somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে উইকিলিকসের গোপন তথ্য ফাঁস

১৮ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুগান্তর ডেস্ক
গোপন তথ্য ফাঁস করে সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে তার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির মধ্যে বৈঠকের তথ্য প্রকাশ করেছে। বুধবার এটি প্রকাশ করা হয়। শেখ হাসিনা ভারত সফরে যান গত বছর ১০ জানুয়ারি। সেখানে কি কি চুক্তি হচ্ছেÑ কে কি পাচ্ছে এসব বিষয়ে উপদেষ্টা বিস্তারিত জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে পাঠানো মরিয়ার্টির লেখা বার্তায় যা ছিলÑ
সারসংক্ষেপ
১(সি). ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফরটি শুরু করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ জানুয়ারি নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। বাংলাদেশের আমলাতন্ত্রের মন্থরতা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী তার সফরের বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণের দায়িত্ব নিজের কার্যালয়ের ওপর ন্যস্ত করেন এবং তার উপদেষ্টা আমাদের বলেন যে তারা আশা করছেন, এই সফরের ফলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ‘রূপান্তর’ ঘটবে। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা মনে করেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার উন্নত সম্পর্ককে নয়াদিল্লি অন্যান্য প্রতিবেশীর প্রতি এই বার্তা পৌঁছানোর কাজে ব্যবহার করতে চাইবে যে, আঞ্চলিক বিষয়াবলীতে ভারত এক নতুন পন্থা গ্রহণ করতে চায়। কিন্তু তার স্বদেশে সন্দিগ্ধ জনগণের কাছে কোন চুক্তিকে গ্রহণযোগ্য করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে যথেষ্ট মনোযোগী বলে মনে হচ্ছে না। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নের ফলে এ অঞ্চলে অধিকতর স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি সাধিত হবে এবং এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেরও স্বার্থ রক্ষিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শেখ হাসিনার ভারত
সফরের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে
২(সি). প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ১০ জানুয়ারি সকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে জানান যে, প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে ভারতীয় আলোচকদের সঙ্গে চতুর্থবারের মতো আলোচনা শেষে রিজভী নয়াদিল্লি থেকে ফিরেছেন ৮ জানুয়ারি। রিজভী অবশ্য স্বীকার করেন, প্রথমদিকে ভারতীয়দের এমন সংশয় ছিল যে, এই সফর থেকে কি অর্জিত হতে পারে। তবে তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘রূপান্তর’ ঘটানোর লক্ষ্যে সমঝোতায় পৌঁছানোর মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। রিজভী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে অত্যন্ত গোপন ও ছোট পরিসরে, শুধু গত সপ্তাহে এতে সম্পৃক্ত করা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। চূড়ান্ত ধাপে এসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও মসিউর রহমানকেÑআমলাতন্ত্রের মধ্যে আটকেপড়া চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমলাদের সম্পর্কে রিজভী বলেন যে তাতের সৃজনশীলতা ও দূরদৃষ্টির অভাব রয়েছে।
পুরনো চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের ওপর
গুরুত্ব আরোপ
৩(সি). বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম নতুন ও তুলনামূলকভাবে গৌণ চুক্তিগুলোর (প্রত্যর্পণ, বন্দি বিনিময়, বিদ্যুৎ বিনিময় ইত্যাদি) ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এই সফরকালে সেগুলো স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রিজভী রাষ্ট্রদূতকে বলেন যে, তিনি ও তার ভারতীয় প্রতিপক্ষরা প্রধানত গুরুত্ব দিয়েছেন ট্রানজিট ও আন্তঃযোগাযোগ-সংক্রান্ত চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে। রিজভীর ভাষ্য অনুসারে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ-ব্যবস্থা বিকাশ সম্পর্কিত চুক্তি হবে, যেখানে রেল যোগাযোগ ও নৌপরিবহন বিস্তৃতকরণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মংলা ও আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহারের অনুমতি ভারতকে দেয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হবে। (নোট : রিজভী বলেন, এই তিন বন্দরের মধ্যে মংলা বন্দর নিয়ে সর্বাধিক বিতর্ক রয়েছে, কারণ এর ফলে কলকাতা বন্দরের বাণিজ্য স্থানান্তরিত হতে পারে বলে পশ্চিমবঙ্গে স্পর্শকাতরতা রয়েছে।) রিজভী বলেন, সীমান্ত হাট বসানোরও অনুমোদন দেয়া হবে, যার ফলে চোরাচালান হ্রাস পাবে।
দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্য
