সেই শ্বেত শুভ্র মেঘের দেশে পরীর সাথে চলেছি স্বপ্নের মধ্য দিয়ে।ক্রমাগত একটা স্বপ্নকে পেছনে ফেলে আরও নতুন স্বপ্ন। আরও কত বিচিত্র অনুভূতি;আরও কত বিচিত্র স্বপ্ন!
মোহতা ভেঙ্গে গেলো। বাস্তবতার স্পর্শ পেলাম। প্রতিদিনের কর্মময় ব্যস্ত জীবনের জন্য প্রস্তুত হই। দিনের প্রথম প্রহর কেটে যায় প্রথম ব্যস্ততায়। দ্বিতীয় প্রহর কাটে প্রখর উত্তপ্ততায়। কপাল বেয়ে ঘাম ঝরে। বিকেল কেটে যায় কিছুটা উদাসীন আড্ডায় আবার কিছুটা ঢিলে বাস্তবতায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। আস্তে আস্তে সব ব্যস্ততা ফুরাতে শুরু করে এবং এক সময় ফুরিয়ে যায়। রাত গভীর হবার আগেই নীড়ে ফিরে আসি। যেখানে ঘুমের ভেতর নিশ্চিন্তে স্বপ্ন দেখা যায়। জটিল স্বপ্ন,পুরনো স্বপ্ন,নতুন স্বপ্ন। ঘুমের ভেতর স্বপ্নের জটিলতা ভেদ করে আরও নতুন স্বপ্ন দেখি। একটা নতুন স্বপ্ন এবং রঙ্গীন স্বপ্ন। জাফরান রঙের স্বপ্ন!
ধূসর মেঘের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে এক নতুন রূপালী চাঁদ। হঠাৎ নিজেকে চাঁদের করোটির ভেতর আবিষ্কার করি; যেখানে নিজের অজান্তেই হাঁটা শুরু করেছি। আমার হাত জোৎস্নার আঁচল আর পা মাটির প্রান্ত ছোঁয়।জায়গাটা কেমন পাথুরে। একটা ছোট্ট টিলার ওপর দুপাশে হাত বাড়িয়ে দাঁড়ালাম। অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করছি। আকাশের তারাগুলো মেঘের ভেতর লুকিয়ে যায়। আবার হাঁটা শুরু করি!আজব!! কিসের আকর্ষনে যেন পা দুটো চলছে, নিজের অনিচ্ছা স্বত্বেও।
সামনে চেয়ে দেখি জোনাকীরা বসে আছে পথের ধারে আর প্রজাপতিরা মেলে ধরেছে তাদের রঙ্গীন ডানা, অদ্ভূত চাঁদের দেশে তারা আমাকে সংবর্ধনা দিচ্ছে! পাখিরা তাদের কন্ঠে তুলেছে সুর। এখানে পাখিও আছে! আমার প্রচন্ড ইচ্ছে হল ওদের সাথে কথা বলার, যে কথাগুলো আমার মনের ভেতর কাফনে মোড়া অবিকৃত হয়ে জমে আছে।
চিন্তার সিঁড়ি একটু একটু করে ভাঙতে শুরু করছে। স্বপ্ন দেখছি। অদ্ভুত সুন্দর স্বপ্ন। বুকের ভেতর হৃদপিন্ড টিক টিক করে বাজছে। যেন নিজের ভেতরের শূণ্যতাকে স্বর্গীয় সংকেতে সাজাতে চাচ্ছে, শতাব্দীর নিগূঢ় নিস্তব্ধতা শ্বেতজবার শুভ্রতায় ধরা দিতে চাচ্ছে।
রাত না যাওয়া ভোরে, আলো-আঁধারিতে, খোলা আকাশের নিচে, কুয়াশার চাদর জড়ানো ঝিরঝিরে বাতাসে-রাঙা রোদে, মেঘে-আকাশের শ্যামল চোখের ছায়ার পরে শূণ্যতা ভাসে..
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



