বেশ কয়েক দিন ধইরা দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টগুলা খেয়াল করতাছিলাম। আমার মনে হয় শুধুমাত্র ঐ পেপারেই বাচ্চাদের গুড়াদুধে মেলামাইন নিয়া ধারাবাহিক রিপোর্ট করতাছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারের রেজাল্ট নিয়া কেমন একটা রাখঢাক ভাব। খালি বলতাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলাফল না পাইলে গুড়াদুধের কোনো কোম্পানীর বিরূদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে না....ব্লা ব্লা ব্লা। একাধিক গবেষণাগারে গুড়াদুধ পরীক্ষা করানো ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু কথা হইলো সারা দুনিয়াতে যখন নেসলের মত কোম্পানী তার উৎপাদিত গুড়াদুধ নিজের উদ্যোগে বাজার থাইকা সরায়া নেয়, তারা বাংলাদেশে নিরব কেন?
আমাদের সরকার বরাবরের মতই অথর্ব। মহামাননীয় উপদেষ্টাগণ (ঝাঁটা মারি ঐগুলারে) বিলাইয়ের মত মিঁউ মিঁউ করতাছে। গুড়াদুধ খায়া দেশের মানুষের (বিশেষত বাচ্চাদের) যে মরার দশা হইছে সেই দিকে কুনু খেয়াল নাই। নেসলের কিটক্যাট বা সমমানের চকোলেটবারগুলা নিয়া এক উপদেষ্টা কইলোঃ এগুলা যেন পাবলিকে আপাততঃ কম খায়। অথচ নেসলের একই প্রডাক্ট অনেক দেশেই অলরেডি ব্যান হইছে। আমরা কি এতটাই মেরুদন্ডহীন? ধিক্ নিজেকে।
আজকে দেখলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসটিআইকে দেয়া হইছে। তারা আবার এই রিপোর্ট বানিজ্য মন্ত্রনালয়ে পাডাইছে। কি হইবো আমরা সবই জানি......(নাদানদের জন্য বলতাছিঃ লেখার টাইটেল দ্রষ্টব্য)।
আসুন আমরা সবাই নিজ-নিজ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের এই ব্যাপারে সচেতন করে তুলি। নিজেদের রক্ষার ভার আমাদের নিজেদেরকেই নিতে হবে।