৪(সি). রিজভী মনে করেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণের অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে, বিশেষত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে। তিনি বলেন, ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নেপাল ও ভুটানের পণ্য পরিবহনের অনুমোদনও এই চুক্তিতে থাকবে। রিজভী বলেন, ভবিষ্যতে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্যতা নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও মনটেক সিং আলুওয়ালিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। রিজভীর ভাষ্য অনুসারে, অভ্যন্তরীণ শিল্প খাতে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য উš§ুক্তকরণে ভারতীয় নেতাদের অঙ্গীকার রয়েছে। যখন ভারতীয় রাজ্যগুলোর স্বার্থ বিবেচনায় নেয়া উচিত, রিজভী তখন বলছেন যে, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, ভারতীয়রা বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতাগুলো সরিয়ে নিতে চায়।
সমুদ্রসীমা ও তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে
সমস্যা থেকেই যাচ্ছে
৫(সি). রিজভী বলেন, আলোচনাকালে যে সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি জটিল বলে প্রমাণিত হয়েছে, সেটি হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ। রিজভী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশ যখন সমুদ্রসীমা বিতর্কটি একতরফাভাবে আন্তর্জাতিক সালিশ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করে, তখন ভারতীয়রা হতাশ হয়। তিস্তা নদীর পানিবণ্টন বিষয়ে তাকে সামান্য আশাবাদী মনে হয়। রিজভীর ভাষ্য অনুসারে, উভয় পক্ষ একমত হয়েছে যে, এ বিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ হবে যৌথ নদী কমিশনের একটি সভা এবং বর্তমানে নদীটির পানিপ্রবাহ নির্ধারণের লক্ষ্যে যৌথভাবে পানি জরিপ চালানো। রিজভী এমন আশা ব্যক্ত করেন যে, চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগেই কিছু পানি ভাগাভাগি শুরু হবে।
যোগাযোগ-কৌশল গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর অবহেলা
৬(সি). রিজভী রাষ্ট্রদূতকে বলেন যে তিনি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী একদিনের আজমির জিয়ারত শেষে ১৩ জানুয়ারি ঢাকায় না ফিরে বিলম্ব করে একটা ভুল করতে যাচ্ছিলেন। রিজভী একান্তে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কলকাতায় যাত্রাবিরতির মাধ্যমে ভারতে তার অবস্থান দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনা তিনি ‘ভণ্ডুল’ (স্যাবোটাজ) করে দিয়েছেন। ১২ জানুয়ারি দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষ হলে অবিলম্বে ঢাকা ফেরার পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন। রিজভীর চাপের ফলে প্রধানমন্ত্রী সফর শেষে দেশে ফিরে তার সফরের ফলাফল তুলে ধরতে সংসদে বক্তৃতা করবেন। তবে রিজভী শঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, ২৪ ঘণ্টা বিলম্ব হলে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ পাওয়ার আগেই সংবাদমাধ্যম ও বিরোধী দল তার সফর সম্পর্কে অপপ্রচার চালানোর সুযোগ পাবে। রিজভীর ভাষ্য অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে, চুক্তিগুলো নিজের গুণেই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা রিজভীর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করি যে, সরকারকে যদি বিরোধী দলকে আস্থায় নিতে এবং সফরটি সম্পর্কে একটি পৃথক ব্রিফিং করতে বলা হয়, তাহলে কি সুফল পাওয়া যেতে পারে। বিরোধী দলের সঙ্গে ভারতের অব্যাহত সম্পৃক্ততার গুরুত্ব নিয়েও আমরা আলোচনা করি।
মন্তব্য
৭(সি). দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আওয়ামী লীগের অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন। এই প্রয়াস সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২০০৯ সালের ফেব্র“য়ারিতে বাংলাদেশ রাইফেলসে বিদ্রোহের কারণে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধান মনোযোগের বিষয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর। ২০০৯ সালের শেষদিকে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় বিদ্রোহীকে (ইনসারজেন্টস) ভারতের কাছে হস্তান্তর এই সফরের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছে। যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, তার ফলে মনে হচ্ছে, এই সফরের ফলাফল বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাকে বেশ ছাড়িয়ে যাবে এবং সরকারের শক্তি বৃদ্ধি করবে। সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে সরকারের সমালোচনা করতে পারে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ।
[২০০৭-২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন সংস্কার সাধনের চেষ্টা করছিল, তখন দুর্বল কৌশলগত যোগাযোগ (স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস) তাদের হাতকে দুর্বল করে দেয়। মনে হচ্ছে, শেখ হাসিনার সরকার তার পূর্বসূরিদের কাছ থেকে এ শিক্ষা গ্রহণ করেনি।] তবে সেই সঙ্গে এ-ও বলা যায়, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ইতিবাচক রূপান্তর এ অঞ্চলে অধিকতর স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য সহায়ক হতে পারে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×