দেশের মানুষ হাঁটতে ভুলে যাচ্ছে। অবশ্য বাঙালি, জাতি হিসেবে বড়ই আলসে। সুতরাং আগেও যে খুব একটা হাঁটতে জানত সে দাবি করিনা। আলসে বলায় যারা মাইন্ড খাইলেন তাদের বলি, আর কোথাও কি রিক্সা দেখেছেন? দেখেন নি কারণ ওটুকু পথ তারা হেটেই পার হন।
সে যাই হোক আসল কথায় আসি। এই যে হাঁটা ভুলে যাওয়া এর কারণে চারিদিকে সমস্যার অন্ত নেই। প্রথমেই মেদ ভুড়ি। 90% মানুষ তিন বেলা পেট পুরে খেটে পায়না যে দেশে সে দেশেও যে মেদ ভুড়ির সমস্যা হতে পারে কে ভাবত? কিন্তু বাস্তবতা হলো সমস্যা অতি জটিল। কিছু মানুষ খেতে খেতে পেটের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে এমন পর্যায় নিয়েছেন যে এখন তাঁরা পয়সা খরচ করে ঘাম ঝড়ান Slimming center এ যেয়ে।
দ্্বিতীয় সমস্যা হল, বহুমূত্র রোগের বিস্তার । ইব্রাহীম সাহেব তো কবেই গত হয়েছেন, কিন্তু রেখে গেছেন হাসপাতাল যার সামনে ভিড় দেখলেই এ রোগের বিস্তার সম্পর্কে জানা যায়। তো এই রোগের প্রধান ঔষধ কি? সেই হনটন অর্থাৎ হাঁটা।
এখন সবাই জানতে চাইতে পারেন এত কিছু ছেড়ে হাঁটার পিছে লাগলাম কেন?
কারণ অতি সহজ। জাতির এই দূরবস্থায় একটি রাজনৈতিক দল এগিয়ে এসেছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর যে নেতিবাচক "ভাবমূর্তি" ছিলো তা আশা করি ধীরে ধীরে দূর হবে এরকম জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচীর কারণে। এই দলটি বর্তমানে হাঁটা কর্মসূচীর সূচনা করেছে, ' পথযাত্রা' নাম দিয়ে। এরা অবশ্য হাঁটাকে আগেও উৎসাহ দিতেন। মানুষ যেন হাঁটার প্রতি মন দেয় তাই তাঁরা প্রায়ই হরতাল দেকে রাস্তা বন্ধ করে দেন। কিন্তু বেআককেল রিক্সা ওয়ালাদের কারণেই তাদের সেই কর্মসূচীতে মানুষ হাটেনা। তাই এবার আর ঝামেলাতে না গিয়ে সরাসরি পথযাত্রা। আশা করি তাদের এই মহৎ উদ্যোগ সফল হবে। জনগণ আরও বেশী বেশী করে হাঁটবে।
সামনে নির্বাচন। এক বড়দল যখন এমন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী নিল আরেক বড়দল তখন মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকে কি করে? তাঁরা করল কি হাটা কর্মসূচীর পরে যে সমাবেশ তাতে যেন লোকজন যেতে না পারে সে কারণে সব রাস্তাঘাট বন্ধই করে দিল। অগত্যা মানুষ আর কি করবে? সুতরাং হাঁট।
বি. দ্্র. আজকে এই দুই দলের পাল্লায় পড়ে বহুত হাঁটতে হয়েছে তাও কাজ হয়নি। তেজগাঁও যেতে চেয়েছিলাম বুেয়ট থেকে, পারলামনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৩:৫৫