
বোকা এবং ভীতু মানুষ অসৎ হতে পারে না।
তারা মান সম্মান নিয়ে বেচে থাকতে চায়। ইচ্ছা থাকলেও বোকারা অসৎ হতে পারে না। তাদের সাহসের বড় অভাব। তারপরও যদি বোকা বা ভীতুরা অসৎ হয়, তাহলে ধরা খেয়ে যায়। মান সম্মান যায়।চালাক চতুর গুলো ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে। রাজনীতির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। আসলে আমাদের দেশটা দরিদ্র। বেশির ভাগ লোক গরীব। সংসারে অভাব। এজন্য লোকজন একটু বাড়তি ইনকামের আশায় ছয় নয় করে। যেহেতু সে দক্ষ তাই তাকে অবশ্যই ছাড় দিবেন। কথায় আছে না- যে গরু দুধ দেয় গরু, তার লাথথিও ভালো।
একজন ভালো পরিচালক যে কাউকে দিয়ে অভিনয় করিয়ে নিতে পারেন।
যেমন আমাদের হুমায়ুন আহমেদ। উনি অনেক শিল্পী তৈরি করেছেন। দক্ষ পরিচালক একজন শিল্পীর কাছ থেকে কড়ায় গন্ডায় অভিনয় আদায় করে নেন। ঠিক তেমনি একজন দক্ষ বস তার স্টাফদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেন। কেউ কাজ না পারলে তাকে বিদায় করে দেন না। চেস্টা করে তাকে দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করেন। একজন রিকশা চালক এবং একজন পাইলট কি এক? অবশ্যই এক না। পাইলট যে সম্মান পাবে, রিকশা চালক কি সেই সম্মান পাবেন? কাজেই দক্ষ লোকের মর্যাদা আলাদা।
সহজ সরল সত্য কথা হলো-
বাংলাদেশে সৎ মানুষের বড় অভাব। প্রতিটা অফিসেই ফাকি বাজ আছে। এরা নিজেরা কাজ করে না। এবং কেউ ভালো কাজ করলে তাত নামে গুটি করে। অফিস পলিটিক্স খুবই খারাপ একটা বিষয়। অফিস পলিটিক্সের কারণে চাকরি পর্যন্ত চলে যায়। আমার নিজেরই চাকরি চলে গেছে। অথচ আমি মারাত্মক পরিশ্রমী মানুষ ছিলাম। অফিসের বস শুধু কান কথা শুনে। আর সিদ্ধান্ত নেয়। অফিসের বসের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অফিসের ভালো লোকজন সব সময় অবহেলিত। অফিসে যারা চাটুকার আর দালাল তারা দ্রুত প্রমোশন পায়।
দক্ষ লোকের দরকার আছে।
সমাজে দক্ষ লোকের অনেক অভাব। অনেক ছেলেমেয়ে আছে অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে ফেলেছে কিন্তু কোনো কাজেই যোগ্য ও দক্ষ নয়। একটা প্রতিষ্ঠান তখনই উন্নত হয়, যখন প্রতিষ্ঠানের সকলে মিলে যার যা দায়িত্ব গুলো যথাযথ ভাবে পালন করে। দিন শেষে যোগ্য ও পরিশ্রমী মানুষের জয় হয়। মানুষ মানুষকে এমনি এমনি ভালো বাসে না। কাজ দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিতে হত। যার কাজ সুন্দর তার সব সুন্দর। বাঙালি জাতি জন্মগত ভাবেই অসৎ। এরা সুযোগ পেলেই চুরী করবে। এজন্য সাবধা
যার যোগ্যতা আছে কিন্তু অসৎ তাকে চাকরি থেকে তাড়িয়ে দিলে ভুল হবে।
প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার জন্য দক্ষ লোক দরকার। এবং দক্ষ লোক অসৎ হলে তাকে কায়দা করে সঠিক পথে আনতে হবে। বাংলাদেশ হলো চোরের দেশ। আমি নিজে দেখেছি, এক লোক অফিসের লাইট চুরী করে নিয়ে গেছে। অফিসের কাজে বাইরে গেলে তিন হাজার টাকা বিল করে অথচ তার পাচ শ টাকাও খরচ হয়নি। অনেক লোক আছে অফিসে সময় মতো আসতেই পারে না। প্রতিদিন একই সমস্যা রাস্তায় জ্যাম ছিলো, বাস পাইনি, ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে, ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম, এই সমস্যা সেই সমস্যা। আমি একটা প্রতিষ্ঠানে ছয় বছর কাজ করেছি, এই ছয় বছরে আমি একদিন লেট করি নাই। ঝড় বৃষ্টি হয়েছে, রাস্তায় পানি জমে গেছে তবু কোনোদিন আমার লেট হয়নি। আসলে ইচ্ছা থাকতে হয়, আমি সময় মতো অফিস যাবো। তাহলেই সম্ভব।
চতুর চালাক লোকেরাই সব জায়গায় টিকে থাকে।
দক্ষ লোকের কদর করতে হয়। আমাদের অফিসে একলোক ছিলো। সে ভয়াবহ দরিদ্র ছিলো। পাচ বছরের মধ্যে সে তার অবস্থান বদলে নিয়েছে। অফিসের সেরা ব্যাক্তি হয়ে গিয়েছিলো সে। ধাপ ধাপ করে সেলারি বেড়ে গেলো। অফিসের বস তাকে খুব পছন্দ করলো। প্রমোশন আর প্রমোশন। বস দেশের বাইরে গেলেও তাকে সাথে করে নিয়ে যেত। এই লোক তলে তলে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বর্তমানে সে বউ বাচ্চা নিয়ে লন্ডন আছে। বিশাল অবস্থা তার। লোকটা তার মেধা দিয়ে উন্নতি করেছে। এবং এই লোক অফিস ছেড়ে যাওয়ার আগে আমার চাকরি খেয়ে গেছে। অথচ লোকটার সাথে আমার সুসম্পর্ক ছিলো। এই লোক আমাকে অনেক পরিশ্রম করিয়েছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


