somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাঁচা টাকার ব্যবসা সচল রাখতে তাদের প্রয়োজন কাঁচা পণ্য---- যার নাম ‘নারীদেহ’।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতের মাটিতে ধনী আরবদের জমজমাট ‘সেক্স অ্যাডভেঞ্চার’

ভারতের মাটিতে মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রো মিলিওনেয়ারদের (ধনকুবের) সেক্স অ্যাডভেঞ্চারের চাঞ্চল্যকর কাহিনী উদঘাটিত হয়েছে একদল সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।

নিকাহ বা বিয়ের নামে এসব ধনী আরব দরিদ্র ভারতীয় মেয়েদের ব্যবহার করছে অর্থের বিনিময়ে। এরপর তালাকের নামে ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে নিজ নিজ গন্তব্যে।

সম্প্রতি ভারতের একটি নামকরা সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে এমনই একটি ঘটনার বিবরণ।

বলিউডের ৯০ দশকের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র ‘সড়ক’। পুজা ভাট ও সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ওই ছবিটির কথা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। মুম্বাইয়ের পতিতালয়গুলোতে প্রতি রাতের জন্য নিরীহ মেয়েদের কীভাবে নিলামে তোলা হয়, ওই ছবিতে উঠে এসেছিলো তার একটি মর্মস্পর্শী চিত্র।

কিন্তু সম্প্রতি উদঘাটিত এসব চাঞ্চল্যকর ঘটনা যেন হার মানিয়ে দেয় বলিউডের ওই চলচ্চিত্রগুলোকেও।

যেভাবে ঘটে পুরো ব্যাপারটি
পুরো প্রক্রিয়াটিই আসলে সম্পন্ন হয় একটি সুসংগঠিত চক্রের মাধ্যমে। নারীদেহের লোভে ভারত সফরে আসা ধনী আরবদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে চক্রের দালালরা।

দালালরা এই আরবদের খুঁজে দেয় কথিত ‘অস্থায়ী স্ত্রী’। এসব অস্থায়ী স্ত্রী
স্বল্প সময়ের জন্য সঙ্গ দেয় তার অস্থায়ী স্বামীকে। অনেক ক্ষেত্রে দশদিন স্থায়ী এ সব বিয়ের ক্ষেত্রে একজন ‘স্ত্রী’র দর দেহের গড়ন ও চেহারা ভেদে উঠে যেতে পারে ১৫ হাজার থেকে এক লাখ রুপি পর্যন্ত।

বিয়ে বা নিকাহর আড়ালে আসলে পণ্যের মতই ওই নারীরা হাতবদল হচ্ছে ধনী আরবদের হাতে। আর এই সুযোগে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারতে নিয়মিত যাওয়া আসা করছে অনেক পয়সাওয়ালা আরব।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জেনেশুনে অনেকটা পেশাদারি ভাবেই অনেক নারী পেট্রো ডলারের লোভে এ ব্যবসায় নিজেকে বিকিয়ে দিচ্ছে স্বেচ্ছায়।

দালালদের নেটওয়ার্ক
ভারতজুড়েই ছড়িয়ে আছে এই দালালদের নেটওয়ার্ক। তাই ভারতের ঝা চকচকে কসমোপলিটান শহরগুলোতে এ ব্যবসার যোগান -এর অভাব হয় না কখনই।

নারীদেহের সহজলভ্যতা ও দালালদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের কেরামতিতে তাই এখন মুম্বাইসহ ভারতের কসমোপলিটান শহরগুলো পরিণত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী আরবদের কথিত ‘রতি-স্বর্গ’ (‘সেক্স হ্যাভেন’) হিসেবে।

পুরো প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন একজন কাজী। ওই কাজীই এসব বিয়ে ও তালাকের পুরো বিষয়টি সম্পাদন করেন।

