somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাঁটতে শিখুন

২৫ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৩:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের মানুষ হাঁটতে ভুলে যাচ্ছে। অবশ্য বাঙালি, জাতি হিসেবে বড়ই আলসে। সুতরাং আগেও যে খুব একটা হাঁটতে জানত সে দাবি করিনা। আলসে বলায় যারা মাইন্ড খাইলেন তাদের বলি, আর কোথাও কি রিক্সা দেখেছেন? দেখেন নি কারণ ওটুকু পথ তারা হেটেই পার হন।

সে যাই হোক আসল কথায় আসি। এই যে হাঁটা ভুলে যাওয়া এর কারণে চারিদিকে সমস্যার অন্ত নেই। প্রথমেই মেদ ভুড়ি। 90% মানুষ তিন বেলা পেট পুরে খেটে পায়না যে দেশে সে দেশেও যে মেদ ভুড়ির সমস্যা হতে পারে কে ভাবত? কিন্তু বাস্তবতা হলো সমস্যা অতি জটিল। কিছু মানুষ খেতে খেতে পেটের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে এমন পর্যায় নিয়েছেন যে এখন তাঁরা পয়সা খরচ করে ঘাম ঝড়ান Slimming center এ যেয়ে।

দ্্বিতীয় সমস্যা হল, বহুমূত্র রোগের বিস্তার । ইব্রাহীম সাহেব তো কবেই গত হয়েছেন, কিন্তু রেখে গেছেন হাসপাতাল যার সামনে ভিড় দেখলেই এ রোগের বিস্তার সম্পর্কে জানা যায়। তো এই রোগের প্রধান ঔষধ কি? সেই হনটন অর্থাৎ হাঁটা।

এখন সবাই জানতে চাইতে পারেন এত কিছু ছেড়ে হাঁটার পিছে লাগলাম কেন?
কারণ অতি সহজ। জাতির এই দূরবস্থায় একটি রাজনৈতিক দল এগিয়ে এসেছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর যে নেতিবাচক "ভাবমূর্তি" ছিলো তা আশা করি ধীরে ধীরে দূর হবে এরকম জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচীর কারণে। এই দলটি বর্তমানে হাঁটা কর্মসূচীর সূচনা করেছে, ' পথযাত্রা' নাম দিয়ে। এরা অবশ্য হাঁটাকে আগেও উৎসাহ দিতেন। মানুষ যেন হাঁটার প্রতি মন দেয় তাই তাঁরা প্রায়ই হরতাল দেকে রাস্তা বন্ধ করে দেন। কিন্তু বেআককেল রিক্সা ওয়ালাদের কারণেই তাদের সেই কর্মসূচীতে মানুষ হাটেনা। তাই এবার আর ঝামেলাতে না গিয়ে সরাসরি পথযাত্রা। আশা করি তাদের এই মহৎ উদ্যোগ সফল হবে। জনগণ আরও বেশী বেশী করে হাঁটবে।

সামনে নির্বাচন। এক বড়দল যখন এমন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী নিল আরেক বড়দল তখন মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকে কি করে? তাঁরা করল কি হাটা কর্মসূচীর পরে যে সমাবেশ তাতে যেন লোকজন যেতে না পারে সে কারণে সব রাস্তাঘাট বন্ধই করে দিল। অগত্যা মানুষ আর কি করবে? সুতরাং হাঁট।

বি. দ্্র. আজকে এই দুই দলের পাল্লায় পড়ে বহুত হাঁটতে হয়েছে তাও কাজ হয়নি। তেজগাঁও যেতে চেয়েছিলাম বুেয়ট থেকে, পারলামনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৩:৫৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×