১
চিনেছে কী ব্রজের রাখাল- পিপাসায় পিপে,
বাঁশিতে তো-জল নেই- একা ভাসে কর্ণফুলীরা,
আমাকে সে ছেলে ভেবে ডুকরিয়ে কাঁদে-
আমি জানি কেউ ভালো আছে- ঠিক তারাটির উঠানে উঠানে।
আমাকে খুঁজছো যদি- এই ভাবে বেশ-বেসে-
তবু হায় কে ফেরায় ফেরারি পাখিরে, ঐ কল-
ইঁদুরের আবর্তে হায়- কে যে তাকে চেনে-
কাকে খুঁজে তুমি শুধু হয়রান হলে বলো-
দংশনে- নীল তবু নীল গিলে- তোমাকেও নীলকন্ঠী অভ্যর্থনা,
বিদ্যাপতি শুধু দেখে গেছে- মন্ত্রণা- সে ময়ুরীর,
হালাকুর মনে রোখ- যাই হোক- এ-আজব জংলা সিনেমা!
আমাকে শুইয়ে রেখে শুয়ে আছে চারপাশে আমারই ছায়ারা-
আমার পাঁজর থেকে- পেয়ালায় তাদের চুমুক,
সেই শ্বেত-কপোত, তার কপোতাক্ষ নিয়ে- একাই লড়েছে জানি।
সুধাংশু হেসেছে সেদিন- শুধা নেই তাই, তুমি ওকে কঁদিয়োনা আর-
ধুসরের হাত ছুঁয়ে জ্বলে ওঠে যদি দীতির-আলপনা- আর একবার
আমি জানি- শ’হরের ঘোরে ঐ আধা-চাঁদ একা সইবেনা
ভাসিলিসা জানে- শুক’দাদাটির কান আজ খরগোসের কান-
মলে দিলে লাল হবে- ছেঁটে দিলে গজাবে আবার।
২
কে চিনাইলো বঙ্গের-রঙ্গ বাখান,
কাউয়ারে খুঁইজা যায় ডিম-পাড়া টহল কোকিল-
ও কোকিল কও দেখি ঠিক চেনো তারে।
৩
গাধার পানি'ত ঘোলা- আরো ঘোল খায় নিন্দুক।
হক-কথা হক্কলেই কবুল-কবুল, আর বাকি কাবুলি-ওয়ালা,
দাঁড়িরে চিইনারাখো লাল-নীল সব দাড়িওয়ালা।