আমার জন্য মেয়ে দেখা হইয়াছে, আর আমাকে নাকি বিয়ে করিতেই হইবে। উনিশ বছরের তরতাজা পোলা আমি, বিয়া করার নাকি আসল সময় এইটা, আমি বিয়া করিতে রাজি হইলেই নাকি অনেক কিছু যৌতুক পাইবো,
আমিও রাজি হইয়া গেলাম, যৌতুক নিয়া বিয়া করিব। লুতফর ঘটক মাইয়া ঠিক করিয়াছেন।
সাথে সাথে এইটাও উপলব্ধি হইল যে, আমি বিয়া করিবার কথা বলিয়াছি আমার পেরেন্ট যানিতে পারলে আমাকে সিকল দিয়া বাধিয়া রাখিবেন।
আমি মি: লুতফর ঘটককে ডাকিয়া মাইয়া ও মাইয়ার ফেমিলি সম্পর্কে যানিতে চাহিলাম।
মি: ঘটক আমাকে মেয়ে ও তার ফেমিলি সম্মন্ধে বলিলেন,
মেয়ের তিন ভাই, একজন কোরিয়া, একজন ইতালি থাকেন আর একজন নামি দামি মাস্তান(আমি ভয়ে ঢোক গিললাম)। বাড়িতে দুইতলা বিল্ডিং, মাঠে মাএ ৫০০বিঘা জমি (মানে আমার ১০০ বিঘা)।
এইকথা শুনিয়া আমার বিয়া মনে মনে হইয়া গিয়াছে, আমি বলিলাম তা যাহাকে বিবাহ করিব, তাহার কথা কিছু বলিবেন না?
উনি বলিলেন তাহার কথা কি বলিব, আহারে মাইয়া একখান দেখতে নাইকা পুর্নিমা’র মতন।
আমি বলিলাম এত ধনি তার উপর মেয়ের এত এত চেহারা ব্যাপারটা রহস্যময় মনে হইতাছে, আচ্ছা মাইয়া খোড়া কানা নাকি?
উনি বলিলেন, আরে ভাইজান কন কি? পোলা হইলে ফুটবল খেলোয়ার হইত।
-তাইলে কি মাইয়া বিবাহিত?
না বিবাহ হয়নাই, তয় একখান সমস্যা আছে আপনে এলাকার মানুষ তাই আগেই কইতাছি, তাহার দেড় বছরের একটা পোলা আছে।
তাহার মানে বিয়া হয়নাই কিন্তু দেড় বছরের পোলা?
উনি বলিলেন, হ্যা।
মি: ঘটকের কথা শুনিয়া আমার চোখ ছানাবড়া দিয়া উঠিল, আমার মনটা পুলকিত হইতে লাগিল। আর ভাবিতে লাগিলাম, আমি বিয়া কইরা বউ নিয়া শুইয়া আছি (মাফ করবেন)।
একবার এইটা ভালো জিনিস, বউয়ের সাথে বাচ্চা ফ্রি!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




