somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিমালয় কন্যার দেশে সাত রজনী। পর্ব এক ।। রেজা ঘটক

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিমালয়ের দেশ নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডু। কাঠমুন্ডু শহরটি পর্যটকদের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দের নামার পর আপনার শরীরে একটু একটু হীমেল বাতাস লাগবে। মার্চ-এপ্রিল-মে এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নেপাল ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এই চার মাস নেপালে প্রচণ্ড শীত। আর জুন-জুলাই-আগস্ট বর্ষাকাল। আমি আর মায়া গিয়েছিলাম এ বছরের এপ্রিল মাসে। কাঠমুন্ডুতে তখন খুব সুন্দর আবহাওয়া। রাতে হালকা শীত। দিনে সহনীয় গরম। একেবারে যাকে বলে নাতিশীতষ্ণ। হিমালয় কর্তার ইচ্ছেয় কাঠমুন্ডুর বৃষ্টির সঙ্গেও সাক্ষাৎ ঘটেছিল। আমরা উঠেছিলাম থামেলে। থামেল হল কাঠমুন্ডুতে পর্যটকদের রাজধানী। ছোট ছোট রাস্তা। আমাদের পুরান ঢাকার মতো। প্রচুর আবাসিক হোটেল। খাবার রেঁস্তোরা। আর আছে হাজার হাজার দোকান। কি চাই আপনার সব আছে সেই দোকানে।

ঢাকা থেকে রওনা হবার আগের দিন থেকে আমার ছিল ডিসেন্ট্রি। একঘণ্টা কুঁড়ি মিনিটের আকাশ পথ। সো, কোনো ব্যাপার না, এমনটি সাহস নিয়েই খাবার যতোটা সম্ভব এড়িয়ে কাঠমুন্ডুর ত্রিভূবন বিমানবন্দরে পৌঁছালাম বিকাল চারটায়। থামেলের যে মুস্তাং আবাসিক হোটেলে আমাদের বুকিং দেওয়া সেখান থেকে একটি মাইক্রোবাস আরো চারজন পর্যটক সহ আমাদের তুলে থামেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। পঁয়ত্রিশ মিনিটের পথ। বর্ষা শুরু হল। কিছু রাস্তায় ঢাকা মতো সংস্কার কাজ চলছে, বৃষ্টির কারণে ধূলা নেই। চোখে পড়ল নেপালী মেয়েরা ম্টর সাইকেল ড্রাইভ করছে ঢাকার ছেলেদের মতো। রাস্তায় কোনো যানজট নেই। রাস্তাঘাট খুব পরিষ্কার। রাস্তায় প্রচুর ট্যাক্সিও নজরে পড়ল। হিমালয়ের বৃষ্টি হুট করেই আবার নাই হয়ে গেল। মুস্তাং হোটেল গেটেই মায়া'র ভাই ডাক্তার ডেনিস লোহানী আমাদের স্বাগত জানালো। ডেনিস মায়ার চেয়ে ১২ বছরের ছোট। চীন থেকে ডাক্তারী পাস করে এখন নেপালের একটি সরকারি হাসপাতালে প্রাকটিস করছে। হোটেলে পৌঁছানোর পর আমার অবস্থা তথৈবচ। রিসিপশন রুমের সোফায় শরীর এলিয়ে দিলাম। মায়া'র কাছে ডেনিস শুনলো যে গত দুইদিন মিলিয়ে আমি অন্তঃত ২০ বার বাথরুমে গেছি। শরীরে প্রচণ্ড ডিহাইড্রেশান। ডেনিস ছুটলো আমার জন্যে ওষুধ আনতে। ডেনিস ফিরে আসলে আমরা তিন তলায় আমাদের রুমে গেলাম। ওষুধ খেয়েই দে ঘুম।

ঘুমের ঘোরে আমি কি কোনো স্বপ্ন দেখছিলাম? নাকি বারান্দায় মায়া আর ডেনিসের হাসাহাসির হল্লা মাঝে মাঝে আমার কানে ভেসে আসছিল? মায়া ওয়েটার ডেকে রাতের খাবারের অর্ডার দিল। ওরা ডিনার করল। আমি তখনো ঘুমাচ্ছিলাম। রাত তখন সাড়ে এগারোটা। ডেনিস বাসায় যাবার জন্য প্রস্তুত। মায়া আস্তে করে আমাকে ডাকলো। আমি ডেনিসকে বললাম, ইউ জাস্ট সেইভ মাই লাইফ, ব্রাদার। ডেনিস বললো, সকালে আবার আসবে। আমার আরো ঘুম দরকার। মায়া তখন ঘুমাবে। কিন্তু আমার তখন একটু একটু চাঙ্গা লাগছে। বারান্দায় বসে একটা সিখারেট টানলাম। আহা কাঠমুন্ডু'র আবহাওয়া সত্যিই শরীরের জন্য ভারী উপকারী। রাত দুইটা পর্যন্ত আমি রাতের কাঠমুন্ডু বারান্দায় বসে বসে উপভোগ করলাম। কোথাও কোনো শব্দ নেই। সেখানে এক ভারী মোহনীয় নির্জন পল্লী। চারদিকে সোডিয়াম বাতি। হোটেলের বারান্দা থেকে রাজার বাড়ির রয়্যাল প‌্যালেসের চূড়া দেখা যায়। আমি তখনো জানি না ওটা সেই ঐতিহাসিক রাজবাড়ি, নারায়নহিতি রয়্যাল প‌্যালেস। একটা ঘুম দেওয়া দরকার। শরীরে বেশী এনার্জি নেই। তাই বারান্দা ছেড়ে ঘুমোতে আসলাম।

