সবে মাত্র চিত্রা অনার্স শেষ করে এক চাকরি শুরু করেছে। চিত্রার একটা শখ ছিল সে কোন এক দিন কুকুর পালবে। পুশুপ্রমী সে, তাই সব সময় চাইতো আসে পাসে পশু দেখলে সাহায্য করতে। চিত্রার ছোট ভাই আছে নাম তার রাতুল। রাতুলের এক পাড়ার বন্ধু একদিন চিত্রাকে বলেছিল আপু তুমি ককুর ছানা নিবে? উত্তরে চিত্রা বলেছিল যদি এনে দিতে পারো নিব। অমনি সত্যি একদিন ছেলাটা ছোট কুকুর ছানা নিয়ে বাসায় আসলো। চিত্রা সে সময় অফিস ছিল, বাসা থেকে হঠাত ফোন আর সেই ফোনে মা বলছে তুই কুকুর আনতে বলছিস? চিত্রা বললো, হ্যা মা ওকে রাখো আমি বাসায় এসে দেখব। মা খুব রাগ করে ফোন রেখে দিল। এর পর চিত্রা অফিসে মন টিকছে না এই খবরে, ওদিকে রাতুলের বন্ধু কুকুর ছানাকে নিয়ে চলে গেল। এর কিছু স্ময় পর, চিত্রার এক খালাতো বোন ফোন দিল। খালাতো বোন আর চিত্রার বাসা একি পাড়ায়। সে জানালো যে কুকুরটা বাসায় রেখে আসতে গিয়েছিল তাকে ওদের বাসার সামনে রাখে গেছে আর ওকে কেউ মেরেও ফেলতে পারে কেননা চিত্রার খালাতো বোন শুনছে নিচে কেও কানা গুসা করছে। চিত্রার মাসি ও ছিল পশুপ্রমী, চিত্রাকে বললো, মামনি তুমি কি সত্যি ওকে নিবা, আমি তাহলে নিচে থেকে নিয়ে আসবো তুমি অফিস ফেরার পথে বাসায় নিয়ে যেও। চিত্রা খালাকে বললো, তুমি ওকে রাখো আমি এসে নিয়ে যাব। খালা অতি যত্নের সাথে কুকুরকে বাসায় এনে ফিডার কিনে দুধ খাওয়ালো। এদিকে চিত্রা অফিস থেকে ফেরার পথে কুকুর ছানা কে সঙ্গে করে বাসায় ফিরলো। চিত্রার মা, দরজা খুলে কুকুর ছানা হাতে দেখে কুব বিরক্ত আর বললো আমি না এটাকে বের করে দিলাম তুই আবার আনছিস সঙ্গে করে। যা ওকে বাইরে রেখে আই। চিত্রা করুন আওয়াজে বললো, মা প্লিজ ওকে রাখো দেখবা ভালো লাগবে। মা অবশেষে রাজি হলো আর বললো, যদি বাসা নংরা করে রাস্তায় ফেলে দিব। যাক কুকুর ছানার বাসায় জায়গা হলো, দিনটা ছিল ৩১শে ডিসেম্বর । প্রথম রাতে কুকুরটা অনেক কাপছিল ভয়ে, মা বাবা তাই ভেবেছিল মারা যাবে। ওই রাতে কুকুর টাকে পরিষ্কার করে স্নান করানো হলো। পরদিন সকালে কুকুরটাকে চিত্রা তার ঘরে একটা ছোট কার্টনে রেখে অফিস গেল। ফিরে এসে দেখে মা কুকুর ছানাকে আদর করছে। আর সেই দিন থেকে আস্তে আস্তে কুকুরটা বাসায় সবার মনে আপন হতে লাগলো । চিত্রা কুকুরটার নাম দিল জলি।
জলির গৃহ প্রবেশ
যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে
ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন