বর্তমান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে জঙ্গি সন্ত্রাস সম্পূর্ণ নিমর্ূল হবে না। কেননা জামাতের প্রতিটি কমর্ীই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং শায়খের দেওয়া তথ্যে 5 লাখ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। সালেহীকে ধরলে জঙ্গি হামলার জামাত-শিবিরের হুমকি আরো বদ্ধমূল হতে সহজতর করেছে যে জামাতীরা সত্যিই জঙ্গি।
পুলিশকে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে এবং মেয়রকে ভয় দেখিয়েছে শিবির নেতারা। এতো সাহস ও জনবল কোনোটাই ওদের নেই, আছে শুধু অস্ত্রের প্রশিক্ষণ। সমপ্রতি বাংলাদেশে 12 জন আওয়ামী জনপ্রিয় নেতা ও অগণিত কমর্ী হত্যার নগ্নতা দেশকে, আওয়ামী লীগকে দুর্বিপাক ফেলানোরই রূটিন ওয়ার্কের ফলশ্রূতি। বিএনপির ডানায় ভর করে ড. তাহেরকে হত্যা করে ওরা স্পষ্ট করেছে ওদের মতানুসারী ছাড়া সবাই তাদের টার্গেট। এ টার্গেটের সহায়ক শক্তিকে ক্ষমতালোভী বলে খ্যাত বিএনপিকে ক্ষমতায় থাকার ও আগামীতে ক্ষমতায় না যেতে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে। ওদের কর্মাদি নিজের স্বার্থেই পরিচালিত। কখনো ছাত্রদলের ওপর হামলা, বিএনপির নেতা হত্যা। এসব ওরা করছে ওদের শক্তিকে বড়ো করে দেখানোর জন্যই। যে এরশাদকে জামাত স্বৈরাচার বলেছে, সে এরশাদের প্রশংসাও করছে। '91 এ জামাত বিএনপিকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে লিখেছে। আবার ক্ষমতায় যাওয়ার পর আওয়ামী শাসনকে দুঃশাসন ও বিএনপির ক্ষমতাকে ইসলাম রক্ষার অলৌকিক শক্তি বলে গোলাম আযম প্রশংসা রচনায় পঞ্চমুখ হয়ে খালেদাকে স'তিগাথা শুনাচ্ছে মুহূর্তে মুহূর্তে। লেজুরবৃত্তিই ওদের আজন্মের ধর্ম। তা কখনো ব্রিটিশদের, কখনো পাকিস্থানিদের, এমনকি বিধমর্ী সংগঠন কংগ্রেসেরও করেছে। তবুও তারা মুসলমানের কোনো দলের প্রশংসা করেছে এরূপ কোনোই নজির নেই। না তাবলিগ জামাত, না হজপালনব্রত মুসলমানদেরও। ওদের ক্ষমতায়নের হজব্রতে রত মুসলমানরা নির্মমতা ও মৃতু্যর সম্মুখীন হয়েছে। ওদের সংগঠন হ্যাব দরকষাকষি করে কেন পবিত্র হজ পালনকে বাধার সম্মুখীন করেছে? তা ভাবতে হবে। দেখতে হবে হাজিদের টাকা নিয়ে উধাও মোয়াল্লেম এসব কারা? খোঁজ নিতে হবে হজের সময়ে ধর্ম রক্ষার দাবিদার জামাতীদের দুএকজন হজ পালন করতে যায় কি না? অবশ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে হজ পালনকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখতে হবে। কেননা রাষ্ট্রীয়ভাবে পূজা পার্বণেও ওরা যায়।
অস্ত্র প্রশিক্ষণ থাকা বা আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ থাকাটা কেন জামাতদের বাধ্যতামূলক? স্বাধীন দেশে শঙ্কামুক্ত জামাত কেন এ বলে প্রশিক্ষণ দেয় যে এ দেশকে রক্ষা করতে হবে। তালেবানদের অজুহাতে যেহেতু আফগানিস্থানে এখন ক্রীড়নক কাইজার সরকার। অস্ত্রবাজ আর মিথ্যাবাদী, ফেতনাবাজ জামাতকে অনেকেই বলেছে ভূত হয়ে বিএনপির কাঁধে উঠেছে। এখন জঙ্গি শীর্ষ নেতা পাতি নেতা সকলের কথায় মনে হয় শুধু বিএনপির কাঁধে নয়, জামাতীরা জঙ্গির আদলে পুরো রাষ্ট্র দেহেই ভূত হয়ে ভর করেছে। তা না হলে জঙ্গি কানেকশনের চূড়ান্ত পর্যায়ে জঙ্গি বিষয়ে ফাওটা ধুয়ে মুছে জামাত সাংবাদিকদের ওপর তেড়ে উঠে কেন বলছে, জামাতের জঙ্গি কানেকশন আবিষকৃত হলেও কিছুই ক্ষতি হবে না, শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যার ও কথা শিল্পী হাসান আজিজুল হককে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



