জন্ম মাত্রই তুমি ও আমি জড়িয়ে গ্যালাম আদর্শলিপি ও সাপলুডু সপ্মর্কে।
আমার শিশু ভাবনায় তখন কি ছিলো?এই পড়ন্ত শীতে মনে তো আসেনা সহসা
এইটুকু মনে পড়ে,সর্বাগ্রে দখল করেছিলাম তোমার শরীর,খাদ্য ও শোবার ঘরকে,
পুরোটাই ছিলো নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার কি অদ্ভুত তাড়োনায় বুঁদ হয়ে বসা।
এভাবে আমার বেড়ে উঠা ছিলো তিলে তিলে নিতান্ত যা প্রয়োজন
বেচে থাকার সুখকর বুদবুদ অনুভুতি পেতে,নিয়েছিলাম সব শিখে।যদিও
তখোনো মাকড়সা দেখিনি একটাও,সেহেতু ছিলোনা কোনো মাতার উদাহরন
তবু জানতো পরিবেশ,জানে জল,জানে মাছ,জানে ডুবে থাকা বরশিও।
আমার সাথে সম্পর্ক তোমার মাতা-সন্তান তাই প্রকৃতি বিস্তর
সাপ রেখে দিতো আমার হামাগুড়ি কোমল শিশু উপযোগী সড়কে।
আমি ষষ্ঠ ইন্দ্রেয়ের দ্বারস্থ হয়েছি বহুবার।অজস্র নিষ্ঠুর বিষধর
ছোবল ঠ্যাকাতে।পারিনি।সারারাত শুশ্রষা দিয়েছি আক্রান্ত ত্বকে।
খুব চেয়েছিলে আমি যেন আগুনে পুড়েপুড়ে শিখে নেই দক্ষ ধাতুর
তাবিজ।যা পথকে আনুগত্য ও অন্ধকারকে দেবে ঢেউয়ের চুড়ার ফসফরাস।
জন্মেই আমি কেদেছিলাম বলে পৃথিবী কেঁদেছে,কেঁদেছে তোমার আঁতুর
তাই বিষদাত সয়ে নিলে পাবো দীর্ঘজীবি হবার সহজাত আশ্বাস।
তুমি সাপলুডু চেনো মা,তুমি দক্ষ,তুমি চালাক “মা সাপুড়ে”
কতোটা বিষ তুলে দিয়েছিলে আমায়?আজ পড়ন্ত বিকেলে যুবা বয়েসে
স্মৃতি-শিশুকালে অনভিজ্ঞতায় আমি থেকেছি মই থেকে কিছু দূরে।
জানি সন্তানের প্রতিযোগী ছিলে,এখনও আছো মাত্রিত্বের দাবী ঘেঁষে।
আজকে তোমার নোনা ধরা,দুর্বল শ্যাওলার প্রাচীর ভঙ্গুর।অবশ্য পরিতাপ
যা আমাকে সাহসী আশ্রয় নয়,বাধা গ্রস্থ করে।তোমার বয়েসী এই কংক্রীটে।
অথচ আমার নতুন গৃহে,এখনো গোপনে,খোলস ছেড়ে যায় শিশুকালের সেই সাপ।
এ নিশ্চই তোমার পোষা সাপ মা,আমি জানি,তুমি পালো তাকে দুধ-কিটে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




