বৈধ যৌন মিলনের অনেক সুযোগ থাকার পরও জেল-জরিমানার ঝুকি নিয়ে অনেকেই ধর্ষণ করে । পত্র পত্রিকায় প্রতিনিয়তই এর খবর আমরা পাই । এর একটা বড় অংশ থাকে প্রেমে প্রত্যাক্ষান । ব্যর্থ প্রেমিক(!) ধর্ষণের মাধ্যমে প্রতিশোধ নিয়ে নিজের বীরত্ব-শ্রেষ্ঠত্ব- মহত্ব(!) ইত্যাদী প্রকাশ করেছে, নিজের মর্যাদা(!) প্রতিষ্ঠা করেছে। অন্য ভাবে দেখলে প্রেমিকা এই মহান প্রেমিককে প্রত্যাক্ষান করে তার যে পরিমান মর্যাদা হানি করেছে সেটাকে সমতবিধানের আশায় বীর প্রেমিক তার বীরত্ব স্হাপণ করেছেন । অথবা সন্মানিত প্রেমিককে প্রত্যাক্ষাণ করে প্রেমিকা যে অমার্যণীয় অপরাধ ঘটিয়েছে তার শাস্তি স্বরূপ তাকে অপদস্ত করে কিঞ্চিত প্রায়শ্চিত্ত ঘটানো হয়েছে । ইত্যাদী আরো কিছু ....
রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম সমৃদ্ধ আমাদের দেশে পতিতা বৃত্তি আইনত বৈধ । যৌন খাহেশ সম্পাদনের জন্য যৌন পল্লী ছারাও বিভিন্ন হোটেল - গেষ্ট হাউজ কত কি আছে ! মূল কথা জেল - হাজতের হুমকি মাথায় নিয়ে ধর্ষণের মত একটা ঝুকিপূর্ণ কাজ মানুষ শুধু মাত্র যৌন খিদা মিটাবার জন্যই করে - এটা মনে করা যৌক্তিক মনে হয় না । বরং এতে আপন বীরত্ব-মহত্ব-সক্ষমতা(!) জাহির , প্রতিপক্ষকে অপদস্ত করা , ভিকটিমের দূর্দশা দর্ষণের বিকৃত আনন্দ লাভ , সর্বোপরি একটা 'জয়ী' হওয়ার ব্যাপার থেকে যায়। সমস্যা হচ্ছে ধর্ষতা যদি কোন প্রতিরোধ না করে তবে যৌন মিলনে সক্ষম হলেও ধর্ষক ভিকটিমের অসহায়ত্ব দর্ষনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় !সব প্রতিরোধ গুড়িয়ে দিয়ে নিপীড়ণের মাঝে বীরত্ব প্রকাশের যে অপার আনন্দ তা আর থাকে না ।
এবারের সুস্হ ও দর্ণীয় নির্বাচনে আমরা সেরকম একটা ধর্ষণের দৃশ্য মিস করলাম। নির্বাচণের ধর্ষণ দৃশ্যে অশায় বিরোধী দলের কাতরানোর দৃশ্যে কোটি কোটি বাংগালী প্রাণ ভরে উপোভোগ করা থেকে বঞ্চিত হল - বি এন পির দুরভিশন্ধিতে !
দেহ পাবে শয়তান মজা পাবে না । জয় বাংলা !
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