খুব ভোরে ঘুম ভাঙলো। নতুন কোথাও গেলে আমার খুব ভোরে ঘুম ভাঙে। এবার ক্যামেরা নিয়ে বারান্দায় গিয়ে বসলাম। বারান্দাটা ঠিক পূর্বমুখী। সূর্যোদয় দেখার জন্য মোক্ষম জায়গা। হোটেলের দেওয়ালের ঠিক পূর্ব পাশে একটা বাড়ি। সেই বাড়ির ছাদে হাজার হাজার কবুতর। তারা দিনের শুরুতে ভারী আনন্দ গান গাইছিল। আর সেই বাড়িটার ঠিক উত্তর পূর্ব পাশেই সার্ক সেক্রেটারিয়েট। নেপালের প্রথম সূর্যোদয় আমি ক্যামেরাবন্দি করলাম। মায়া উঠলো আটটার দিকে। হোটেলের পাশেই গাইয়া রেস্তোরা ও কফি শপে আমরা নাস্তা খেলাম। ডেনিস আসবে সেজন্য হোটেল রুমেই আমরা অপেক্ষা করছি। সকাল দশটার দিকে আসলো প্রতীক আর মিলা আন্টি। প্রতীক হল মায়া'র একেবারে ছোট ভাই। মায়া'র বাবা ডাক্তার সুরেন্দ্র লোহানী স্কলারশিপ নিয়ে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন যুগোশ্লাভিয়ায়। সেখানেই একই হাসপাতালের নার্স ছিল রেফিজা পিরিক। তাদের মধ্যে প্রথমে প্রেম হল। পরে পরিনয় হল। নেপালি ব্রাহ্মণ ডাক্তার সুরেন্দ্র লোহানী বিয়ে করলেন যুগোশ্লাভিয়ার মুসলিম নার্স রেফিজা পিরিককে। তাদের দুই ছেলে মেয়ে। ডেভিস লোহানী আর মায়া লোহানী। কিন্তু এই বিয়েতে ডাক্তার সুরেন্দ্র লোহানী'র নেপালী ব্রাহ্মণ পরিবার ভালোভাবে মেনে নেয় নি। তাই ডাক্তার সুরেন্দ্র লোহানী দেশে ফিরলে আবার পরিবারের পছন্দে বিয়ে হয় প্রমিলা দেবী'র সঙ্গে। সেখানে ডেনিস আর প্রতীকের জন্ম। ২০০৯ সালের ২৫ মে ডাক্তার সুরেন্দ্র লোহানী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমন করেন। প্রমিলা আন্টিকে ডেনিস, প্রতীক, মায়া ডেভিস সবাই মিলা আন্টি ডাকে। মিলা আন্টি'র এখন ডায়াবেটিসের ব্যারাম আছে। মায়া মিলা আন্টিকে দেখে বললো, আন্টি খুব শুকিয়েছে। প্রতীকও তাই বললো। মিলা আন্টি'র আরেকটি অ্যাপয়নমেন্ট ছিল অন্য কোথাও। প্রতীক মিলা আন্টিকে সেখানে পৌঁছে দিতে গেল। প্রতীক ফিরে আসলে আমরা ঘুরতে বের হব।

