ক্লোসা, পোডলস্কি, ওজিল, শোয়েনস্টাইগাররা যখন সারা মাঠ ঘুরে ল্যাপ অব অনার দিচ্ছেন, কোত্থেকে যেন হাজার হাজার লাল-কালো-সোনালি পতাকা এসে ছেয়ে ফেলল গ্যালারি। আসলে এগুলো হঠাৎ করেই আসেনি। জার্মান-সমর্থকদের হাতেই ছিল তাদের গর্বের জাতীয় পতাকা। আসলে সংখ্যায় বেশি থাকা আর্জেন্টিনার আকাশি-সাদা পতাকাগুলো তখন লুকিয়ে পড়েছে লজ্জায়। জার্মানির কাছে চার গোলে হারের পর আর্জেন্টিনার লজ্জায় মুখ লুকানোরই তো কথা।
আগের দিন পোর্ট এলিজাবেথের সমুদ্রতীরে বিসর্জন হয়েছে ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্ন। কাল আর্জেন্টিনার তৃতীয় শিরোপার স্বপ্ন ডুবল কেপটাউনের সমুদ্র উপকূলে। দুই লাতিন ফুটবলশক্তির এখন আর রেষারেষি, হানাহানি করার মানে হয় না। শত্রুতা ভুলে গিয়ে তাদের এখন গলায় গলায় বন্ধুত্ব করাই উচিত। গতবারও দুই দল শেষ আট থেকে বিদায় নিয়েছিল। এবারও হলো তা-ই। এবারও দুদলের স্বপ্ন খুন হলো ইউরোপিয়ানদের হাতে। ব্রাজিলের ঘাতক হল্যান্ড, আর্জেন্টিনার সেই জার্মানি। ব্রাজিলের হার ২-১ গোলে। কিন্তু আর্জেন্টিনা গুনে গুনে এক গন্ডা গোল হজম করেছে। মূলত ৪-২-৩-১ ছকে খেলেছে জার্মানি। কখনো কখনো তা হয়ে যাচ্ছিল ৪-৪-১-১। আর আর্জেন্টিনা খেলল সেই পুরোনো ছকেই—৪-২-৩-১।
মাত্রই তিন মিনিটের মাথায় এগিয়ে গিয়েছিল জার্মানি। ম্যান অব দ্য ম্যাচ বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগারের ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়ে হেড করে বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ গোলটি করেছিলেন টমাস মুলার। খেলার তখন সবেই শুরু। তখনই বোঝা যায়নি এত বড় পরাজয় অপেক্ষা করছে আর্জেন্টিনার সামনে। তা ছাড়া শোয়েনস্টাইগার, মুলার, পোডলস্কি আরও গোটা কয়েক হাফ চান্স মিস করলেও আর্জেন্টিনার আক্রমণই ছিল বেশি। মেসি ‘নেই’ ‘নেই’ করে আক্রমণে রসদ জোগাচ্ছিলেন। হিগুয়েইন, তেভেজরাও তাঁদের দাপট দেখিয়ে পূর্বাভাস দিচ্ছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর। দ্বিতীয়ার্ধেও তাঁরা শুরু করেছিলেন তেড়েফুঁড়ে। অন্তত ১৫-১৬ মিনিট জার্মান রক্ষণভাগের পরীক্ষা তাঁরা নিয়েছেন। কিন্তু এর পরই কী যেন হয়ে গেল আর্জেন্টিনার। তারা হয়ে গেল টুপ টুপ করে গোল ঝরে পড়া প্রান্তের দল। স্যামি খেদিরা ও শোয়েনস্টাইগার সমন্বয়ে মিরোস্লাভ ক্লোসা
আলোচিত ব্লগ
আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন
মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।