somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি সমাপ্ত প্রেমের অসমাপ্ত কাহিনী -১

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এ গল্পে আমার ভূমিকা তেমন নেই । এখানে আমি শুধু শুনেছি আর দেখে গেছি আর এখন আপনাদের কাছে বর্ণনাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ । গল্পটা শুরুর প্রেক্ষাপট শুরু হয়েছে ২০০৩ সালের দিকে । ও আমার নামই তো বলা হয়নি । আচ্ছা বাদ দেন আমার নাম দিয়ে কি হবে ।আমিতো শুধুই বর্ণনাকারী মাত্র । সেটাই না হয় থাকুক । আমি আমার বর্ণ্নার কাজটিই না হয় ভালো মতো করি । এবার আসুন মূল গল্পে ।
বদরুল নামক এক টগবগে যুবক আর ফেরদৌসী নামক এক মিষ্টি মেয়ের গল্প এটি । যা এখনো চলছে তবে প্রেমের গল্পটা বিষময় হয়ে সমাপ্ত হয়েছে কিন্তু মূল গল্পের ধারা এখনো চলছে ।
বদরুল ২০০৩ সালে এস.এস.সি পাস করে উপজেলা শহরের সরকারি কলেজে ভর্তি হয় । প্রথমদিন কলেজটা ভালোই যায় । বিপত্তি বাদে ২য় দিন । শ্রেণিকক্ষে বসা নিয়ে তার সাথে কিছু ছেলের সাথে কথা কাটাকাটি হয় । যার জের ধরে বাড়ি যাওয়ার পথে ঐ ছেলেদের সাথে রাস্তায় মারামারি হয় ।বদরুল ভালো একটা মার খায় । বদরুল একটু রগচটা ছেলে যার ফলে তার মনে একটা জেদ চাপে ঐ ছেলেদেরকে উচিত শিক্ষা দেবার । যার ফল স্বরুপ তার ছাত্ররাজনীতিতে যোগদান এবং কলেজ এর ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের আহবায়ক নির্বাচিত হওয়া । চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তার ব্যক্তিগত সেই মনোবাসনা পূর্ণ করা । অর্থাৎ সেই ছেলেগুলোকে ভালো মতো উত্তম মধ্যম দেয়া এবং পরে তাদেরকেই নিজের বন্ধু এবং শক্তিশালী হাতিয়ার বানিয়ে ফেলা । কলেজের সকল ভালো মন্দ কাজের সাথে জড়িয়ে পড়া ।
গল্পের প্রেক্ষাপটে নায়িকার মানে ফেরদৌসীর আগমন এর এক বছর পর অর্থ্যাৎ ২০০৪ সালে । ২০০৪ সালে এস.এস.সি পাসের পর ফেরদৌসী ভর্তি হয় সেই সরকারি কলেজে । বোরখা পরা শান্ত স্বভাবের ছোট খাটো একটা মেয়ে । তার শুধু দেখা যায় দুটি চোখ । সে চোখের পানে তাকালে নিজেকে হারিয়ে ফেলা যায় । নবীনবরণের দিন বাধে ছাত্র শিবিরের ক্যাডারদের সাথে বদরুলদের মতবিরোধ । যার জের ধরে লেগে যায় মারামারি । নতুন ছাত্র ছাত্রীরা যে যার মত করে পালিয়ে বাচাঁর চেষ্টায় হুড়োহুড়ি করতে লাগলো । যাইহোক যে কোন কারণবশত কিংবা ভাগ্যের খেলায় ফেরদৌসী পড়ে যায় মারামারির মধ্যে । বদরুল দেখে একটা মেয়ে মারামারি মধ্যে পড়ে গেছে তাই সে টান দিয়ে সরিয়ে দেয় মেয়েটিকে । যার বিনিময় স্বরুপ মেয়েটি ঠাশ করে এক চড় বসিয়ে বদরুলের গালে । মুহূর্তেই বদরুলের ফর্সা গাল লাল হয়ে উঠে । অবশ্য ফেরদৌসীও তার জায়গা থেকে ঠিক একটা পুরুষ তার শরীরের হাত দিল কেন ? এক চড়ে মারামারি বন্ধ হয়ে সবাই হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে বদরুলের দিকে । বদরুলে নিজের লাল হয়ে উঠা গালে হাত বোলাতে বোলাতে চুপচাপ কলেজ থেকে বের হয়ে গেল । যা বড় কোন ঝড়ের পূর্বাভাস হিসেবে গণ্য করে যে যার মত কলেজ ছাড়লো । তারপর থেকে ৫ দিন বদরুলের খোঁজ পাওয়া যায় নি ।
