কখোনো নিজের সঠিক পরিচয় বুঝতে পারিনি,এখোনো এই বয়েসে
উদ্ধার হলোনা জন্ম পরিচয়,স্কুল খাতায় একটা নাম ছিলো শৈশবে,
তখন ভেবেছি আমি হয়তো কোনো রাজার ছেলে,ভুলক্রমে এসে,
এই কৃষক গৃহে বন্দী হয়ে যাই,কৌটায় ভ্রমর দেখেছ শেষ কবে?
তবুউ ভালই ছিলাম ধানের গন্ধে উন্মাতাল,ভুলেও পরেনি মোনে
আমিতো রাজার ছেলে ,কোনো এক জলের অতলে বন্দী ভ্রমর।
শিকার হয়ে আমি দেখেছি,ব্রিক্ষ নয় এই মানুষ বোনে
কতোকাল পার করে দেখি এখানেও রাত শেষে সেই ভোর।
আমি যৌবনে ব্যাং রাজ কুমার।কাউকে বলিনি থেকেছি নিশ্চুপ
বিকেল কেটেছে তবুউ একটা গান গাইনি ,যদিও বিদ্যালয়ে
অনেক কসরতে যোগ ভাগ গুন বিয়োগের পাশে ,ধুয়ো ঢাকা ধুপ
ধুয়াকে প্রনাম ,মুখ ঢেকেছিল,চেনেনি সকলে,আমি নাম বলিনি ভয়ে।
বার্ধক্যের ঘারে চেপে বেশীদুর যাইনা ,হাপাতে,হাপাতে
ধুসর দৃশ্যাবলী এখন চোখে ভাসে রাত দিন সব প্রহরে
বন্দী ভ্রমর আত্তহননে ,পানির তলদেশে ,অভিমান আর আঘাতে
আর কোনো রাজা বেচে নেই, এই এক চোখা দৈত্যের শহরে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




