অহেতুক এক ঘোর অথবা ঘন কুয়াশার মতো আচ্ছন্নতায়
আজন্ম বুদ হয়ে আছি মত্সকুমারী; এ কার অভিশাপ
বলো? গ্রীষ্মের সবুজাভ পাতা সকল শীতে ঝরে যায়।
আমি চেয়েও পাইনি এমন, আমার পুরুটাই অসুরের সন্তাপ!
আমার বিকারগ্রস্ত জীবনে তুমিই অজান্তে ঘারে চেপে বসা
এক চোখা দৈত্যের মতো; কি ভয়ংকর আমার হেটে চলা।
একান্তে তোমার বিভ্রম ভালোবেসে, দেখেছি হয়তো সহসা
জানি অনেকেই দেখেনি, তবু বিস্বাস পরম্পরায় ছিল বলা।
তোমার কি শক্তি ছিল সংগ্রহে মত্সকুমারী; দ্যাখো আমি
লোভাতুর হয়ে পথ ভুলে বারবার একই রাস্তায় গিয়ে থামি।
কার অভিশাপে, এরুপ জন্ম তোমার? ভাবি কতটা দুঃখ থাকে বুকে
তারও ছিলো কুমারী, তোমাকে ভেবেছে যে, হাতে পেরেক ঠূকে ঠুকে।
যন্ত্রনা নিয়ে সারাটা জীবন আমি জানি এভাবে জলজ তোমাকে
যে গড়েছিলো, সে তো মরিচিকা প্রেমী।লোকে প্রতিশোধ বলে যাকে।
তবে আমার এ ঘোর ভালো লাগে, তন্দ্রার মতো, এই যদি হয়
মসকুমারী কল্পনায় থাকো আমার, আমার শুধু অদৃশ্যে বিষ্ময়।
আমার জালে কিছুই পরেনি ধরা, এ জীবনে, তবু পুরাতন অভ্যাসে
আজো সাগরের জলে বসে থাকি, জাল নৌযান হয়ে ভাসে।
নতুবা কুমারী, আজন্ম কাল মোহনীয়, সচ্ছ জালে তোমার
আমিই আটকে ছিলাম, আহা ভুলে ভেবেছিলাম কেটেছি সাতার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




