
রবীন্দ্রনাথ একজন ম্যাজেশিয়ান।
উনি সবার মনের কথা লিখে গেছেন। 'ও যে মানে না মানা' গানটি প্রেমের গান। ভালোবাসার গান। সংগীতের ভাষায় ভৈরবী রাগ। সম্প্রতি ব্যোমকেশ সিনেমাতে পরিচালক এই গানটি ব্যবহার করেছেন। ব্যোমকেশ ও সত্যবতীর প্রেমকে তুলে ধরতে ব্যবহার করা হয়। রবীন্দ্রনাথ তার নিজের গানে নিজেই সুর করতেন। তার সুর গুলো আর গানের কথা গুলো একদম বুকে এসে ধাক্কা দেয়।
গানটিতে প্রকাশ পেয়েছে প্রিয় মানুষের জন্য আকুলতা আর হতাশা।
আকুলতা আর হতাশা মিলিয়ে তীব্র ভালোবাসা তৈরি হয়। প্রিয় মানুষের কাছে, ভালোবাসার মানুষের কাছে অনুরোধ করে, কিন্তু সেই প্রিয় মানুষটি বুঝে না। বুঝতে চায় না। গানটিতে না না শব্দ টা বারবার এসেছে। পুরো গান জুড়ে কি করুন আর্তনাদ! হাহাকার! না পাওয়া! এই মুহুর্তে আমি এই গানটি শুনছি এবং এই পোষ্টটি লিখছি।
এই গানের একটা লাইন এরকম:
'নাই রাতি, মলিন হয়েছে বাতি'। ভালোবাসার মানুষকে বুঝায়, বলে সময় কত দ্রুত চলে যাচ্ছে! তবুও প্রিয়জন উপেক্ষা করে। অনেকে মনে করেন, গানটি আসলে মানুষ মন নিয়ে লেখা হয়েছে। মন অনেক কিছু চায়। কোনো মানা শুনতে চায় না। গ্রেট রবীন্দ্রনাথ। আমি এক অধম রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একটা বই লিখেছিলাম। 'বিকল্পহীন রবীন্দ্রনাথ' নামে। বইটা মনের মতো হয়নি। বড্ড তাড়াহুড়ো করেছিলাম। বইটা আমি আবার লিখব।
মন বড় রহস্যময়।
সমস্ত অনন্ত নক্ষত্র বীথিতে যত রহস্য তার চেয়ে বেশি রহস্য মানুষের মনে। সেই মনের কারসাজি বোঝা দায়। এই গানটিতে একটা লাইন এরকম: বিধুর বিকল হয়ে খেপা পবনে'। বড় অদ্ভুত সুন্দর একটা কথা। দু:খ পাওয়া, বিচলিত হওয়া। লাইনটি প্রকৃতি ও মানুষের মনের অবস্থা বুঝানো হয়েছে। বিধু মানে চাঁদ। খেপা পবন মানে ফাগুন মাসের ফুলের বাগান।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


