somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাদা চামড়াদের সন্দেহ দূর হবে কবে?/:)

১১ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজ মাঠে বাংলাদেশ যা দেখালো, এমনটা আমি কখনই দেখি নি। একেবারে বলে কয়ে টুটি চিপে ধরল নিউজিল্যন্ডের। খেলার ফলাফল শেষ পর্যন্ত যাই হোক বাংলাদেশ দল যেভাবে বোলিং আর ফিল্ডিং দিয়ে নিউজিল্যন্ডকে নাকানি চুবানি দিল এটা অনেক দিন মনে থাকবে। কোন ধরনে দুর্ঘটনা না ঘটলে বাংলাদেশের ব্যটসম্যনদের উচিৎ ম্যাচ বের করে আনা। ইনশাল্লাহ এটা তারা পারবেও!:D

এখন খেলার লান্চ ব্রেক। এই সুযোগে সবাইকে একটা ব্যপার বলে ফেলি।

খেলা তখন ৩৮ ওভারে। বিরতীহীন ভাবে খেলা দেখতে পারছিলাম না। কিন্তু ওই ওভারের শুরুটা দেখলাম, সাকিব বল করতে আসছে। ৩৪ ওভারেই নতুন বল দেয়া হয়েছে। ৩৬ ওভারে পাওয়ার প্লের সুবিধা নিয়ে নিউজিল্যন্ড কিছুটা চড়াও হয়েছে। যেহেতু প্রায় নতুন বল, সাকিব বলটা নিয়ে আম্পায়ারকে দিল অবান্ছিত সুতা ঠিকঠাক করে দেয়ার জন্য। এটা বৈধ একটা আবেদন এবং আম্পায়ার যথারীতি তা করেও দিচ্ছিল। কিন্তু নন-স্ট্রাইকিং এ থাকা কাইল মিলস এর সহ্য হল না। তিনি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেন ওই “স্থানীয়” আম্পায়ারকে। যাই হোক সাকিব ব্যপারটা গা না করে বল নিয়ে চলে গেল বোলিং মার্কে। যাওয়ার আগে নিজের রুমাল দিয়ে বলটা ঘষে নিল। এবার আর যায় কোথা? তেড়ে আসল মিলস। বলটা দেখতে চাইল। সাকিবের হাত থেকে প্রায় কেড়েই নিল! এরপর চেয়ে নিল রুমাল। খুটিয়ে দেখল সন্দেহজনক কিছু আছে কিনা। যদি কোন যাদু পাওয়া যায়?!? ভাবটা এমন, টেমপারিং ছাড়া সাকিব ভাল বল করতে পারবে না! সাকিব ভদ্রলোকের মতই খুব বিব্রত হাসি দিল। আর ভদ্রলোক বলে খ্যত নিউজিল্যন্ডের এই আচরণ আমার মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল।:|

উপমহাদেশের বাইরে ব্লু ব্লাডরা সবসময় ধরেই নেই যে তারা যেই বল গুলো খেলতে পারবে না নিশ্চয়ই সেখানে কোন কারিগরি আছে! রিভার্স সুইং পাকিস্তান করলে হয় অবৈধ আর ইংল্যন্ড করলে হয় অসাধারন কিছু একটা। মুত্তিয়া মুরলিধরনকে নিয়ে ত রীতিমত রাজনীতি শুরু হয়েছিল! ওদের উইকেটে না খেলতে পারলে হয় ফাস্ট বোলিং খেলার দুর্বলতা আর উপমহাদেশে এসে ওরা যখন স্পিনে নাস্তানাবুদ হয়, তখন দোষটা পরে উপমহাদেশের স্লো উইকেটের উপর! প্রায়ই শোনা যায় উপমহাদেশের উইকেট গুলো সব ফাস্ট করে ফেলা হোক এই দাবী। নিউজিল্যন্ডে গেলে তারা বাংলাদেশকে কখনই সেন্টার উইকেটে প্র্যকটিস করতে দেয় না (সেটাই নিয়ম) বরং দুর্ব্যবহার করে। আর বাংলাদেশে এসে তারা সুন্দর সেই দাবী করে বসে আর আমাদের নতজানু বোর্ডের কল্যানে সেটা তারা পূরন করে ছাড়ে।X(

সাদা চামড়াদের এই ‘GAZE’ থেকে আমরা কবে মুক্তি পাব? তাদের সন্দেহ কবে দূর হবে?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৪
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×