এবার গল্পে আবির্ভাব ঘটবে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের দূত বড়ায়ির মত চরিত্র কুদ্দুসের ( একই সাথে কূটনা ও বদরুলের বন্ধু ) । ৫দিন বন্ধু বদরুলের খোঁজ না পেয়ে কুদ্দুস ভয় পেয়ে গেল আর মনে মনে ভাবছে মেয়েটার না কোন ক্ষতি করে পেলে বদরুল । তাই সে মেয়েটার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করলো । মেয়েটার নাম জানলো ফেরদৌসী এবং আরো জানলো মেয়েটি ভালোই আছে । সে ডেকে পাঠালো ফেরদৌসীকে ।
ফেরদৌসী- (সালাম দিল) ।ভাইয়া কেন ডেকেছেন ?
কুদ্দুস- অনেক কথা আছে তাই ডেকেছি । ভাল আছো ?
ফেরদৌসী- জ্বী ভাইয়া ভাল ।
কুদ্দুস- কিভাবে ভাল আছো ? তোমার কি চিন্তা হচ্ছে না ? তুমি ঐ দিন কাকে চড় দিয়েছো জানো ? তার পর থেকে কি তাকে কলেজে দেখেছো ?
ফেরদৌসী- কাকে মেরেছি জানি না । উনি আমার গায়ে হাত দেওয়াতেই তো মেরেছি । চিন্তা হবে কেন আমিতো কোন অন্যায় করিনি । আমি তো ওনাকে চিনি না । ওনার সম্পর্কে খোঁজ নিতে যাব কেন আমি ?
কুদ্দুস - আরে বোকা মেয়ে কি বলো চেনো না । ও এই কলেজের নেতা ।তোমাকে মারামারির হতে বাঁচানোর জন্যইতো তোমাকে টান মেরে সরিয়ে দিল । তুমি ভুল বুঝে চড় মেরে বসলা ? তোমার চড় খাবার পর হতে ও আর কলেজে আসে নি । যা কিনা ঝড়ের পুর্বাভাস । সাবধানে থেকো । দেখি আমি কি করতে পারি । তোমার অভিবাবকের মোবাইল নাম্বার আর ঠিকানা দিয়ে যাও ।কাউকে কিছু বলার দরকার নেই । ( ফেরদৌসীর চোখেতে ভয় এর দেখা পেয়ে মনে মনে হাসছে )
বদরুল গত ৫দিন ধরে সময়ই পায় নি চড় নিয়ে ভাবার কারণ তার সেজো বোনের নিয়ে নিয়ে সে খুবই ব্যস্ত ছিল । বড় ভাই ব্যবসা আর বাবা চাকরি করে বিধায় একা হাতে পুরো বিয়ের দায়িত্ব সামলাতে হয়েছে । অবশ্য আরেকজন তাকে সাহায্য করেছে সে হলো আমি লেখক নিজে । যদিও বয়সে ছোট ছিলাম তারপরেও যতটুকু পেরেছি করেছি । নিজের প্রশংসা বেশি হয়ে যাচ্ছে , আসি গল্পে । সেজো বোনের বিয়ের পরে ঠান্ডা মাথায় যখন টেবিলে বসলো বই নিয়ে তখন মনে অজান্তেই হাত চলে গেল গালে ।কে মেয়েটি? মেয়েটি চড় মারলো কেন ? কি অন্যায় করেছিলাম ? মনের ভেতর হাজার হাজার প্রশ্ন উঁকি দিতে লাগলো । না কাল কলেজে গিয়ে একটা ব্যবস্থা করতেই হবে ।
(চলবে)
-------------------
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×