপ আর কেউ বানাতে পারে না। একমাস পর আসবে ইদ। আহা। ইদের দিন আমাদের বাসায় রান্না করবে ভাবী। গত পনের বছর ধরে তাই হচ্ছে। ভাবীর রান্না ভালো।

ইসলাম ধর্মটা অন্য সব ধর্ম থেকে আলাদা।
কারো সাথে দেখা হলে আমরা হাই বা হ্যালো বলি না। বলি আসসালামু আলাইকুম। অর্থাৎ আপনার উপর শান্তি বরশিত হোক। কি সুন্দর কথা। আযানের সুর কত মধুর। আযানের কথা গুলো কত সুন্দর। রবীন্দ্রনাথ মনে হয় আমাদের আযানের কথা গুলো চুরী করেই গান লিখেছেন- 'এসো এসো আমার ঘরে এসো'। যাইহোক, আমি মুসলিম এজন্য আমি গর্বিত। জন্মের পরই আমার বাবা আমার কানে আযান দিয়েছেন। আযানের সুর অতি শ্রুতি মধুর। আল্লাহ অল্পতেই খুশি হোন। নামাজ পড়লেই আল্লাহ খুশি হোন। সত্য কথা বললেই আল্লাহ খুশি হোন। মানুষের উপকার করলেই আল্লহ খুশি হোন। আর আল্লাহ খুশি হলেই বেহেশত নিশ্চিত। আমাকে বেহেশত পেতেই হবে। জাহান্নামের কষ্ট সহ্য করতে পারবো না। ইচ্ছা আছে, খুব শ্রীঘই হজ্বটা সেরে ফেলিব। আল্লাহ গো হজ্ব না করিয়ে আমার মৃত্যু দিও না। আমি গোনাগার পাপী বান্দা। সারা জীবন দোষ করেছি। আমাকে ক্ষমা করো। হজ্ব করার তৌফিক দিও। হজ্বে আমি একা যাবো না। বউ বাচ্চা নিয়েই যাবো। ইনশাআল্লাহ।

সেই আদম (আ) থেকে শেষ নবীজি পর্যন্ত-
আল্লাহ আমাদের ধর্ম অর্থাৎ ইসলামের ছায়াতলে থাকার পথ দেখিয়েছেন সমগ্র মানব জাতিকে। সব ধর্মকে পেছনে ফেলে ইসলাম ধর্ম এগিয়ে যাচ্ছে। কারন ইসলামের শিক্ষা ও আর্দশে কোনো ভুল নেই। জর্জ বানার্ড শ বলেছেন, যতদিন যাবে বিশ্বের মানুষজন ইসলামের পথে যাবে। আমি জানি, আল্লাহকে পেতে হলে আগে নবীজিকে পেতে হবে। এজন্য আমি নবীজির বানী, সমস্ত হাদিস, বিদায়ী হজ্বের ভাষন সমস্ত কিছু হৃদয়ে ধারণ করেছি। আমার কাছে সবার আগে আমার নবীজি। তারপর স্ত্রী, কন্যা, বাবা— মা, ভাইবোন। আমি খুব শ্রীঘই কামকাজ বাদ দিয়ে সারাদিন মসজিদে বসে থাকব। আমার হাতে থাকবে তজবি। বাসায় থাকব না, মসজিদেই থাকব। ইবাদত-বন্দেগি করবো। কপালে স্থায়ী কালো দাগ বসিয়ে ফেলিব। কোরআন তেলোয়াত করবো। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবো। কবরের আযাব থেকে মুক্তি চাইবো। বেহেশত চাইবো। আল্লাহ নিশ্চয়ই আমার নেক ইচ্ছে গুলো পূরণ করবেন। কারণ তিনি অর্ন্তজামি। আমার মনের সব খবরই তার জানা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:০০
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বস্তিবাসী সেই অগ্নিকন্যাকে নিয়ে লেখা একটি কাব্যগাথা

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৫


ঢাকার আকাশ তখন ধুলোমাখা সন্ধ্যার রঙে ছিল ডেকে
বস্তির সরু গলিতে শিশুদের কান্না
নর্দমার স্রোতের মতো দীর্ঘশ্বাস ফেলে
সেই অন্ধকার জন্মঘরে প্রথম আলো দেখেছিল
এক বস্তিবাসী কন্যা শিরিন
এখনো এক অচেনা নাম
যার ভেতর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাবুল আলীই আমাদের বাংলাদেশের প্রতীক

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭



আপনাদের কি এই ছবিটার কথা মনে আছে? এই বছরের শুরুতে চলতি বছরের জানুয়ারীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বেআইনিভাবে বাংলাদেশের জমিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ কি শিখিয়েছে?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৬






অপমান, অপদস্থ থেকে বাঁচার উপায় শিখাইনি? ওস্তাদ মগা শ্যামী পাহাড়ে বসেও এসবের সমাধান করতে পারে, আপনি সামান্য অসুস্থতার জন্যও ব্লগে মিলাদ দেননি, দোয়া করেছেন কার জন্য? খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

অন্তর্জাল থেকে নেওয়া সূর্যোদয়ের ছবিটি এআই দ্বারা উন্নত করা হয়েছে।

ইসলামের পবিত্র আলো ওদের চোখে যেন চিরন্তন গাত্রদাহের কারণ। এই মাটি আর মানুষের উন্নয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×