নিপা ভাইরাস বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে। সাম্প্রতিককালে লালমনিরহাটে শনাক্ত হওয়ার আগে ফরিদপুর, রাজবাড়ি ও টাঙ্গাইল এলাকায় নিপা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল ।ভালুকায় এবারই প্রথম এই সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে সাধারণত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এই সময়টাতেই খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। বাদুড় গাছে বাঁধা হাড়ি থেকে রস খাওয়ার চেষ্টা করে বলে ওই রসের সঙ্গে তাদের লালা মিশে যায়। সেই বাদুড় নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকলে এবং সেই রস খেলে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এ ভাইরাস। নিপা ভাইরাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নষ্ট হয়ে যায়। তাই সংগৃহীত রস জ্বাল দিয়ে পান করা হলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে না।এছাড়া বাদুড়ের আধ-খাওয়া ফল এবং আক্রান্ত মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াতে পারে এ রোগ।
ভাইরাস সংক্রমণের প্রায় ৮ থেকে ১২ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়।
লক্ষণগুলো হচ্ছে-
তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা, ঘাড় ও পিঠ শক্ত হওয়া, আলোর সহনশীলতা কমে যাওয়া, খিচুনি হওয়া, প্রলাপ বকা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
সতর্কতাঃ
এই রোগে ৭৫% রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির লালা, হাচি,কাশি থেকেও ছড়ায়। তাই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার।
কাঁচা খেজুরের রস পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে, বাদুরে খাওয়া ফল খাওয়া যাবে না।
আক্রান্ত রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হসপিটাল নিতে হবে।
রোগীর বিছানা ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র আলাদা করতে হবে।
পরিচর্যাকারী সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত ধুয়ে নিলে এবং আলাদা আলাদা খাবার গ্রহণ করলে এর সংক্রমণ ঠেকানো যায়। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।