গফুর আলী, আমাদের গ্রামের অত্যন্ত সাদাসিধে এক লোক। পেটের ব্যথায় দীর্ঘদিন কাতর। বউয়ের বকাঝকায় একদিন ডাক্তারের কাছে গেলেন।
গফুর আলীঃ স্যার, বেজায় হাগা হইছে, কমে না.......
ডাক্তারঃ কি খাওয়া দাওয়া করেন?
গফুর আলীঃ কি খাব, গরীব মানুষ, যহন যা পাই তাই খাই, তয় সহাল বেলায় পানির জাউ খাই।
ডাক্তারঃ জাউ ভাতের সাথে কি খান?
গফুরঃ স্যার, নাইয়েল আর মিটে দিয়ে খাই; কি কব স্যার, খায়ার সাথে সাথে জাউয়ের মতো হাগি!!
ডাক্তারঃ ?????????????? !!!!!!!!!!!!!!!
গফুরঃ স্যার আমি কি আগের মতো ঢেলা ঢেলা হাগতে পারবো?
ডাক্তারঃ ঢেলা ঢেরা পারবেন কি-না জানি না, তবে অষুধ দিচ্ছি খেলে পায়খানা শক্ত হয়ে যাবে।
গফুরঃ দেন স্যার, ভালো ওষোদ দেন, কতদিন যে ঢেলা ঢেলা হাগি না!!!!!!!!!!
ডাক্তারঃ ???? আপনি কাল পায়খানা ধরে নিয়ে আসবেন, একটা টেষ্ট করতে হবে, দেখি কোন সমস্যা আছে নাকি।
গফুরঃ ঠিক আছে স্যার, তয় আসি.........
পরের দিন সকালে গফুর আলী ডাক্তারের কথা মতো পায়খানা ধরতে একটি পুরাতন হরলিকসের বোয়েম ম্যানেজ করে পায়খানায় গেলেন। পাছার ছিদ্রর সাথে বোয়েমের মুখ খুলে লাগিয়ে দিলেন!!!!!!!! প্যাড় প্যাড় প্যাড় প্যাড় শব্দ করে বোয়েম নিমিষেই ভরে ফেললেন।
সাবধানে বোয়েমের মুখ লাগিয়ে একটা কাগজের ঠোঙ্গায় পেঁচিয়ে ডাক্তারের চেম্বরে হাজির হলেন।
বোয়েম ভর্তি সুরো সুরো পায়খানা ডাক্তারের টেবিলে সশব্দে রাখলেন।
গফুরঃ স্যার আনছি, আপনার লাইগে.................
ডাক্তারঃ কি এর মধ্যে?
গফুরঃ খুলেই দেখেন না, স্যার; একে বারে টাটকা;
ডাক্তারঃ (মনে মনে) গাওয়া ঘি-টি হবে বোধহয়; গ্রামের মানুষতো, তাই আমার জন্য নিয়ে এসেছে;
(প্যাকেট খুলেই ডাক্তারের চোখ ছানা বড়া!!!!!!!!!!!)
ডাক্তারঃ এ কি!!!
গফুরঃ কেন স্যার, এই ডুকি হবেনা?
ডাক্তারঃ আপনি বাইরে গিয়ে বসুন
(এবার কম্পাউন্ডারকে ডেকে ডাক্তার বয়েমটা ধরিয়ে দিলেন। কম্পাউন্ডার সামান্য একটু রেখে ঠিক একই ভাবে বাকিটুকু গফুরের হাতে ধরিয়ে দিলেন।
কম্পাউন্ডারঃ ভাই এই নেন আপনার আমানত;
গফুরঃ ফেরত দিচ্ছেন কেন? আমিতো স্যারের লাইগে আনিছি....
কম্পাউন্ডারঃ স্যার আপনাকে বলেছে, বোয়েমটা আপনার বাড়িতে গিয়ে সিকেয় ঝুলিয়ে রাখতে; ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




