প্রচলিত ধর্ম সম্পর্কেঃ-
আজ দেখ চারপাশে ধোঁয়াশার আবহ। নিঃশ্বাস নেবারও কোন অবকাশ নেই, বিষাক্ত বাতাস। পরিবেশের চাঁপা আর্তনাদ। অলিতে গলিতে ধর্ম নিয়ে বেশ্যাবৃত্তি চলছে। শিশুরা কী শিখবে? আমি বেশ্যার দালাল নই; আর তাই এ সব ধর্মকেও আমার প্রয়োজন নেই।
প্রচলিত কাব্যচর্চা সম্পর্কেঃ-
সবাই একই পথে চলছে। হুজুগে মাতাল বাঙ্গালীরা অন্ধের মত একটা দিকেই যাচ্ছে। গদ্য কবিতার দরকার আছে- কবিতার ভাব বজায় রাখবার জন্য। কিন্তু এখনকার কবিরা কবিতা নিয়ে ব্যবসায় নেমেছেন। এই অপটু পেশাদার বুদ্ধিজীবিরা কবিতার বিষয়বস্তু, থিম(মূলভাব), প্রকাশভঙ্গি ওলট-পালট করে ফেলছেন। তারা না লিখছেন কবিতা, না লিখছেন গদ্য। কবিতাকে গদ্যের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করা সম্ভব। কিন্তু আধুনিক কবিরা! তারা করছেন কবিতার ঘন্ট, বানাচ্ছেন গদ্য-পদ্যের খিঁচুড়ি। দিনে দিনে শ্রী-হীন হচ্ছে কবিতা গুলো। কিন্তু আর কত দিন? এখনো কাব্যের মৃত্যু হয় নি। বোধ হয় সিলিফিসে ভুগছে এখন কবিতাগুলো, আশা এই যে এইচ.আই.ভি তে আক্রান্ত হয় নি। কিন্তু পাশ্চাত্য আধুনিকতার গণধর্ষনে ক্ষত-বিক্ষত বাংলা কবিতাকে কেন মরবার আগেই শ্বশানে তুলে দিয়ে আসছেন? বোধ হয় কোন নতুন কুমারীর স্বাদ পেয়েছেন? আপনারা (আধুনিক কবিরা) পোকামাকড়ের মত সুখের আশায় আগুনের দিকে ছুটে চলছেন আর আমরা দিবাকরের মত নিজেদেরকে জ্বালিয়ে বিশ্বকে আলোকিত করার চেষ্টা করছি। আপনারা বিভেদের দেয়াল তুলেন আর আমরা ভাঙ্গি, আপনারা চারদেয়ালের মাঝে মুখ লুকিয়ে, নয়তো নিজ নিজ সঙ্গীর বাহুডোরে শুয়ে শুয়ে সাহিত্যের পোঁদ মেরে বেড়ান, আর আমরা কাব্যাস্ত্র নিয়ে আজকালকার বুদ্ধিজীবিদের সাথে- সেকালের গোঁড়ামির সাথে লড়ি। আমাদের কবিতার স্ফুলিঙ্গ হতে প্রতিবাদের দাবানল জ্বলে আর বিশ্ব নবজাগরণের উতসবে শামিল হয়। কোন কৈফিয়ত নয়, নিজেদের ব্যাপারে শুধু এটুকুই বলার আছে-আপনাদের হোগা মারার সময় আমার বা আমাদের নেই- “নিশ্চয়ই তেজষ্ক্রীয় ইউরেনিয়াম, মোমবাতির কাছে ঋনী নয়”।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




