তোমাকে আজ দারুণ লাগছে। আবারও তোমায় প্রপোজ করতে ইচ্ছে করছে।
তাই নাকি? সূর্য আজ কোনদিকে উঠেছে? মুখ টিপে হেসে বলে শশী।
ঢের হয়েছে বলাবলি। নাও। এখন নুডলস খাও তো।
কাঁটা চামচে শশী আমায় তুলে তুলে নুডলস খাওয়ায়। একদিন বলেছিলাম তাঁকে যে আমার নুডলস অনেক পছন্দের। সেই থেকে শুরু। এরপর হাজার ব্যস্ততার মাঝেও আমার জন্য নুডলস রান্না করতে ভুলে না সে। আর তার হাতের নুডলস খেতে খেতে এমন অভ্যাস আমার হয়ে গেছে যে ওর হাতের নুডলস ছাড়া আর কোনো নুডলস ই আমার ভালো লাগে না। সত্যি বলতে কী আমার মনে হয় ওই পৃথিবীর সবচেয়ে চমৎকার নুডলস রান্না করতে পারে।
ঝাল ঠিক আছে তো? প্রতিদিনকার অভ্যাসমতো এ কথা ওর বলা চাই ই চাই। আমি অবশ্য একটু ঝাল বেশি খাই কী না। ও ঠিক বিপরীত। ঝাল মোটেও সহ্য করতে পারে না। আমি বলি হ্যাঁ ঝাল ঠিক আছে। ওর মুখে স্বস্তির ছাপ পড়ে। ঝাল না হলে ওর কাছে পৃথিবীটা নাকি অর্থশূন্য মনে হয়।
আর তাই মাঝে মাঝে এত ঝাল দেয় , খেলে আমার যেন জিহ্বা পুড়ে যায়। আর সেদিনই মনে হয় ও সবথেকে খুশি হয়।
ইয়েস, আমি পেরেছি তোমাকে ঝাল লাগাতে। ইয়েস। আহা কী উচ্ছল হাসি। ও হাসির জন্য আমার জিহ্বা বারবার পোড়াতেও এক পায়ে খাড়া আমি।
এই খাওয়ার সময়টুকুতেই কত যে রোমান্টিক কথা বলা হয়ে যায়। তোমার দুলটা আজ চমৎকার লাগছে। ও চোখে আর কাজল পরো না। নজর লাগবে। ওই নাক বোঁচা, বেশি কথা না বলে খা তো। খেয়ে আমায় উদ্ধার কর।
ছোট ছোট অনেক স্মৃতিই মাঝে মাঝে ভীষণ মিস করি। ইদানিং তোমার হাতের নুডলস ও অনেক মিস করি আমি। আর মিস করি তোমার সেই খুশি ভরা মুখ। প্রতিটা ইয়েস বলার সাথে সাথে আমিও যে অনেক খুশি হই। তোমার ওই হাসিভরা মুখটা যে ভীষণ মিস করি।
অপেক্ষার প্রহর গুনছি, আবার সেই মোহময় সময়ের জন্য।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




