সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছিলাম গণতান্ত্রিক দেশগুলো অনেক বড় বড় নেতা আত্মসন্মান, ব্যক্তিত্ববোধ আর অগাধ দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়ে অনেক অনেক বড় পদ ছুড়ে ফেলে দিয়ে জনগনের হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছেন। এই সেদিনও ভারতে দেখলাম প্রধানমন্ত্রী হবার সুযোগ পেয়েও পদটি নেন সোনিয়া গান্ধী।
বিশ্বে এমন বলদযে দুএকজন পাওয়া যাবেনা তা না- যারা বলবে সোনিয়া দেশ চালাতে পারবেনা বলেই প্রধানমন্ত্রী হয়নি। এসব গর্দভগুলোর কথা আর মানুষের কথার মধ্যে ঢের পার্থক্য থাকে বলে এসব কথার প্রতিবাদও করা যায়না।
যাই হোক বাংলাদেশে দেখেছি ঠিক উলেটা। স্বৈরাচারও 9 বছর ক্ষমতায় থাকে। লঞ্চডুবে আটশ লোক মারা গেলেও মন্ত্যী বলে আমি কেন পদত্যাগ করবো। বাবার কোলে শিশুর মৃত্যুর পরও মন্ত্রী পদত্যাগ না করে বলে আল্লার মাল আল্লাহ নিয়ে গেছেন। বেগুনের কেজি 80 টাকা হলেও প্রধানমন্ত্রী বলে দাম বাড়েনাই। যে দেশে একসঙ্গে 500 বোমা ফুটলেও প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করার কথা চিন্তাও করতে পারেনা-- উলেটা বলে এক মিনিট আগেও ক্ষমতা ছাড়বোনা।
যেখানে অর্ধশিক্ষিত/অশিক্ষিত প্রধানমন্ত্রীকেই জি জি হুজুর বলে যেতে থাকে মন্ত্রীরা ....সেই দেশে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে মন্ত্রীত্বের পদ ছুড়ে ফেলে দেয়ার মতো সৎসাহস দেখানোও সম্ভব !!!!
এটি কি সত্যিই সম্ভব!! চার উপদেষ্টার পদত্যাগের আগে তারা বললেও এটি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হতোনা। এদেশে এখনো তাহলে সৎ মানুষ আছে। এদেশে এখনো তাহলে দেশপ্রেমিক মানুষ আছে। এদেশে এখনো তাহলে বিবেকবান মানুষ আছে। যারা শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশ ধ্বংসের আয়োজনের প্রতিবাদ করতে জানে।
মন্ত্রীত্বের লোভাতুর পদকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে স্থান করে নেয়া চার কৃতি বাঙ্গালীকে অসংখ্য অভিনন্দন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



