অপ্রমেয় ঘণ্টি-ফুল ,সেবার পৌষের কথা ভেবে-কিছু মৃত সজীবতা
পৌরুষে আক্রান্ত সেই-সেই সারমেয় ছানাদের এঁকে রেখে গেছে।
জানিসতো, গৃদ্ধকুটে নতজানু- আজো গায় ভোরের পাখীরা একসাথে-
রূমালী বদল হলে- বুড়োরাও কিছু-কিছু উদয়ন-কথাবিদ হয়ে যান।
একচোট হেঁসে উঠে কে-যে কাকে খুন করে বারবার তাই ভেবে গেছি।
ছায়াটি শ্বাপদ দেখে হেঁচকিতে হেঁসে ওঠে প্রায় প্রতি-রাতে,
যে-জানে সে-জেনে গেছে, এই ছিল শব্দের জলজ শরীর,
মৃত সব জোনাকির সাথে থাকে হলুদের হিংস্র অসুখ,
যে শীরায় তির-তির, তার গায়ে বাসা বেঁধেছিল এক মাছি,
ষষ্ঠ আকাশে এসে এই বেলা শোনালো সে সেফিরদ গাথা।
দিনমান-কানামাছি, ভুলে গেছে হায় তার আরেক যমজ।
সোডিয়ামে রাত নামে, সোডিয়াম ঠিক যেন অসুস্থ চাঁদ,
প্রদোষে-প্রদোষ দেখে হেঁসে-খুন, ভেসে যায় সব্যসাচীরা,
একদেহে নয় বাহে, দশ দেহে সে-দারুণ নিদারুণ বাঁচা।
আঠারো-মোকাম থেকে ফিরে এসে- ফিরে গেলে পাখি-
সংখ্যাবিদেরা যত একা বাজে, শঙ্খ’ই গেয়ে গেছে রাতে,
ও নদীকে দেখে চেনে, জানি ও চেনায় খুব ওর মত করে-
তাও বৃথা বলে ফেলা যদিও সরল- এ বড়ো স্থাপত্য নয় কিছু,
জলঝিরি নদী নয়, প্রায় যেন ঘুম-ঘুম লোকোত্তর ভাষার শরীর-
এর বেশি নদী নাই- নারী নাই, অপ্রতর গোলোকে-যে ফোটেনাই নীড়।