সকল মত-ধর্ম-বর্ণ-বিশ্বাস-চেতনার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি প্রথমেই।
দেশ বর্তমানে একটা বিরাট সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচেছ। একের পর এক নাটকীয় ঘটনা অঘটনঘটনপ্রটিয়সী বাংলাদেশীদের মনে আলোচনার বিষয়, তর্ক, বিভেদ, সংশয়, ভীতি, অনিশ্চয়তার জন্ম দিচ্ছে। সংবিধান নিয়ে কথা হচ্ছে। সংবিধান সংরক্ষনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের এই দাবী বা কথার তখনই দাম বা গ্রহণযোগ্যতা থাকতো, যখন সংবিধানটা বার বার ক্ষমতাসীনদের রক্ষা কবচ হিসাবে তারা নিজেরাই সংশোধনের তামাসা করেছে। কই তখনতো কেউ এত তীব্রভাবে জনগনের সংবিধান প্রনয়নের কথা বলেনি, কেউ তো বলেনি কেন একজন মানুষের হাতে এত ক্ষমতা কেন থাকবে?
কেন এতগুলো ধারা সংশোধনের অযোগ্য হবে ধর্মীয় গ্রন্থের মতো?
জনগনের নির্বাচিত মানুষগুলো সাধারনদের চেয়ে সবদিক থেকে কেন এত সুবিধা, সুরক্ষা পাবে?
মুক্তিযুদ্ধে দেশের প্রায় সকল মানুষ যুদ্ধ করেছে, দেশ ও মানুষের জন্য তারা স্বাধীন করেছে। তাহলে প্রকৃত অনেক মুক্তিযোদ্ধারা ভিক্ষা করে, রিক্সা চালায় আর গুটিকয়েক মানুষের তালিকাগুলোতে থাকা মানুষগুলোই শুধু মুক্তিযোদ্ধা নামে পরিচিত ও তার সম্মান ও সুবিধা ভোগ করছে? তালিকা যদি করতেই হয় তবে দেশের বিপক্ষে যারা ছিল, তাদের লিষ্ট করার দরকার ছিল। যুদ্ধের পর কেন এত নীরিহ ও দেশপ্রেমিক মানুষদের হত্যা করা হলো?
কেন বঙ্গবন্ধু, জিয়া, ওসমানি, তাজউদ্দিন, প্রমুখ দেশপ্রেমিকদের নির্মম বিদায় নিতে হলো। কেন সৈরশাসকদের আত্বপ্রকাশ ঘটলো? কেন তাদের নির্বাচনে দেশের এত বড় শক্তি হাত মেলালো? বর্তমানে দেশের শত্রু হিসাবে দাবীকৃত ব্যক্তিদের নিয়ে রাজপথ কেন তারা কলঙ্কিত করলো?
এমন অনেক ঘটনা আছে বিভিন্ন মতের মানুষদের লেখা ইতিহাসে ঘটনাগুলো তাদের মতো করে লেখা বা বলা। অথচ একটি কথা ১০০% সত্য, তা হলো উপরিউক্ত ঘটনাবলীর সকল ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটিতে মিল রয়েছে, সেটা হলো জনগণকে সামনে রেখে, তাদের সুরক্ষার দ্বায়িত্ব নিয়ে সকল দ্বায়িত্বরত কর্তারা নিজেদের আখের গোছা ভরাট করার জন্য যখন যা খুশি তাই করেছে ও করছে। অথচ আমি কিছুদিন লক্ষ্য করছি, আমাদের কিছু মানুষ এসকল সত্য মিথা বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে এমন তুমুল তর্ক-বিতর্কে জড়াচেছন, নিজেদের স্বাভাবিক সম্পর্ক নষ্ঠ করছেন। বাদানুবাদে জড়াচ্ছেন। স্বল্প সময়ে ও স্বল্প জ্ঞানের বিনিময়ে বা সস্তা কিছু মাধ্যম থেকে উপার্জিত শক্তি নিয়ে নষ্ঠ করছেন দীর্ঘ দিনের আত্বার সম্পর্ক গুলো। একটি অসত্যা বা বিতর্কিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্য অনেক ক্ষেত্রে অন্যকে চরমরুপে হেয় করে নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করছি। যদি একজন সতিই ভালো বা মন্দ হয় বা সত্য বা মিথ্যা হয়, তবে আপনার আমার তর্কে তার বা কি আসে যায়? অথচ, কুমন্তব্য, সম্পর্ক নষ্ঠ বা নিজেদের বিভেদ তো নিজেরাই করছি। একজন অপরাধী বা দোষীকে যদি উপযুক্ত শাস্তির ক্ষেত্রে বৃহত কোন কারন থাকে বা তার অপরাধ প্রমান করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে, তবে তার পেছনে ছুটে শুধু শুধু কেন সময়, অর্থ্, শক্তি নষ্ঠ করবো। কেন বিভেদ বাড়ানোর ব্যবস্থা করবো? বরং সেটার পূণরার্বৃত্তি না ঘটে সেই জন্য আমাদের এগোতে হবে। দেশ বা দুনিয়া এগিয়ে যাচ্ছে সত্যিই। কিন্তু আমরা মানসিক বা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে যদি আরো যত্নবান না হই তবে সেটা ধরে রাখা বা তার সাথে তাল মিলিয়ে চলা অসম্ভব হয়ে পড়বে। ফলাফল হবে চরম বিপর্যয় ও ভয়ংকর।
সকলের জন্য দোআ ও কল্যাণ কামনায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




