
শেখ হাসিনা জীবন হাতে নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন।
১৯৮১ সাল। সময়টা তখন কঠিন ছিলো। মেজর জিয়া চাননি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসুক। শেখ হাসিনা দেশে না ফিরে উন্নত জীবনে গা ভাসিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু বাবার হত্যার বিচার এবং দেশের টানে উনি ফিরে আসেন। সেই সময় ইন্দিরা গান্ধী বুঝতে পেরেছিলেন, জংগীবাদ থেকে বাংলাদেশকে বাচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের পর ১০ জানুয়ারী শেখ মুজিব যখন দেশে ফিরে এলেন, সারা দেশের মানুষ তাকে স্বাগত জানিয়েছিলো। ঠিক সেভাবেই শেখ হাসিনাকে ১৯৮১ সালে দেশের মানুষ স্বাগত জানায়। উনি আওয়ামীলীগ নতুন করে গড়ে তুলেন। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যান। দেশের জন্য তার অবদান কম নয়। লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিলেন। বিশাল মানবতার পরিচয় দিলেন।
শেখ হাসিনা স্বৈরাচার নন।
রাজাকারদের বিচার দেশের মানুষের দাবী ছিলো। উনি সেটা সাহসিকতার সাথে করেছেন। শেখ মুজিবের হত্যার বিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। উনি সেটা করেছেন। দুষ্টলোকদের শেখ হাসিনা ধরে নিয়ে ফাসিতে ঝুলিয়ে দেননি। দেশের আইন অনুযায়ী তাদের বিচার হয়েছে। সাক্ষ্য প্রমান নিয়েই দুষ্টদের সাইজ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশকে, জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করার জন্য রাজাকারদের বিচার এবং শেখ মুজিবের হত্যার বিচার করার প্রয়োজন ছিলো। বরং এই দুটা গুরুত্বপূর্ন কাজ না করলে দেশের মানুষ আশাহত হতেন। শেখ হাসিনা খারাপ কাজ কি করেছেন, সেটাই তো আমি খুঁজে পাই না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে আওয়ামীলীগ। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো- দেশ তখন বারবার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
টানা ১৬ বছর! চারটেখানি কথা নয়। কাজেই দেশের ভালোর জন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার ছিলো। একটা সংসারের কর্তা যদি একজন বাবা হন, তাহলে সংসারের ভালোর জন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত বাবা নিতে পারেন। শেখ হাসিনা যা করেছেন দেশের ভালোর জন্য করেছেন। কিন্তু এ কথা সত্য কতিপয় বাজে লোক আওয়ামিলীগে প্রবেশ করেছে। তারা ইচ্ছে মতো দূর্নীতি করে আওয়ামী লীগের বদনাম করেছে। যদিও এটা পরিকল্পিত। এই কাজ অতি সূক্ষ্মভাবে করেছে জামাত। জামাত আওয়ামীলীগকে তিলে তিলে শেষ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগে আগে প্রবেশ করে শিবির। যদিও জামাত তাদের নাম দিয়েছে K Za। অর্থ্যাত কেন্দ্রীয় কমিটির লোক। জামাত প্রতি সেক্টরে ঢুকেছে। সেনাবাহিনীতেও আছে। সচিবালয়েও আছে।
জামাত অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী দল। কথা সত্য।
এদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অভাব নাই। ওদের ডোনারেরও অভাব নাই। তারা তলে তলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছে শত শত। তারা বুঝে গেছে, টাকা প্রয়োজন। এই দেশে টাকা দিয়ে সব করা সম্ভব। যে পরিমাণ টাকা তাদের ফান্ডে আছে, সেই টাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশের পর-পর তিনবার বাজেট করতে পারবে। ধর্মীয় কারনে একজন রিকশা চালক পর্যন্ত জামাতকে চাঁদা দেয়। তাদেরকে বুঝানো হয়েছে- আল্লাহর জমিনে, আল্লাহর আইন চলবে। আজকের দেশের গজব অবস্থার জন্য মূলত জামাত দায়ী। তারা ৭১ এর পরাজয় ভুলতে পারেনি। তারা পারেনি দেশকে ভালোবাসতে। এরা প্রতিশোধ নিতে চায়। জামাতকে দেশের মানুষ ঘৃণা করে। এদের পছন্দ 'পাক সার জমিন সাদ বাদ'। এরা আজও জিন্নাহকে বুকে ধারন করে। ৭১ এর পরাজিত শক্তিকে থামাতে শেখ হাসিনা আসবেন। শেখ হাসিনা দেশে এলে অনেকে প্যান্টের মধ্যেই পিসাব করে দিবে।
স্বৈরাচার হচ্ছেন- কিম জং উন।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা। এই লোক ডেঞ্জারাস। দেশটির জনগন মাথার চুল পর্যন্ত নিজের ইচ্ছায় কাটতে পারে না। ইরাকের রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হুসাইনকেও স্বৈরাচার বলতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার বলা যাবে না। উনি দেশকে ভালোবাসেন। উনি যা করেছেন দেশের ভালোর জন্য করেছেন। আর উনি খারাপ কিছু করেন নাই। মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, কক্সবাজার রেলস্টেশন, রাজাকারের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, জঙ্গিবাদ নির্মূল, গ্রামীন রাস্তাঘাট উন্নয়ন- আসলে উন্নয়নের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমি শেখ হাসিনার বন্ধনা করার জন্য এই লেখা লিখছি না। যেটা সত্য আমি সেটাই বলছি। আমি রাজনীতি করি না। আমি কোনো দল করি না। ছাত্রলীগ দিনে দুপুরে বিশ্বজিত নামের এক ছেলেকে কুপিয়ে মেরেছে- আমি এই কর্মের জন্য ঘৃণা প্রকাশ করেছি।

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



