কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ার দিল্লী, আগ্রা, জয়পুর ও দার্জেলিং ঘুরে এলাম। হিলি বর্ডার ক্রস করে প্রথমে বালুঘাট সেখান থেকে ১২ ঘন্টার ট্রেন জার্নি করে গেলাম কলকাতা। কলকাতায় ট্রাভেল এজেন্ট দিয়ে দিল্লী টু কলকাতার বিখ্যাত ট্রেন রাজধানি এক্সপ্রেসের, টু টায়ার স্লিপারের ২টা টিকিট কাটলাম প্রায় ৮০০০ টাকা খরচ করে। ট্রেনের সার্ভিস টা খারাপ না। অনেক খাবার দাবারও দেয়।
দেখলাম কুতুব মিনার, জামে মসজিদ, ইন্ডিয়া গেট, পার্লামেন্ট ভবন, লাল দুর্গ ইত্যাদি। সব রাস্তায় টাটার বানানো ,আমাদের ঢাকার মত বেভকো টাইপের এসি বাস আছে যেগুলোতে চড়ে অনেক কম খরচে ,আরামে সব যায়গায় যাওয়া যায়। এই বাসগুলোতে উঠতে টিকিট কেটে লাইনে দাড়াতে হয়না। বাসে উঠে টিকিট সংগ্রহ করতে হয় হেলপারের কাছ থেকে।
জামে মসজিদের সামনে আছে করিমের বিরানি হাউজ । সেটি নাকি অল ইন্ডিয়া ও অনান্য দেশেও বিখ্যাত। সেখানে একবার খেলাম। অনেক টেষ্ট লেগেছে।
দিল্লীতে ভালো লাগলো বড় বড় সব যানযট মুক্ত রাস্তাঘাট , শক্তিশালী বাস সার্ভিস আর অতি আধুনিক মনোরেল। আরো ভালো লাগলো সেখানে কোন হাইরাইজ বিল্ডিং নাই । বেশ খোলামেলা পরিবেশ। রাতের অতি আলো ঝলমলে দিল্লীও অনেক সুন্দর।
লাল দুর্গ

কুতুব মিনার

ইন্ডিয়া গেট

জামে মসজিদের একাংশ

২ দিন পরে ভলবো বাসে গেলাম আগ্রা, মার্বলের শোকগাথা তাজমহল দেখতে। তাজমহল দেখার আগে আগ্রার দূর্গ দেখে নিলাম।
দূর্গের সামনে

দূর্গের প্রধান প্রবেশ পথ

ভেতরে



দূর্গ থেকে দূরে তাজমহল দেখা যায়


এবার গেলাম তাজমহল দেখতে। মার্বলের শোকগাথা তাজ সম্পর্কে তেমন কিছু বলার নাই । সাবেক একজন মার্কিন রাষ্ট্রপতি নাকি তাজমহল দেখে মন্তব্য করেছেন, ‘পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ আছে- যারা তাজ দেখেছে আর যারা দেখেনি’।




তাজে গেলে সবাই এই ব্যাকগ্রাউন্ডে নিজের একটা ছবি অবশ্যই তোলে ।

এতকিছু দেখে বিকেলে আবার দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । রাত ১২ টায় হোটেলে আসলাম । পরের দিন ভোর ৫ টায় আবার জয়পুর যাবো । কম সময়ে আগ্রা থেকে সরাসরি জয়পুর যাওয়া যেত কিন্তু প্ল্যান একটু পরিবর্তন হওয়ার কারনে দিল্লী ফিরে আসতে হয়েছিলো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




