somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বকাপ ও একটি দুঃস্বপ্ন

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দূরন্ত বেগে দৌড়ে আসছে কৃষ্ণবর্ণের ছেলেটা। তাই দেখে আমার পিলে চমকে গেল। বুঝে গেলাম আমি আবার সেই দুঃস্বপ্নটা দেখতে শুরু করেছি। গত ক’দিন যাবত ঘুমাতে গেলেই এই দুঃস্বপ্নটা বারংবার দেখি। সেই কৃষ্ণবর্ণের ছিপছিপে গড়নের ছেলেটা ১৪০-১৪৫ কি.মি. বেগে ছুটে আসে। তার ছোড়া ফুলটস বলটা যখন আমার দিকে ধেয়ে আসে তখন গলা শুকিয়ে কাঠ! আর উরুসন্ধিতে শিরশির অনুভূতি কপালে কাল ঘাম জমিয়ে দেয়। তীর্ব আর্তচিৎকারে প্রতিবার আমার ঘুম ভাঙ্গে। বাকি রাতটা কাটে বিছানায় এপাশ-ওপাশ করে।
আমি জানি এটা দুঃস্বপ্ন! বাস্তবে ঐ কৃষ্ণবর্ণ ছেলেটা পারেনি আমার উরুসন্ধিতে বল ছুড়তে। আমি সেটা সজোরে হাকিয়ে ছিলাম সীমানার প্রান্তে। যদিও একজন তালুবন্দী করেছিল। কিন্তু আমি আউট হইনি! কেন হইনি তা এখন সকলেই জানে। আমার মনে কোন অনুতাপ নেই তাতে। কেন থাকবে? আমিতো কোন অন্যায় করিনি। তবুও কেন প্রতিরাতে এই দুঃস্বপ্ন দেখি! টিমের সাইক্রিয়াটিস্ট একটা গাধা। ব্যাটাকে যতই বলি আমার ঘুমের সমস্যা নেই। ব্যাটা ততই বড় হা করে হাসে। ঘুমের ঔষধ দিয়ে আমার বেডসাইড টেবিলটার ড্রয়ার ভরে ফেলেছে।
কিন্তু ঘুমের ঔষধ পারে না ঐ কৃষ্ণবর্ণকে আটকাতে। ওর ছুটে আসার শব্দ আমার হৃৎকম্প বাড়িয়ে দেয় শতগুণে। আমরা ভেবেছিলাম সহজেই ওদের ধরাশায়ী করতে পারব। কিন্তু প্রথম থেকেই ওদের নাছোড় মনোভাব আমাদের আঙ্গুলটা বাকা করতে বাধ্য করে। এসব আমাদের আগে থেকে বন্দোবস্ত করে রাখা থাকে।
ভোর হয়ে আসছে। কিন্তু দু’চোখে ঘুম নেই। আচ্ছা, আম্পায়ার দু’টো কি শান্তিতে ঘুমাচ্ছে নাকি আমার মত দুঃস্বপ্ন দেখে রাত পার করছে।
ধ্যাত! কি সব আবোল তাবোল ভাবছি। সামনে আরো বড় একটা ম্যাচ আছে। এমনিতে আমি যে খুব ধারাবাহিক রান পাই, ভাল খেলি তা নয়। তবে খেলার জন্য ১০০% ফিট থাকা চাই। সামনের ম্যাচে অবশ্য আমায় কিছু করতে হবে না। বড় ম্যাচগুলোয় আমাকে সাপোর্টিং রোল প্লে করতে হয়। দায়িত্ব পড়েছে আরেকজনের ওপর। এই ম্যাচটার জন্য তাকে এখনো পর্যন্ত ধরে রাখা হয়েছে। সেই প্রথম ম্যাচে ১টা সেঞ্চুরী হাকিয়েছিল। তারপর তাকে রয়েসয়ে খেলানো হয়েছে। এবার তাকে নিয়ে সাজানো হবে নাটক। হ্যা, তাকেই ঘিরে সব সেটাপ সেটিং করা হয়েছে। কারণ এবারের প্রতিপক্ষ আর ততটা দূর্বল নয়। ইট মারলে পাটকেল নিয়ে তেড়ে আসে। তবে চিন্তার কিছু নেই। সবার জন্যই আমাদের প্ল্যান করা আছে। সবাই আমাদের কাছে একটা বড় “মওকা”।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×