বাংলানিউজ২৪।কম থেকে নেয়া। জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের ওপর হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কবস্থায় থাকতে পুলিশ সদর দফতর থেকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশের সকল বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পুলিশের ঊধর্বতন কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিশেষ করে রাজধানীতে জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভের পাশাপাশি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে এক প্রকার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বলা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে শিবিরের তাণ্ডবের মোকাবেলা করতে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ছাত্রলীগের পাল্টা কর্মসূচি। এদিকে এই কর্মসূচিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক প্রকার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধ বিচার বন্ধ, ট্রাইবুন্যাল ভেঙ্গে দেওয়া, আটক শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে জামায়াত বুধবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এর আগে সোমবার জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবির রাজধানীসহ সারাদেশে তাণ্ডব চালায়। বিশেষ করে পুলিশের ওপর চড়াও হয় তারা।
পাশাপাশি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনার পর জামায়াতের এই কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
জামায়াত-শিবির মোকাবেলায় পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। দেশের ৭ বিভাগীয় শহর ছাড়াও স্পর্শকাতর কিছু জেলাতে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের মহা-পরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, জামায়াত -শিবির ফৌজদারী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নাশকতা বা ধ্বংসাত্মক কোনো কর্মকাণ্ড করলে পুলিশ তা কঠোর হস্তে দমন করবে। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলাকারীদের প্রতিহত করতে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীতে জামায়াত-শিবিরের কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, রাজধানীতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রাজধানীর মতিঝিল, দৈনিক বাংলা মোড়, পল্টন, হাইকোর্ট মোড়, মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, ফার্মগেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, মিরপুর এবং যাত্রবাড়ি এলাকায় পুলিশের বাড়তি নজরদারী থাকবে।
পুলিশের পাশাপাশি ৠাব, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের বাড়তি টহলও থাকবে।
এদিকে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের প্রতিবাদে রাজধানীর গুলিস্থানে বড় ধরনের শো-ডাউন করবে ছাত্রলীগ। ধারনা করা হচ্ছে জামায়াতের কর্মসূচি প্রতিহত করতে ছাত্রলীগ মাঠে থাকবে।
অন্যদিকে জামায়াতের কর্মসূচি হলেই ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ধারাবাহিক ঘটনা ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এক প্রকার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বুধবারের এ সকল কর্মসূচিকে ঘিরেও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে।