somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

| বইয়ের নাম ‘উৎবচন’ |

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সব প্রাণীরই নিজস্ব ভাষা থাকে। মানুষেরও আছে। তবে অন্য প্রাণীরা যা পারে না, মানুষ কথা বলতে পারে। মন ও মননের এক বিস্ময়কর জগত ধারণ করে মানুষ পরিণত হতে পারে এক অসাধারণ সত্তায়। এটা মানুষেরই কৃতিত্ব। এরকম বহুমাত্রিক অর্জনের কৃতিত্ব মানুষের ঝোলায় রয়েছে বলেই মানুষের উচ্চতা আর গভীরতা যেমন অসীম, সীমাবদ্ধতাও অনেক। জীবনের বহমানতায় এই গভীর উচ্চতা আর সীমাবদ্ধতার স্রোতেই মানুষ ভাসে, হাসে, কাঁদে, অন্যকেও ভাসায়, হাসায়, কাঁদায়। তবে অর্জনগুলো উজ্জ্বল বলে সবার নজরে আসে তা। কিন্তু সীমাবদ্ধতার গোপন ছায়াগুলো খুব একটা চোখে পড়ে না বলে বুদ্ধিমানরা এড়িয়ে যান সহজেই, আর বোকারা এসব ভাবতে ভাবতে আরো বোকা হতে থাকে। এসব বোকা বোকা ভাবনাই ‘উৎবচন’।
.
বোকাদের মন হচ্ছে মাটির তৈরি ঘড়ার মতোই, ক্ষণভঙ্গুর। একটু আঁচরেই তা ভেঙে যায়। তবু বোকা হবার কারণে কোথাও প্রকাশ করতে পারে না বলে তাঁরা তাঁদের বোকা বোকা ভাবনাগুলোকে এই ঘড়ার মধ্যেই ভরে রাখে, জমিয়ে রাখে একান্তে, বোকার মতোই। এসব বোকা বোকা ভাবনাগুলোকে ‘ঘড়ায়-ভরা উৎবচন’ শিরোনাম দিয়ে অনেকদিন ধরে একটা দীর্ঘ সিরিজ পোস্ট চালিয়ে গেছি অন্তর্জালের কমিউনিটি ব্লগে। সেই সব প্রকাশিত ও আরো অনেক অপ্রকাশিত বচনগুলো মিলিয়ে একটা বই করে ফেলার দুরভিসন্ধি কখন যে এসে গেলো ! ‘উৎবচন’ এরকমই একটা বই, যা পড়ে বুদ্ধিমানরা বিরক্ত হবেন, আর বোকারা আরো বোকা হতে থাকবেন।
মূলত আমার বোকা পাঠক-বন্ধুদের জন্যেই এ বই।
.
লেখক-সৃষ্ট তিনশ’ বচনের সমাহার এই বইয়ের বিষয়বস্তু হলো জীবন, জগত ও মানুষ সম্পর্কিত বেশ কিছু উপলব্ধিজাত অভিজ্ঞান, যা কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। তাই বইটির প্রাককথনের শেষাংশে বলে দেয়া হয়েছে-


‘প্রচলিত বিশ্বাস, বাস্তবতা বা সত্যের সাথে এই চৈতনিক উপলব্ধির ফলাফল মিলতেই হবে এমন কথা নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে তা হতে পারে সাংঘর্ষিকও। কিন্তু তবু তা ব্যক্তিসত্তার একান্ত নিজস্ব ভাবনাই। ‘উৎবচন’কে সেরকম উপলব্ধিজাত কিছু ভাবা যেতেই পারে অথবা অন্য কিছু ভাবার স্বাধীনতাও রুদ্ধ করে না তা। তবে এর মধ্যে অতিপ্রাকৃত কোন চেতনাগত বিষয় বা অস্তিত্ব যে নেই এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই। যা আছে তা নিখাদ বস্তুগত অনুভব, উপলব্ধি ও মনস্তাত্ত্বিক কিছু পর্যবেক্ষণের নির্যাস মাত্র। যেহেতু ব্যক্তিভেদে নিজস্ব জ্ঞান, চিন্তার কাঠামো ও উপলব্ধি ভিন্ন, তাই এ বইয়ে বর্তমান লেখকসৃষ্ট উৎবচনগুলোর বক্তব্য ও ভাবনার সাথে পাঠকের নিজস্ব চিন্তাসূত্রের অভিন্ন মিল খোঁজা অমূলক হবে। কিংবা প্রচলিত ধারণার উপর তা আরোপ করাও হবে অসংগত। বরং কৌতুহলি পাঠকমনে নতুন কোন চিন্তা ও প্রশ্ন জাগানোই বইটির উদ্দেশ্য।’


এক্ষেত্রে সতর্কবাণী একটাই- বই কিনে কেউ দেউলিয়া না-হলেও ‘উৎবচন’ কিনে দেউলিয়া হবার সম্ভাবনা প্রচুর ! হা হা হা !!

ব্লগরব্লগর শেষ হবার আগে, বইটি সম্পর্কে যে তথ্যগুলো সংক্ষেপে টুকে দেয়া উচিৎ বলে মনে হলো-
.

.
বইয়ের নাম : উৎবচন
লেখক : রণদীপম বসু
বইয়ের ধরন : মুক্তচিন্তাপ্রসূত বচন-সংকলন
প্রকাশক : শুদ্ধস্বর
প্রচ্ছদ : তৌহিন হাসান
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৬২ পৃষ্ঠা
মুদ্রিত মূল্য : ১০০/= টাকা।
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×