দূরন্ত বেগে দৌড়ে আসছে কৃষ্ণবর্ণের ছেলেটা। তাই দেখে আমার পিলে চমকে গেল। বুঝে গেলাম আমি আবার সেই দুঃস্বপ্নটা দেখতে শুরু করেছি। গত ক’দিন যাবত ঘুমাতে গেলেই এই দুঃস্বপ্নটা বারংবার দেখি। সেই কৃষ্ণবর্ণের ছিপছিপে গড়নের ছেলেটা ১৪০-১৪৫ কি.মি. বেগে ছুটে আসে। তার ছোড়া ফুলটস বলটা যখন আমার দিকে ধেয়ে আসে তখন গলা শুকিয়ে কাঠ! আর উরুসন্ধিতে শিরশির অনুভূতি কপালে কাল ঘাম জমিয়ে দেয়। তীর্ব আর্তচিৎকারে প্রতিবার আমার ঘুম ভাঙ্গে। বাকি রাতটা কাটে বিছানায় এপাশ-ওপাশ করে।
আমি জানি এটা দুঃস্বপ্ন! বাস্তবে ঐ কৃষ্ণবর্ণ ছেলেটা পারেনি আমার উরুসন্ধিতে বল ছুড়তে। আমি সেটা সজোরে হাকিয়ে ছিলাম সীমানার প্রান্তে। যদিও একজন তালুবন্দী করেছিল। কিন্তু আমি আউট হইনি! কেন হইনি তা এখন সকলেই জানে। আমার মনে কোন অনুতাপ নেই তাতে। কেন থাকবে? আমিতো কোন অন্যায় করিনি। তবুও কেন প্রতিরাতে এই দুঃস্বপ্ন দেখি! টিমের সাইক্রিয়াটিস্ট একটা গাধা। ব্যাটাকে যতই বলি আমার ঘুমের সমস্যা নেই। ব্যাটা ততই বড় হা করে হাসে। ঘুমের ঔষধ দিয়ে আমার বেডসাইড টেবিলটার ড্রয়ার ভরে ফেলেছে।
কিন্তু ঘুমের ঔষধ পারে না ঐ কৃষ্ণবর্ণকে আটকাতে। ওর ছুটে আসার শব্দ আমার হৃৎকম্প বাড়িয়ে দেয় শতগুণে। আমরা ভেবেছিলাম সহজেই ওদের ধরাশায়ী করতে পারব। কিন্তু প্রথম থেকেই ওদের নাছোড় মনোভাব আমাদের আঙ্গুলটা বাকা করতে বাধ্য করে। এসব আমাদের আগে থেকে বন্দোবস্ত করে রাখা থাকে।
ভোর হয়ে আসছে। কিন্তু দু’চোখে ঘুম নেই। আচ্ছা, আম্পায়ার দু’টো কি শান্তিতে ঘুমাচ্ছে নাকি আমার মত দুঃস্বপ্ন দেখে রাত পার করছে।
ধ্যাত! কি সব আবোল তাবোল ভাবছি। সামনে আরো বড় একটা ম্যাচ আছে। এমনিতে আমি যে খুব ধারাবাহিক রান পাই, ভাল খেলি তা নয়। তবে খেলার জন্য ১০০% ফিট থাকা চাই। সামনের ম্যাচে অবশ্য আমায় কিছু করতে হবে না। বড় ম্যাচগুলোয় আমাকে সাপোর্টিং রোল প্লে করতে হয়। দায়িত্ব পড়েছে আরেকজনের ওপর। এই ম্যাচটার জন্য তাকে এখনো পর্যন্ত ধরে রাখা হয়েছে। সেই প্রথম ম্যাচে ১টা সেঞ্চুরী হাকিয়েছিল। তারপর তাকে রয়েসয়ে খেলানো হয়েছে। এবার তাকে নিয়ে সাজানো হবে নাটক। হ্যা, তাকেই ঘিরে সব সেটাপ সেটিং করা হয়েছে। কারণ এবারের প্রতিপক্ষ আর ততটা দূর্বল নয়। ইট মারলে পাটকেল নিয়ে তেড়ে আসে। তবে চিন্তার কিছু নেই। সবার জন্যই আমাদের প্ল্যান করা আছে। সবাই আমাদের কাছে একটা বড় “মওকা”।
আলোচিত ব্লগ
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল
হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা
গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন