
শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী এবং কামাল১৮ কিছুতেই বিশ্বাস করবেন না-
আমায় জ্বীনে ধরেছে। ব্লগার মহাজাগতিক এবং নতুন নকিব হয়তো বিশ্বাস করবেন। ঘটনা হলো- সুরভি এই ইদে আমার জন্য একটা শার্ট কিনেছে। গতকাল আমি সেই নতুন শার্টটা পড়েছি। কিন্তু দুষ্ট জ্বীনের শার্টটা হয়তো পছন্দ হয়নি। সে একটু পর-পর শার্টের প্রথম বোতাম টা খুলে দিচ্ছে। নতুন শার্ট একাএকা শার্টের বোতাম খুলে যাওয়ার কথা না। এরপর গতকাল কমপক্ষে পাচ বার জুতোর ফিতে খুলে গেছে। অথচ আমি জুতোর ফিতা টাইট করে বাঁধি। সেই জুতোর ফিতা খুলে যাচ্ছে। জুতোর ফিতা খুলছে জ্বীন। জ্বীন আমাকে দিয়ে খারাপ গালি দেওয়াচ্ছে। সেদিন একলোক ভর দুপুরবেলা মেট্রোরেলের পিলারের সামনে দাঁড়িয়ে প্রস্বাব করছে। ব্যস্ত রাস্তা। চারিদিকে অসংখ্য মানুষ। বাস গাড়ি ট্রাক রিকশা। সেদিকে তার খেয়াল নেই। আমি সেই লোককে অতি কুৎসিত দুটা গালি দিলাম। যে গালি একজন ভদ্র মানুষ শুনলে তার নাক-কান দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যাবে।
গত কয়েকদিন ধরে এক দুষ্ট জ্বীন আমায় ধরেছে।
আমার উপর আছর করেছে। জ্বীনটিনের উপর আমার ভরসা কোনো কালেই ছিলো না। অথচ দুষ্ট জ্বীন আমার উপর ভর করেছে। বড়ই বেকায়দায় আছি। আমার ভাগ্য মন্দ এজন্য আমাকে দুষ্ট জ্বীন ধরেছে। আজ সকালে রাস্তা পার হবো। অর্ধেক রাস্তা পার হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাত মনে হলো- জ্বীন আমাকে ধাক্কা দিবে। আমি বাসের চাকার নিচে গিয়ে পড়বো। ভাগ্যিস সঠিক সময়ে আমি উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। নইলে আজ আমার মৃত্যু হতো। আমি মরে গেলে আমার মেয়েটা আনন্দ নিয়ে বড় হতে পারবে না। এই জ্বীন আমার বিরাট ক্ষতি করবে। জ্বীন থেকে মুক্তির উপায় কি? তাবিজ নিতে হবে? পানিপড়া খেতে হবে? এখন আমার দরকার একজন তান্ত্রিক। যে আমাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করিবে। ভালো তান্ত্রিক কোথায় পাই। শুনেছি বুড়িগঙ্গা নদীর ওইপাড়ে কেরানীগঞ্জের সুবাড্ডাতে একজন ভালো তান্ত্রিক আছে।
রাতে জ্বীন আমাকে বাথরুমে যেতে দেয় না।
মাথার ভিতরে বলতে থাকে, তুই ঘুমা। ঘুমিয়ে থাক। বাথরুমে গেলে তোর সর্বনাশ হবেরে। হয়তো তোর স্ট্রোক হয়ে যাবে। কারন বাথরুমে গিয়ে দেখবি, তুই আগে থেকেই বাথরুমে বসে আসিছ। কেমন ভয় ধরা কথা কয় জ্বীন! ভয়ে বাথরুমেও যেতে পারছি না। দুষ্ট জ্বীন দিয়ে আল্লাহ আমায় কোন পাপের শাস্তি দিচ্ছেন? আমি ফানা চাই। গতকাল রাতে জ্বীনটা আমার সুরভির সাথে ঝগড়া বাধিয়ে দিয়েছে। অতি তুচ্ছ কারণে ঝগড়া। সুরভি বলল, আম কেটে দিবো খাবে? এই কথাতে রাগ করার কোনো কারন নেই। কিন্তু আমি ভয়াবহ রেগে গেলাম। বললাম, রাত সাড়ে দশটা বাজে এখন কেন আম খাবো? এক কথায় দুই কথায়- লেগে গেলো। করলাম সুরভির সাথে ঝগড়া। আসলে সুরভির কোনো দোষ নেই। দুষ্ট জ্বীন আমায় দিয়ে এসব করাচ্ছে। জ্বীনের কথা সুরভিকে বলতেও পারছি না। বললে বিশ্বাসও করবে না। কি যে করি! কই যাই!
আমি অনুভব করছি, দুষ্ট জ্বীনটা আমার গাড়ে চেপে বসে আছে।
সে আমাকে দিয়ে ভুলভাল কাজ করাচ্ছে। আমি যতবার জ্বীনের খপ্পড়ে পরে ভুলভাল করি, জ্বীন খুশি হয়। সামান্য একটা জ্বীনের কাছে আমি হেরে যাচ্ছি। কিন্তু আমি তো হেরে যাবার প্রাত্র নই। জ্বীনকে হাতের কাছে পেলে কসিয়ে দুই থাপ্পড় দিতাম। শালা বলে গালি দিতাম। আজকাল 'শালা' বলে গালি দিয়ে আরাম পাই। সমস্যা হলো- জ্বীন অদৃশ্য। আমি মনে মনে শালা বলে গালি দেই। আর কেউ না বুঝুক- জ্বীন ঠিকই বুঝতে পেরেছে তাকে আমি গালি দিয়েছি। জ্বীনের কর্মকান্ড ভালো না। সে আমাকে বিরাট বিপদে ফেলবে। জ্বীনের সমস্যা ডাক্তার সমাধান করতে পারবে না। আমার একজন ভালো কামিলদার কবিরাজ, ওঝা বা পীর-ফকির দরকার। এরা আমার কাধ থেকে দুষ্ট জ্বীন সরাতে পারবে। কামিলদার ফকির কোথায় পাই?
ঠিক করেছি আজ রাতে ঘুমাব না। সারারাত ইবাদত বন্দেগি করবো।
আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে প্রার্থনা করবো। আল্লাহ ছাড়া আমায় কেউ বাচাতে পারবে না। আমার ধারনা তাহাজ্জুদ পড়লে আল্লাহ খুশি হবেন। এবং আমাকে দুষ্ট জ্বীনের হাত থেকে বাঁচাবেন। কাধ থেকে এই জ্বীন সরাতে না পারলে আমার খবর আছে। আমি অনুভব করতে পারছি- সে আমার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আমার কাধ থেকে নামবে না। কোন পাপের শাস্তি আল্লাহপাক আমায় দিচ্ছেন! রাতে আমি ঘুমাতে পারি না। জ্বীন আমাকে ভয়ানক সব স্বপ্ন দেখায়। স্বপ্নে দেখি- একদল হুজুর আমাকে তাড়া করেছে। তাদের হাতে রামদা ছুরি চাপাতি। আমাকে কুপিয়ে মারবে। এরা যদি আমাকে মসজিদে পায়, মসজিদের ভিতরেই কুপিয়ে মারবে। এদের মধ্য মায়াদয়া নেই। মাদ্রাসার তালেবুল আলেমদের দিয়ে কোরআন খতম দেওয়াতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





