১।
=============================================
ভুমিকম্পে এক শহরে বহু ঘর বাড়ী, গাছাপালা ধ্বংস হয়েছে, বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। উদ্ধার কাজে নানা পেশাদার লোক মানুষের পাশে এসেছে। সেনা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ-আনাসার, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে জনগণ।
ডাক্তারদের কাজ দেওয়া হয়েছে যে যারা নিহত হয়েছে সেইসব মৃত ব্যক্তিদের লাল কালিতে ক্রস চিহ্ন দিয়ে মর্গে পাঠাবে, সেখানে পোস্ট মরটেমের পরে আত্মীয় স্বজনদের কাছে অথবা আঞ্জুমানে মফিজুল ইসলামের কাছে দিয়ে দেবে। ডাক্তাররা রাত দিন কাজ মৃত মানুষ সনাক্ত মর্গে পাঠাচ্ছে। মর্গে ভিতর বাহির লাল ক্রস দেয়া লাশে ভরে গেছে। ডোম একের পর এক মৃত মানুষের পেট কেটে লিভার-কলিজা বের নিচ্ছে আর সেলাই করে দিচ্ছে।
এর মধ্যে ভুল করে একজন জীবন্ত মানুষকে ডাক্তাররা লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে।
অনেক লাশের মধ্যে তাকে মর্গে নিয়ে গেছে।
হঠাৎ তার জ্ঞান ফিরে এসেছে।
সে দেখছে ডোম মৃত মানুষ গুলোর পেট কেটে লিভার-কলিজা বের করে নিচ্ছে।
যখন জীবন্ত মানুষটার দিকে ডোম আসছে এবং তাকে ধরে টান মারছে
তখন জীবন্ত মানুষটা বলছে, ভাই আমি তো মরি নাই।
আমাকে নিচ্ছেন কেন ?
ডোম বলছে-চুপ, তুই ডাক্তারের চেয়ে বেশী বুঝছ ?
দেখছনা ডাক্তার তকে লাল ক্রস চিহ্ন দিয়া দিছে।
একদম কথা বলবি না।
আরে ডোম ভাই শুনেন, আসলেই আমি মরি নাই।
চুপ, কথা সব পরে শুনবো, আগে তোর পোস্ট মরতেম করে নেই।
বেটা ডাক্তারের চেয়ে বেশী বুঝে ।
============================================
২/
একটি জরিপে দেখা গিয়াছে যে, একজন
মানুষ যখনই নিঃশ্বাস ফেলছে তখনই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও
একজন মানুষ মারা যাচ্ছে...!!’
দৈনিক সংবাদপত্রে এটা পড়ে সুমন খুব অবাক হয়ে তার মা কে বললোঃ " মা, আমি যখনই নিঃশ্বাস ফেলছি , কেউ একজন করে মারা যাচ্ছে...!! "
মা রাইগা দিয়া জবাব দিলোঃ ‘ হারামজাদা..!! তোরে আগেই কইসিলাম ভালমতন দাঁত ব্রাশ করতে...
==========================================
৩/
আবহাওয়া পরিবর্তনে ঠান্ডা জনিত কারণে বেশ ফ্যাকশে মনে হচ্ছে নিজেকে। এমন তো থাকা যায় না, কথা বলি তবে, গল্প বলি।
পুরানা আমলের একটি ফ্লাট বাড়ি, দাড়ায়ান থাকে না, ভাড়াও কম, এমন একটি বাড়িতে হাসনা বেগমের সংসার। আর এই সব বাড়ি গুলি ভিখারিদের বেশ পছন্দের, ভিক্ষা করে বেশ আরাম বোধ করে, মেজাজও বেশ ফুরে ফুরে থাকে। ভিক্ষা বৃত্তিতে বেশ বাক পটু কথা মিয়া সকাল দশটার দিকে ফুরে ফুরে মেজাজে পুরানা ঢাকার পাতলা খান রোডের একটি পাঁচ তালা ফ্লাট বাড়ির পাঁচ তালায় উঠে পড়েছে।
দরজার কড়া নাড়ছে আর বলেছে - আম্মা গো দশ টাকার একটা নয়া নোট ভিক্ষা দাও গো মা !! আম্মা !!
গৃহ-কর্তি হাসনা বেগম দরজা না খুলে বলল - নাই নাই, দশ টাকা নাই যাও যাও !!
- দশ টাকা না থাকলে ডিম ভাজি দিয়ে এক থালা গরম ভাত দাও গো মা !! আম্মা !!
- নাই নাই, ভাত নাই, যাও যাও !!
- গরম ভাত না থাকলে এক থালা বাসি ভাত দাও গো মা !! আম্মা !!
- নাই নাই - বাসি ভাত নাই নাই , যাও যাও !!
- বাসি ভাত না থাকলে শীতের কিছু জামা কাপড় দাও গো মা !! আম্মা !!
- নাই নাই - বাসায় কোন জামা কাপড় নাই, যাও যাও !!
- জামা কাপড় না থাকলে একটা কম্বল দাও গো মা !! আম্মা !!
- নাই নাই - বাসায় কোন কম্বল নাই ,যাও যাও !!
- কম্বল না থাকলে থালা বাটি দাও গো মা !! আম্মা !!
- নাই নাই - বাসায় কোন থালা বাটি নাই, যাও যাও !!
ঝানু আর বাক পটু ভিখারি কথা মিয়া এবার রেগে আগুন - যে সংসারে টাকা নাই ! খাবার নাই ! জামা কাপড় নাই! থালা বাটি নাই !! সে সংসার করার তোমার কোন দরকার নাই, আহো তুমি আমার লগে আহো...........।
===========================================