somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আলহামদুল্লিলাহ ! প্রথম চাকুরি !! প্রথম নতুন আনন্দ !! প্রথম শিহরণ !!

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ব্লগে এলাম এক বছর পর !
কিভাবে যে শুরু করি বুঝতে পারি না। এক বছর আগে প্রতিদিন ব্লগে না আসলে মনে হত কি যেন নেই... প্রথম প্রথম ব্লগে আসতাম নিউজ পড়তে , একসময় মনে হল একটা account খুলি ... তারপর মনে হল এত মজার মজার মানুষ আছে এখানে তাদের লেখাগুলোও এত মজার যে কমেন্ট না করে থাকা যায় না , তাই কমেন্ট করা ও শুরু করলাম। এক এক জনের কমেন্ট আর বিতর্ক দেখে অনেক অজানা তথ্য বুঝতে শুরু করলাম। মাস্টার্স পরীক্ষার রেজাল্ট দিল। মোটামুটি ভাল করলাম। এরপর মনে হল খালি tuition করা আর ব্লগে বসে থাকলে ত চলে না, এবার ত কিছু একটা করা দরকার । বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরির জন্যে apply করতে লাগলাম । প্রায় ৬ মাস চেষ্টার পর গত বছর জুন মাসে জীবনের প্রথম চাকুরিতে জয়েন করলাম ।

এবছর জুন মাসে আমার চাকুরির একবছর পূর্ণ হল। গত বছর জুনে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের Lecturer হিসেবে join করি । এখন আমি English Department এর Lecturer plus Coordinator হিসেবে ও কাজ করছি। প্রথম দিন থেকেই বুঝতে চেষ্টা করি professional life কি এবং মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি। কিছু পেতে গেলে নাকি কিছু ইচ্ছা/ শখ ছেড়ে দিতে হয়। English Dept. এর লেকচারার হিসেবে জয়েন করার পর থেকেই বুঝতে পারি একজন শিক্ষক কে কত রকম কষ্ট / ঝামেলা সহ্য করতে হয়। প্রথম কয়েক মাস এত busy থাকতে হল যে ব্লগ এ লেখা ত দূরে থাক ব্লগ পড়ারই সময় পেলাম না। এখন pressure manage করা কিছুটা তো শিখে গেছি ।

এত দিন পর ব্লগে এসে একটা কথা অনেক বলতে ইচ্ছা করছে,
I missed you !

আচ্ছা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি পড়ানোর কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে কেমন হয়? আমি সবসময় মনে করি, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের পড়ার জন্য প্রথম যা দরকার তা হল MOTIVATION. ছাত্রছাত্রীদের বই খাতা , গাইড , internet source help সব কিছুই থাকে কিন্তু তারপরও সবাই কেমন যেন হতাশ । জীবনে কোন লক্ষ্য নেই, ধৈর্য নেই, সারাক্ষণ কেবল পরচর্চা করা বা ফেসবুকে পড়ে থাকা । আমি আমার প্রথম ক্লাসেই student দের motivate করার চেষ্টা করি। কেউ বোঝে , কেউ বুঝতে চায় না। প্রকৃতপক্ষে ইংরেজি যে কত সহজ একটা ভাষা এটা কেউই বিশ্বাস করতে চায় না । ত প্রথম ক্লাস থেকেই সবার ইংরেজি speaking করা বাধ্যতামূলক করে দেই। যে যতটুকুই পাড়ুক ইংরেজিতে কথা বলতে চেষ্টা করুক । মাঝে মাঝে অনেকে বলে/ অভিযোগ করে, স্যার, আমি ইংরেজিতে কথা বললে আমার বন্ধুরা হাসে, বিদ্রুপ করে। আমি তার কষ্ট মুছে দিতে “ইংরেজি ভাষা” নিয়ে কৌতুক বলতে চেষ্টা করি। মজা করে বলি, এখন যারা তোমাকে নিয়ে fun করছে একসময় তুমি যখন কোন ভাল চাকুরি বা business করবে, smartly English এ কথা বলবে, তখন তারা মনে মনে নিজেকেই ধিক্কার জানাবে। একটা কথা মনে রাখবে, বিজয়ী মানুষদেরকেই লোকেরা হিংসা করে আবার হিংসা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলে ভালবাসতে শুরু করে আর সেই ভালবাসা হয় কঠিন ভালবাসা ।

মাঝে মাঝে আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই নিজের কথায়, এভাবে ত আগে - মানে ছাত্রাবস্থায় কথা বলতে পারতাম না এখন কিভাবে বলে ফেলি! আমি student অবস্থায় যতটুকু শিখতে পেরেছি এখন Teacher হয়ে আরও বেশি শিখছি। মনে মনে সৃষ্টিকর্তা কে ধন্যবাদ জানাই যে, তিনি আমাকে কিছু শেখার এবং শেখানোর সামর্থ্য দিয়েছেন সে জন্য।

অতীতে, ব্লগে এসে অনেক ফান করার চেষ্টা করতাম আর মাঝে মাঝে অনেকে গালাগালি করে আমাকে ফান করার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিত!!
ওকে ! অনেকক্ষণ কথা বললাম ।

ওহ ! আরেকটা কথা, কেউ জিজ্ঞেস করবেন না, কোন university তে পড়াই, এখন বলব না। আগে এ পৃথিবীর যোগ্য হয়ে নেই।


১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×