প্রতীকরা চলে যাবার পর আমি একটু নিচে গেলাম সবকিছু ঘুরে দেখার জন্য। রিসিপশানে যাওয়া মাত্রই ফোন। মায়ার একমাত্র ফুফু শোভা আন্টি'র দুই মেয়ে। স্মৃতি আর রিচি । স্মৃতি'র ফোন। আমি কথা বলে রুমে আসলাম। আধা ঘণ্টার মধ্যে স্মৃতি, স্মৃতি'র হাজবেন্ড স্বামীজী রামকৃষ্ণ আর তাদের একমাত্র মেয়ে আট বছরের রচিতা হাজির। তারপর আরো আধা ঘণ্টা পর প্রতীক ফিরলো। সিদ্ধান্ত হল আমরা বৌদ্ধনাথ স্তূপা দেখতে যাবো। আমরা বাইরে এসে একটা ট্যাক্সি নিলাম। এবার রাম আর প্রতীক আমাকে গাইডের মতো যা যা সামনে পড়ছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিচ্ছিল। সাড়ে বারোটার দিকে আমরা বৌদ্ধনাথ স্তূপায় পৌঁছালাম। রাম বৌদ্ধনাথ স্তূপার একজন একনিষ্ট সাধক। গোটা স্তূপার ইতিহাস শোনালো রাম। মেইন গেইট দিয়ে ঢুকলে টিকেট লাগে। রামের দেখানো পথে আমরা একটু ঘুরে পেছন দিয়ে স্তূপায় প্রবেশ করলাম টিকেট ছাড়াই।

কাঠমুন্ডু থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে বৌদ্ধনাথ স্তূপার অবস্থান। বৌদ্ধনাথ স্তূপা র্পথিবীর সবচেয়ে বড় স্তূপা। ১৯৭৯ সাল থেকে এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অংশ হিসেবে পরিচিত। খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ থেকে ৪০০ বছর আগে নেপালী লিচ্ছাভি রাজা শিবদেব এই বৌদ্ধনাথ স্তূপা'র নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আর এটি শেষ হয় খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৪০০ বছর আগে নেপালী রাজা মানাদেবের আমলে। তিব্বত থেকে প্রায় ৫০ জন মনস্টার এসে এই স্তূপার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। সে্ হিসেবে বৌদ্ধনাথ স্তূপার বয়স প্রায় আড়াই হাজার বছর। ধারণা করা হয় এই স্থানেই গৌতম বুদ্ধ প্রার্থণা করেছিলেন এবং এখানেই তিনি দেহ ত্যাগ করেন। 'ওঁম মেনে পাদমে হোম' এটা হল এই স্তূপায় সবার কণ্ঠের একমাত্র মন্ত্র। 'ওঁম' মানে হেড, মাথা। 'মেনে' মানে হৃদয়, অন্তর। 'পাদমে' মানে পেট, নাভী। আর 'হোম' মানে হল পায়ুপথ বা মেরুদণ্ডের শেষপ্রান্ত। আপনি মনে মনে 'ওঁম মেনে পাদমে হোম' উচ্চারণ করে দেখেন, 'ওঁম' বলার সময় শরীরের ফুসফুস বাতাস গ্রহন করে। 'মেনে' বলার সময় তা হৃদযন্ত্রে আঘাত করে। অর্থ্যাৎ হৃদয় ছুঁয়ে যায়। 'পাদমে' বলার সময় তা নাভীতে আঘাত করে। আর 'হোম' বলার সময় ফুসফুস বাতাস ছেড়ে দেয় আর তা মেরুদণ্ডের শেসপ্রান্তে আঘাত হানে। আমরা সারাদিন স্তূপার সকল পাশে ঘোরাঘুরি করেছিলাম। আর 'ওঁম মেনে পাদমে হোম' মন্ত্র পড়েছিলাম।

বৌদ্ধনাথ স্তূপার আশেপাশে অসংখ্য আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরা। আমরা রামের পরিচিত এক তিব্বতিয়ান হোটেলে লান্স করলাম। ভারী সুন্দর সুস্বাদু খাবার। এক তিব্বতী মেয়ে আমাদের খাবার পরিবেশন করলো। স্তূপার রেস্তোরাগুলোতে বিশেষ করে তিব্বতী রেস্তোরাগুলো তিব্বতী মেয়েরাই পরিচালনা করেন। বাংলাদেশের ফাইভ স্টার হোটেলের চেয়ে সেই আয়োজন কোনো অংশে কম নয়। নেপালি, তিব্বতী আর চাইনিজ খাবারের সেখানে আধিক্য। আমরা তিব্বতী খাবার দিয়ে লান্স করলাম। লান্সের পর আমরা স্তূপার চারপাশে ঘুরে ঘুরে সব তিব্বতী বাহারি জিনিসপত্র দেখতে লাগলাম। রাম নিয়ে গেল স্তূপার ঠিক উত্তরপাশের একটি ভবনে। সেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো বৌদ্ধমূর্তি দেখলাম। বৌদ্ধমূর্তটি গোটাটাই স্বর্ণের তৈরি। সেই বিল্ডিংয়ের তিনতলায় আছে হরেক রকমের ক্যান্ডেল। আপনি যতোগুলো ক্যান্ডেল জ্বালাবেন ততো কুঁড়ি রূপি আপনাকে পরিশোধ করার নিয়ম। মায়া আর আমি জানতাম না। ক্যান্ডেল জ্বালানোর পর বৌদ্ধ পুরোহিত বললেন, এবার ক্যান্ডেলের হিসেবে রূপি পরিশোধ করবেন। বড় ক্যান্ডেল কুঁড়ি রূপি। আর ছোট ক্যান্ডেল দশ রূপি। আমরা একশো সত্তর রূপি পরিশোধ করলাম।

