যতদূর জানি, জাতীয় দল থেকে মেসি-নেইমার-রোনালদোরা কানাকড়িও পান না। আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থা বা ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের বেতনভূক্ত নন মেসি-নেইমাররা। ক্লাব থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আয় করেন। বিজ্ঞাপন বা পণ্যদূত হিসেবেও আসে অঢেল টাকা। জাতীয় দলের মুখাপেক্ষী নন তারা মোটেও।
ফুটবলে 'ফিফা ভাইরাস' বলে একটা টার্ম আছে। ক্লাবগুলো মাঝেমধ্যেই অর্থহীন সব প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য খেলোয়াড়দের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু মেসি-রোনালদোর কখনো বলতে শুনিনি এসব ম্যাচ তারা খেলতে চান না। জাতীয় দলের প্রতি দায়বোধের সামান্যতম ঘাটতি বা অবজ্ঞা কখনো এঁরা দেখিয়েছেন বলেও মনে পড়ে না। বরং উল্টোটাই হয়।
এই বিশ্বকাপ খেললে ক্যারিয়ারটাই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, নিজের ডাক্তারের এমন পরামর্শ অগ্রাহ্য করে খেলেছেন রোনালদো। জাতীয় দলের প্রতি দায়বোধ নেই, জাতীয় সংগীতটাই জানে না--এসব শুনে শুনে ক্লান্ত মেসি একাই টেনে নিচ্ছেন দলকে। নেইমার কাল কাঁদতে কাঁদতে স্ট্রেচারে করে বেরিয়েছেন, মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়ার যন্ত্রণায় নয়; বিশ্বকাপে দলকে আর পথ দেখাতে পারবেন না, এই যন্ত্রণায়।
প্রিয় সাকিব, পিসিবির ভূত ভর করা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অদ্ভুত আর হাস্যকর অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক কথা বলা যায়। কিন্তু 'দোষ' যদি হয়েও থাকে, সেটা তো বিসিবির। বাংলাদেশ নামের দেশটার নয়।
প্রিয় সাকিব, বলছি না আপনার দেশপ্রেম নেই। কিন্তু আপনি যা বলেছেন, সেটা আপনার সবচেয়ে অন্ধ ভক্তটারও শুনতে একদমই ভালো লাগেনি।
প্রিয় সাকিব, সিদ্ধান্ত নিন .....................
ফেবু থেকে