
একজন মানবিক মানুষকে বলা হচ্ছে-
মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। অত্যন্ত দুঃখজনক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় পর্যন্ত দিয়ে দিলো! কি হাস্যকর। জাতি জানে- সব জামাতের কারসাজি। এটা জাতি খুব ভালো করেই জানে এবং বুঝে। শেখ হাসিনা কাকে গুলি করে মারলো? কাকে হত্যা করলো? একটা ভিডিও ফুটেজ দেখান। আছে কোনো শালার কাছে ভিডিও ফুটেজ? অথচ জামাত পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য- একজন মানবিক মানুষকে, দেশপ্রেমিক মানুষকে জোরজবস্তি, মনগপড়া নিজের ইচ্ছে মতো- রায় দিয়ে দিলো- 'ফাঁসি'। মামা বাড়ির আবদার! শকুন খামচে ধরেছে দেশ। সব কিছু তাদের অধিকারে। জামাত মনে করেছে, তাদের ১৫ বছরের পরিকল্পনা সফল হয়ে গেছে! আরে ভাই বাপেরও বাপ থাকে। অপেক্ষা করুন। দাবার চাল বদলে যাবে।
তার ফাঁসি হতে পারে এমন অপরাধ শেখ হাসিনা করেন নাই।
অথচ ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে সব জামাতের নীল নকশা। শেখ হাসিনা রাজাকারের বিচার করে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করেছে, জামাত এখন সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিচ্ছে। আর কিচ্ছু না। জামাত ভালো করেই জানে- হাসিনা কাউকে গুলি করে মারে নাই। মারতে বলেও নাই। আসলে ৭১ এর পরাজিত শক্তি কোনোদিন ভালো হবে না। শেখ হাসিনা সাহসী নারী। তার কিছুই হবে না। এরকম ফাঁসি শেখ মুজিবকেও দিতে চেয়েছিলো, পারে নাই। ইন্দিরা গান্ধী আজ বেচে থাকলে পরিবেশ পরিস্থিতি অন্য রকম হতো। তবে আমি নিশ্চিত জামাতের স্বপ্ন কোনোদিন সত্যি হবে না। সব বদলে যাবে। দেরী হোক যায়নি সময়। যত গর্জে তত বর্ষে না। অপেক্ষা করুন আর দেখুন ।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল পাগল হয়ে গেছেন।
জামাত তার ব্রেন ওয়াশ করে ফেলেছে। সে জামাতের পুতুল হয়ে কাজ করছে। জাতির কুসন্তান এই আসিফ নজরুল। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম হলো জামাতের প্রোডাক্ট। জামাত তাকে পেলেপুষে বড় করেছে। জামাত পুরো দেশটা খেয়ে দিচ্ছে। অথচ শেখের বেটি এদের এতদিন দাপটের সাথে দাবিয়ে রেখেছিলেন। সব বদলে যাবে। সূর্য উঠবে, নতুন আলো আসবে। শেখ হাসিনার উপর মিথ্যা সাজানো অপরাধে যারা ফাঁসির রায় দিলো, যারা আজ আনন্দ উল্লাস করছে, এরা সকলেই জামাত শিবির। রাজাকার। জাতির কুসন্তান। এরা দেশের শত্রু। এরা ৭১ এ ছিলো, আজও আছে। মানবিক শেখ হাসিনা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। আর তার জন্য ফাঁসির আদেশ! কি বিচিত্র। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন সব একত্র হলে- জামাত পালানোর পথ পাবে না। জামাত শিবিরিকে দমন করার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের আবার ঘর থেকে বের হতে হবে।
এই রায় কোনোদিন কার্যকর হবে না। নো নেভার।
শেখ মুজিব যেমন ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী দেশে ফিরে এসেছিলেন। দেশের মানূষ তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরন করে নিয়েছিলেন, তেমনি ভাবেই শেখ হাসিনা দেশে আসবেন। জাতি তাকে ফুলের মালা দিয়ে গ্রহন করবে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে দেশের প্রতি, এ দেশের মানুষের প্রতি, গণতন্ত্রের প্রতি, সংবিধানের প্রতি, আইনের শাসনের প্রতি এবং আগামী প্রজন্মের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের প্রতি অপমান করা হলো। পথের নেড়ি কুকুরের চেয়ে জামাত খারাপ। হাসিনা মেট্রোরেল করে অপরাধ করেছে, পদ্মাসেতু করে অপরাধ করেছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্নফুলি টার্নেলসহ হাজার রকম উন্নয়ন করে অপরাধ করেছেন। রাজাকারদের ফাঁসি দিয়ে, শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের ফাঁসি দিয়ে- শেখ হাসিনা অন্যায় করেছেন। এত এত ভালো কাজ ও উন্নয়নের পুরস্কার কি ফাঁসি? অত্যন্ত দুঃখজন। এটা হতে পারে না। আমি রাজনীতি করি না। কোনো দল করি না। আমি খেতে খাওয়া মানুষ। দেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে- অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা আমার দায়িত্ব।
দেশের সব পদে এখন বসে আছে- জামাতের লোকজন।
অ্যাটর্নি জেনারেল, উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, আমলা থেকে শুরু করে সব জায়গায় এখন জামাতের লোকজন। জামাতের প্রচুর টাকা। ওদের টাকার অভাব নেই। কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পর্যন্ত সব জামাত শিবির দিয়ে ভরা। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করে গেছেন আর জামাত শিবির তলে তলে- নীল নকশা করে গেছে। এখন সেই নীলনকশা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। জামাত গর্ব করে বলে, পুরো দেশের সব প্রতিষ্ঠানে জামাতের লোক (প্রোডাক্ট) দিয়ে ভরা। আজ পরিস্থিতি এমন দাড়িয়েছে- শেখ হাসিনার সামনে যাদের দাড়ানোর সাহস নাই, তারা আজ শেখ হাসিনাকে গালমন্দ করছে। বিচিত্র সেলুকাস! শেখ হাসিনা হেরে যাবেন না? শেখ হাসিনা হেরে গেলে, হেরে যাবে পুরো বাংলাদেশ। দেশ যারা এগিয়ে নেয়, তাদেরই থামিয়ে দেওয়া হয়- এট বড় সাহস জামাতের!। শেখ মুজিবকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এখন শেখ হাসিনাকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। জামাতের এই স্বপ্ন সত্য হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


