মা-
পতঙ্গের মতো কী যেন ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে দেখ আকাশের জলপাই রঙা মেঘ গুলোকে,
ঘরের সামনে দেখ নিহতের সোপান, হাত দিয়ে দেখ- মেঝেতে রক্ত লেগে আছে।
মা-
বাতি নেভাতেই এ কোন লাশের মিছিল হেঁটে যায় আমাদের পাড়াতে?
জানো, কফিন কোম্পানির লোকগুলো গতকাল কেড়ে নিয়েছে চিলতে মাঠটুকু?-
সেখানে বসিয়েছে একটা বড়সড় জানলাবিহীন কল-ঘর আর-
সারাদিন-রাত রোটরের শব্দ ভেসে আসছে থেমে থেমে আমাদের কানে,
আমরা আছড়ে পড়ছি কুহেলী আলোতে- একা আর যৌথতায়-
অথচ, সাড়া দিচ্ছেনা কেউ আর অচেনা আঙুলের উস্কানিতে।
মা-
সংখ্যা তারার রাতে, সাত-বনে বেগুনী আলোর দেখা পাওয়া যায় না এখন আর,
ভেতরে ঢেলে দিয়েছে কেউ বাদামী জলের ছিটে বিন্দু- খুব গোপনে।
বিন্দুর মত প্রবল আক্রোশে, মা- আমাদের হয়তো আর সমুদ্র হওয়া হবে না,
প্রার্থিত পংক্তির যায়গাটুকু মাপবে বিস্মরণ, আর অশ্রু-খনিতে পাওয়া
শ্যওলার কুটো নিয়ে- আমরা বসবো’না আর আগের মতো হাহাকার ও ক্ষুধায়।
এখন থেকে-
আমাদের বাঁচিয়ে দেবে জল-
আমাদের বাঁচিয়ে রাখবে জল-
আমরা রাঙ্গিয়ে নেবো জল’কে।