স্তূপার চারপাশেই এরকম প্রায় সব বিল্ডিংয়েই একই আয়োজন। কোনো কোনো বিল্ডিংয়ে আবার কফি হাউজ। আমরা স্তূপার একেবারে পশ্চিম পাশের একটা বিল্ডিংয়ের ছাদে গেলাম কফি খাব আর সূর্যস্ত দেখবো। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। সূর্যাস্তের আগে আগে স্তূপা ঘিরে শুরু হয় মানুষের পায়ে হাঁটা। সবাই ডান দিক থেকে স্তূপা ঘুরে আসছেন। ঘড়ির কাঁটা যেমন ঘোরে মানুষের মিছিলও তেমনি স্তূপার চারপাশে ঘুরছে। সবার কণ্ঠেই 'ওঁম মেনে পাদমে হোম' ধ্বনি। যতোই সূর্য ডুবে যাচ্ছে ততোই সেই সুরলহরী যেনো আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করছে। অস্তগামী সূর্যের লাল আভা ছড়িয়ে পড়ছে স্তূপার গায়ে। আর তখন স্তূপা যেনো আরো বেশি আলোকিত হয়ে উঠছে। দিনের চেয়ে রাতে স্তূপার চেহারা আরো মনোরম। সন্ধ্যার ঘোর লাগা আলো-আঁধারীতে স্তূপা যেনো একটি সত্যিকারের পূণ্যভূমিতে পরিনত হয়েছে। যা চোখে দেখলাম, তা চিরদিন হৃদয়ে গেঁথে থাকবে। 'ওঁম মেনে পাদমে হোম'।

নেপালে হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার-প্রসার প্রায় সমান তালে। রাস্তার যে দিকে চোখ যায় হয় সেখানে গণেশ বা দূর্গার মূর্তি বা কালি'র মূর্তি চোখে পড়বে। নতুবা গৌতম বুদ্ধের মূর্তি চোখ ধাধিয়ে দেবে। নেপালের হিন্দুদের বিশ্বাস হল মানুষ যখন ঈশ্বরের পরম দৃষ্টি লাভ করবে তখন তাদের সবাই বুদ্ধের মন্ত্রে দীক্ষিত হবে। বিশ্বের সকল প্রাণী তখন সুখী হবে। নেপালের মতো হিন্দু আর বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান পৃথিবীর আর কোথাও নেই। বৌদ্ধনাথ স্তূপা থেকে আমরা থামেলে ট্যাক্সিতে ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় সাড়ে আটটা বাজলো। আমরা সরাসরি গাইয়া রেঁস্তোরায় ডিনার করার জন্য ঢুকলাম।

ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া-এশিয়া থেকে যতো পর্যটক নেপালে যায়, তার অনেকেই সেখানে ডিনারের জন্য টেবিলে ভাগ হয়ে বসেছিল। আমরা পেলাম উঠোনে গাছতলায় একটা মঞ্চের মতো টেবিল। জুতা খুলে পা গুটিয়ে জাপানি স্টাইলে সবাই ডিনার থেকে বসলাম। রাম আর স্মৃতি একটু পরামর্শ করলো। রাম বললো, তাদের একটা জায়গায় ডিনারের নিমন্ত্রণ আছে। যদি আমরা কিছু মনে না করি, তাহলে তারা এখন চলে যাবে। স্মৃতি-রাম-রচিতা'রা চলে যাবার পর আমরা ডিনার করে হোটেলের রুমে আশার একটু পরেই ডেনিস আসলো।

ডেনিসের একটা পরীক্ষা আছে। তাই সে সারাদিন পড়াশুনা করেছে। আমরা প্রতীকের মাধ্যমে যা আগেই জেনেছিলাম। আমরা প্রায় রাত বারোটা পর্যন্ত আড্ডা দিলাম। তারপর ডেনিস বাসায় চলে গেল। আর প্রতীক আমাদের সঙ্গে থেকে গেল। আমাদের হোটেল রুমটা বেশ বড়। একটা এক্সট্রা খাটও আছে। ডেনিস সিখারেট খায় না। প্রতীক, মায়া আর আমি তিনজনেই সিখারেট খাই। সো, রাতে আমরা আরো কিছুক্ষণ পরদিনের বেড়ানো এবং কোথায় কোথায় ঘুরবো সেই পরিকল্পনা করলাম। স্টোরি স্টোরি নাইট। ওঁম শান্তি। কাঠমুন্ডু এক শান্তির নগরী। 'ওঁম মেনে পাদমে হোম'।

...............................চলবে..................................

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×