প্রত্যেকটি বিয়ে ও ডিভোর্সের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের জন্য কাজীরা পাচ্ছেন চুক্তির ৫০ শতাংশ অর্থ। ২৫ শতাংশ অর্থ পাচ্ছে দালাল। এছাড়া সাব এজেন্ট, ব্যবসায় জড়িত ট্যাক্সি ক্যাব ড্রাইভাররাও ক্ষেত্র বিশেষে পাচ্ছে ৫০০ থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত। ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে বাংলানিউজ এসব তথ্য পেয়েছে।


কাজীদের ভূমিকা
ভারতে স্বল্প অবস্থানকালে ওইসব ধনী আরব এসব কথিত স্ত্রীদের নিয়ে প্রমোদে সময় কাটায়। ছুটি শেষ হলেই তালাকের নামে ওই সব মেয়েকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে নিজ নিজ দেশে ফেরত যায় তারা।

পরের ট্রিপে ভারত এসে নতুন স্ত্রীর খোঁজে আবার ছোটেন নির্দিষ্ট ওইসব কাজী অফিসগুলোতে। আর মেয়েগুলোও অপেক্ষায় থাকে তার পরবর্তী স্বামীর জন্য। এমনকি অনেক ইন্দ্রিয়কাতর বৃদ্ধ আরব কোনো কোনো সফরে এক সঙ্গে এ রকম দু’টি বিয়েও করছেন।

চক্রে জড়িত কাজীরা বিয়ে ও তালাকের নামে তাদের অপকর্মে একটি আলগা বৈধতার মোড়ক পরাতে চাইলেও পুরো প্রক্রিয়াটি কিন্তু আসলে ইসলামী শরিয়ার নিকাহ ও তালাকের আইনের ঢালাও লঙ্ঘন। শরিয়া আইন অনুযায়ী স্বামীর কাছে তালাক না পাওয়া পর্যন্ত একজন নারী কখনই আরেকটি বিয়ে করতে পারবে না। পাশাপাশি তালাক হয়ে গেলেও পরবর্তী বিয়ের আগে অন্তত তিন মাস ১৩ দিনের বিরতি নেওয়া তার জন্য বাধ্যতামূলক, শরিয়তে যাকে অভিহিত করা হয় ইদ্দতকাল হিসেবে।

শিকার কারা?
ভারত, যেখানে বেশিরভাগ মানুষ বাস করে দারিদ্র্যসীমার নিচে, সেখানে এ ধরণের শিকার খুবই সহজলভ্য। দেশটিতে একদিকে যেমন নিদারুণ দারিদ্র, অপর দিকে চারিদিকে ভোগবাদের চরম আতিশয্য, আর্থ সামাজিক এই পরিস্থিতি তাই খুব সহজেই প্রলুব্ধ করে সেসব সুবিধা বঞ্চিত মেয়েদের, যারা একটু উন্নত জীবনের স্বাদ পেতে খোয়াতে রাজী হয় তাদের সর্বস্ব।

ফাঁদে পড়ে অনেকেই এ চক্রের সঙ্গে জড়িত হলেও, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীরা আর্থিক প্রলোভন কিংবা উন্নত জীবন যাপনের প্রত্যাশায় স্বেচ্ছায় জড়িয়ে পড়ে এ ঘৃণ্য চক্রে। এমনকি অস্থায়ী ‘স্ত্রী’ নামধারী পতিতারা কখনো নিজেরাই নেমে পড়ে দালালিতে, নতুন নতুন মেয়ের খোঁজে তারা ছড়িয়ে পড়ে ভারতের নগর ও গ্রামগুলোতে।

কারণ কাঁচা টাকার এ ব্যবসা সচল রাখতে তাদের প্রয়োজন কাঁচা পণ্য---- যার নাম ‘নারীদেহ’।
বাংলানিউজ২৪.কম থেকে নেয়া ।।

পরিশেষে আমি বলবো , দিন দিন দুনিয়া থেকে মানুষ নামের জীবগুলা কেনো যে পশুর মত আচরন করতাছে বুজতে পারতাছি না ।!!!!!!!!!!
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×