somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নাই

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রাষ্ট্রযন্ত্র সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ সে কারণে সাংবাদিকরা আরো বেশি নির্য়াতনের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশে৷ এছাড়া, সরকারের কোনো কোনো অঙ্গের সদস্যরাও সরাসরি সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িয়ে পড়ছেন৷
মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার'-এর হিসেব অনুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশে ২৮৯ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ এর মধ্যে নিহত হয়েছেন পাঁচজন সাংবাদিক৷ আহত হয়েছে ১৬১ জন, ৬৩ জন হুমকির শিকার হয়েছেন আর ১০ জন শিকার হয়েছেন আক্রমণের৷ এঁদের মধ্যে ৫০ জন সাংবাদিক পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন৷ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান একটি সাক্ষাতকারে বলেছিলেন , রাষ্ট্র সাংবাদিকদের নিরপত্তার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয় না৷ তাই নির্যাতনকারীরা উৎসাহিত হয়৷ এমনকি সরকারের ভূমিকার কারণেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন চালায়৷
তিনি বলেন, ফেনীর সাংবাদিক টিপু সুলতানের ওপর আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল হাজারী এবং তার বাহিনীর হামলার কথা সারা দুনিয়া জানে৷ অথচ সেই নির্যাতনের মামলাটি বর্তমান সরকারের আমলে প্রত্যাহার করা হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়৷ আর সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে চলছে টালবাহানা৷ এতেই সাংবাদিকদের ব্যাপারে সরকারের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷
ইলিয়াস খান বলেন, রাষ্ট্র এবং সরকারের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে যখন এত উদাসীনতা, সেখানে সাংবাদিকদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নাই৷
‘অধিকার'-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে ২২১ জন, ২০১০ সালে ২৩১ জন এবং ২০১১ সালে ২৫৬ জন সাংবাদিক বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন৷
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইরান কি তবে কাগুজে বাঘ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০৭


সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-হামাস-হিজবুল্লাহ ত্রিমুখী যুদ্ধে প্রচুর লোক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।২০২২ সালে ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস ইসরায়েলের উপর হামলা করলে এই যুদ্ধ শুরু হয়।এখন পর্যন্ত ইসরায়েল ফিলিস্তিনের প্রায় ৫০... ...বাকিটুকু পড়ুন

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা নিয়োগ কারা দেয় ?

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা ডক্টর ইউনুসকে দেশের ক্ষমতা গ্রহন করার আহবান সেই শহীদ মিনার থেকেই জানিয়েছিল। ডক্টর ইউনুস প্রথমে অরাজি হলেও পরে ছাত্রদের হাজারো অনুরোধের মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমুখী একটি চাওয়া

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২০


মানুষের মুখে হাসি ফুটুক,
আঁধার মুছে আলোর ছোঁয়া,
ক্লান্তিহীন পথ চলুক,
নতুন স্বপ্ন আনবে জোড়া।

দিনবদলের শপথ নিয়ে,
কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করে যাই,
নদীর স্রোতে ভেসে ভেসে
একটি স্রোতে মিলিয়ে যাই।

সবার তরে সমান বিচার,
ধনীর দুঃখীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলার একমাত্র অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ

লিখেছেন জ্যাকেল , ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

২৩শে জুন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব জনাব সিরাজ উদ দৌলা ব্রিটিশদের কাছ হেরে যান কেবলমাত্র মীরজাফর, জগৎশেট, রাজভল্লভ, ঘষেটিদের কারণে। বাংলার ইতিহাসে এই দিনটি একটি অভিশপ্ত দিন। এর পর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের গ্রামের বিয়ের বর দেখা

লিখেছেন প্রামানিক, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

একদিন পরেই শুক্রবার। সকালেই বাবাকে ঐ বাড়ির ঘরবর (অর্থাৎ বর দেখা অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় ঘরবর বলে) উপলক্ষে ডাকা হয়েছে। বাবা সকালে গিয়ে বর দেখা উপলক্ষ্যে কি কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×