আসন্ন ২৬ মার্চের মহান স্বাধীনতা দিবসের সকল আনুষ্ঠানিকতা খুব সীমিত পর্যায়ে রাখুন। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সকল বাহিনীর প্যারেড গ্রহণ বন্ধ রাখুন। তিন বাহিনীকে দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে দেশের সকল উপজেলা (প্রয়োজনে ইউনিয়ন) পর্যায়ে এমার্জেন্সি হেলথ ক্যাম্প চালু করুন। যাতে জরুরি প্রয়োজনে মানুষ এমার্জেন্সি হেলথ ক্যাম্প থেকে সেবা নিতে পারে।
পরিস্থিতি আপনাদের চিন্তার সীমাবদ্ধতাকে অনেক আগেই ক্রোস করেছে। এখনই জরুরি ব্যবস্থা না নিলে আপনারা এটাকে কোনোভাবেই কন্ট্রোল করতে পারবেন না। আপনারা বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর থেকে এতদিন আদরের সাথে করোনা ভাইরাসকে স্বাগতম জানিয়েছেন। এখনই সজাগ না হলে এটা কোনোভাবেই কন্ট্রোল করতে পারবেন না।
আমাদের হাসপাতাল সিস্টেম এখনো এটা সামাল দেবার মত সক্ষমতা পর্যায়ে নাই। আপনারা মিডিয়ায় দয়া করে 'করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে' এরকম হাস্যকর বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করুন। বরং যারা করোনা ভাইরাস নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের জরুরি ভিত্তিতে আইসোলেশনে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে কীসের ভিত্তিতে আপনারা এত মিথ্যা কথা বলছেন??? আমাদের হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার-নার্সদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সুরক্ষা কিট নাই। রোগ নির্নয়ের জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নাই। সেখানে আপনাদের এসব মিথ্যাচারে করোনা ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ হবে না।
দয়া করে আপনাদের সারাক্ষণ মিথ্যা কথা বলাটা বন্ধ করুন। এই মুহূর্তে জনমানুষের করণীয় কী সেই বিষয়গুলো বেশি বেশি প্রচারের উদ্যোগ নিন। জনগণকে সেটা মানতে বাধ্য করুন।
জিনিসপত্রের দাম কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন, সেটা ঠিক করুন। আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দা কীভাবে সামাল দিবেন সেজন্য এমার্জেন্সি ফান্ড গঠন করুন।
মনে রাখবেন- করোনা কাউরে ন্যূনতম করুণা করবে না। না ধনী না গরীব, না মন্ত্রী না সিপাহশালার! আর আমরা আমজনতা তো কোন ছাড়!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৮